পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত ফরাজী সাকিবকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ গোটা দেশ অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতা’ নামের একটি সংগঠন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ হুমকি দেওয়া হয়।
মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন— চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো.
আলকাছ আল মামুন বলেন,“গত ১৫ জানুয়ারি মতিঝিলে পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী গ্রাফিতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন শাহাদাত ফরাজী সাকিব। দুর্ভাগ্যক্রমে তাকেই আবার মামলার আসামি করা হয়। অথচ, যারা রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত, যারা এ ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিল, সেসব রাষ্ট্রদ্রোহীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ছাত্রনেতা শাহাদাত ফরাজী সাকিবকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হলো। এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
অনতিবিলম্বে শাহাদাত ফরাজী সাকিবের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতা। অন্যথায়, দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ গোটা দেশ অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে শাহাদাত ফরাজী সাকিবকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ঢাকা/মামুন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী পালিত
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্রের সামনে পাহাড় রক্ষা পরিবেশ, উন্নয়ন সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মৌলভীবাজার জেলা পাহাড় রক্ষা পরিবেশ ও উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি ময়নুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক সেলিম আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক হামিদা খাতুন, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, নিছসা সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক রাসেল হাসান বক্ত, পরিবেশকর্মী সাজু আহমেদ, শাহারা ইসলাম রুহিন, শ্রমিক নেতা দুলাল মিয়া, ছাত্রনেতা লিটন গাজী, মিনহাজুল ইসলাম মুন্না, আব্দুল মতিন, মিসবাউর রহমান, আদিবাসী নেতা সুচিনগুল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এখনও বাংলাদেশ সেই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী মার্কিন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারেনি। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয় হলেও দেশের স্বার্থরক্ষায় আন্দোলনকারীরা সরব রয়েছেন। ২৮ বছর পার হয়ে গেলেও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পরিবারের ক্ষতিপূরণ আদায়ে সচেতন হয়নি সরকার। বিষয়টি আমলে নেয়নি কোম্পানি।