শখের বশে ঘোড়া দৌড়ান আল আমিন, এখন সেটাই তাঁর জীবিকা
Published: 20th, February 2025 GMT
খোলা মাঠে ঘোড়া দৌড়ান আল আমিন। যখন যেদিকে মন চায়, ঘোড়া নিয়ে সেদিকেই ছুটে যান। বিভিন্ন গ্রামের ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায়ও অংশ নেন। শখের বশে ঘোড়া রাখলেও এখন তা দিয়েই জীবিকা চলে আল আমিনের। স্থানীয় বাসিন্দারা ‘গরিবের ঘোড়ারোগ’ বলে টিটকারি করলেও আপন মনে ঘোড়াকে সঙ্গী করে জীবন কাটাচ্ছেন এই তরুণ।
আল আমিন ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের বরাইল গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে। ২৫ বছর বয়সী এই তরুণ দুই সন্তানের জনক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে পাঁচুয়া গ্রামে ভাষাশহীদ আবদুল জব্বার গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরের পাশে দেখা হয় আল আমিনের সঙ্গে। খোলা মাঠে ঘোড়া দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। তা দেখছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পাশের ভাষাসৈনিক শহীদ আবদুল জব্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আল আমিন বলেন, তাঁর যখন আট বছর বয়স, তখন তাঁর বাবা একটি ঘোড়া কেনেন। পরে ঘোড়ার ব্যবসার সঙ্গেও তাঁর বাবা যুক্ত হন। বাড়িতে আনা ঘোড়াকে মাঠে নিয়ে ঘাস খাওয়াতে খাওয়াতে ঘোড়া দৌড়ানো শেখেন। বর্তমানে তাদের চারটি দেশীয় ও একটি ক্রস জাতের ঘোড়া রয়েছে। এর মধ্যে একটি বাচ্চা ঘোড়া।
আল আমিনের ঘোড়া দৌড়ানো দেখছিল ভাষাসৈনিক শহীদ আবদুল জব্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার গফরগাঁও উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের পাঁচুয়া গ্রামে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সমু চৌধুরীর গামছা পরা ছবির আসল গল্প কী, এখন কেমন আছেন তিনি
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনেতা সমু চৌধুরীর একটি ছবি ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায়, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের একটি মাজারে গামছা পরা অবস্থায় গাছের নিচে তিনি শুয়ে আছেন। গতকাল দুপুরে ছবিটা ছড়িয়ে পড়লে অনেকে জানতে চান, কী হয়েছে অভিনেতার? ছবিটি আসল নাকি শুটিংয়ের? ছবির সূত্র ধরে অভিনেতাকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নের একটি মাজার থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। এরপর রাখা হয় নিরাপদ স্থানে। দিবাগত রাত তিনটায় সেখানে যান সমু চৌধুরীর চাচাতো ভাই রাইসুল ইসলাম এবং অভিনয়শিল্পী সংঘের দুই সদস্য সুজাত শিমুল ও জুলফিকার চঞ্চল। এরপর পুলিশ সবার উপস্থিতিতে সমু চৌধুরীকে পরিবারের জিম্মায় তুলে দেয়। এখন এই অভিনয়শিল্পী যশোর সদরের নতুন বাজারের বাসায় বিশ্রামে আছেন। প্রথম আলোকে আজ শুক্রবার দুপুরে খবরটি নিশ্চিত করেছেন রাইসুল ইসলাম।
রাইসুল জানান, সমু চৌধুরী মাজারভক্ত। কাজ না থাকলে প্রায় সময় তিনি মাজারে যান। এবার ঈদ কাটিয়েছেন যশোরে, মায়ের সঙ্গে। ঈদের ছুটি শেষে গত মঙ্গলবার যশোর থেকে ঢাকার মিরপুরের বাসায় ফেরেন তিনি। পরদিন পরিচিত একজনের সঙ্গে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের একটি মাজারে যান, এক কাপড়ে।
রাইসুল ইসলাম বললেন, ‘এক কাপড়ে ময়মনসিংহ যাওয়াতে কোনো কারণে পরনের কাপড় ময়লা হয়। সেখানে তাঁর কয়েকজন ভক্তও ছিলেন। ময়লা কাপড় ধোঁয়ার পর তা শুকাতে দিয়ে তিনি গামছা পরে গাছের নিচে ঘুমাচ্ছিলেন। বাসায়ও তিনি সাদামাটাভাবে এভাবেই চলাফেরা করেন, লুঙ্গি ও গামছা পরে থাকেন, কখনো এভাবে রান্নাবান্নাও করেন। মাজারে গামছা পরে বিশ্রাম নেওয়ার সময় কেউ একজন ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়। এতে তিনি ওই সময়ে মানসিকভাবে ট্রমাটাইজড হয়ে পড়েন ভাইয়া। তিনি কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ, শারীরিক ও মানসিক—দুইভাবে তিনি ভালো আছেন। আমরা তাঁর কাছে যাওয়ার পর পুলিশের সামনেই বলল, আমার তিন ভাই চলে আসছে, এখন আর কোনো সমস্যা নাই। এরপর আমরা গাড়িতে করে তাঁকে নিয়ে যশোরে চলে আসছি।’
ছেলে সমু চৌধুরীর সেলফিতে মা জয়নব চৌধুরী