মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার জসমতপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী ধলাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে এই দাবি উত্থাপনের পর স্থানীয়দের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জসমতপুর এলাকায় এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজিত হয়। এতে অংশ নেয় জসমতপুর, দক্ষিণ ধর্মপুর, পাথরটিলা ও কালাছড়া গ্রামের পাঁচ শতাধিক মানুষ।
সমাজসেবক আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে এবং নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী কামাল মিয়া, আব্দুর রউফ, আজাদ মিয়া, নাসির মিয়া, আমির আলী, তাহির মিয়া, জুয়েল মিয়া, হৃদয় মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ইজারাদারের লোকজন জসমতপুর মৌজায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বালু তুলছে। এতে নদীতীরের হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ও বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অভিযোগ করার পরও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম জানান, ধলাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ, ফসলি জমি, ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই এলাকার শিবলু খানঁ, রকি, সুয়েব মিয়া ও ইসমাইল মিয়া এখান থেকে বালু তুলছেন।
অভিযোগের বিষয়ে ব্যবসায়ী সুয়েব মিয়া ও ইসমাইল মিয়া জানান, তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সঠিক নয়। তারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত নন।
কমলগঞ্জ ইউএনও মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান, অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করা হয়েছে। তিনটি বালু তোলার ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার

মৌলভীবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাজতখানার ভেতর থেকে মোকাদ্দুস (৩২) নামে আসামির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পিবিআই।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজার জেলা শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কে পিবিআইর হাজতখানা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। 

মোকাদ্দুস কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি আলোচিত লিটন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৯ আগস্ট কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের ধানক্ষেত থেকে লিটন নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে মোকাদ্দুস পলাতক ছিলেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন মোকাদ্দুস। পরে তাকে লিটন হত্যার মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।

পিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর খাওয়া-দাওয়া শেষে মোকাদ্দুসকে ৭-৮ জন আসামির সঙ্গে হাজতখানায় রাখা হয়। সোমবার ভোর ৬টার দিকে ডিউটি অফিসার গিয়ে দেখেন, মোকাদ্দুস নিজের লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মোকাদ্দুসের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

১১ সেপ্টেম্বর লিটনের বাবা সাত্তার মিয়া অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় শামিম নামের আরেকজনকেও গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। 

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. জাফর হুসাইন বলেছেন, লিটন হত্যা মামলার তদন্ত আমাদের হাতে। মোকাদ্দুস রবিবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সকালে হাজতখানায় আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি আমরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি।

ঢাকা/আজিজ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার