Samakal:
2025-09-18@06:22:10 GMT

ভারত বলেই উত্তেজনা

Published: 20th, February 2025 GMT

ভারত বলেই উত্তেজনা

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের উত্তেজনা এখন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকেও ছাপিয়ে যায়। সম্প্রতি তাতে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে রাজনীতি। ভারতের সঙ্গে যে কোনো খেলায় বাংলাদেশ জয় পেলে অনেকটা রাষ্ট্রীয় উৎসবের উপলক্ষ তৈরি করে।

ক্রিকেটের যুব এশিয়া কাপের পর নারী সাফ ফুটবলে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জয়ে দেশজুড়েই ছিল উৎসবের বাতাবরণ। আজ আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যে ম্যাচ খেলবে, এ নিয়েও উত্তেজনায় ফুটছে জাতি। দেশে-প্রবাসে স্লোগানে মুখরিত হবে জাতি। নাজমুল হোসেন শান্তর বিশ্বাস, গ্যালারির সমর্থন মাঠে তাদের ভালো খেলার প্রেরণা জোগাবে। উভয় দিক থেকেই ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চান তারা।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বাংলাদেশ কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি। কারণ, ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠে ছিল বিপিএলের খেলা। টানা টি২০ ক্রিকেট খেলায় বিশ্রাম নেওয়ারও প্রয়োজন ছিল। ফলে নিজেদের মধ্যে ম্যাচ সিনারিও প্র্যাকটিস করে দুবাই গেছেন শান্তরা। কোচ ফিল সিমন্সও প্রস্তুতি নিয়ে খুশি ছিলেন না। তার ওপর পাকিস্তান শাহিনসের কাছে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ৭ উইকেটে হেরেছে। এই হার শেষে কাল না হলেই ভালো। যদিও অধিনায়ক শান্ত বলছেন সমস্যা হবে না, ‘প্র্যাকটিস ম্যাচের হারে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। কারণ, সেখানে আমরা অনেক কিছু দেখেছি। বোলিং বা ব্যাটিং করার সুযোগটা দেওয়া হয়েছে অনেককে। সাধারণ প্র্যাকটিসের জন্যই এটা করা। আমার মনে হয় না, সমস্যা হবে। টুর্নামেন্টের জন্য আমাদের প্রস্তুতি ভালো।’

ভারত টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট। তাদের চাওয়া পূরণ করতে হাইব্রিড মডেলে হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বিরাট কোহলিরা নিজেদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলবেন। বিষয়টি বাড়তি সুবিধা দেবে ভারতকে। এ ছাড়া দুবাইয়ে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে রোহিত শর্মাদের। এই ম্যাচে বাংলাদেশকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে। গতকাল ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক শান্ত বলেছেন, যে কোনো পরিস্থিতি জয় করতে প্রস্তুত তারা। এক দিনের ম্যাচ হওয়ায় আশাবাদীও তারা, ‘এই সংস্করণে আমাদের দলের ভারসাম্য আছে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা এই টুর্নামেন্টে যে কোনো দলকে হারাতে পারি। সব দলই শিরোপা জেতার সক্ষমতা রাখে। আমরা নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে, যে কোনো দিন, যে কোনো দলকে হারাতে পারব।’ বাংলাদেশকে ভালো করতে হলে তিন বিভাগে অলআউট ক্রিকেট খেলতে হয়। তাই তো মরুর বুকে জয়ের ফুল ফোটাতে সতীর্থদের অলআউট খেলার আহ্বান শান্তর, ‘আমাদের ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং– তিন বিভাগে ভালো খেলতে হবে। গত কয়েক বছর এই সংস্করণে যেভাবে খেলেছি, আমার মনে হয়, আমরা ভালো দল। যেটা বললেন কন্ডিশনে মিল আছে, সেদিক থেকে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আশা করি, কালকের (আজ) ম্যাচে ভালো কিছু হবে।’ 

ভারতের পেস বিভাগে খাদ তৈরি হয়েছে জাসপ্রিত বুমরাহ চোটে পড়ায়। তারা বোলিং বিভাগ সাজিয়েছে পেস-স্পিনের মেলবন্ধনে। বাংলাদেশও বোলিং ইউনিট সাজিয়েছে পেস এবং স্পিনে। তবে বেশি গুরুত্ব পাবে পেস বিভাগ। ফোকাসে আছেন নাহিদ রানা। তাসকিন আহমেদ দারুণ ছন্দে আছেন। কন্ডিশন বুঝে খেলতে পারলে ভারতের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ জয় করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন শান্ত, ‘উইকেট যে রকম থাকবে, ওই অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব আমরা। তবে আমার মনে হয়, ওপরের দিকে যারা ব্যাটিং করে, তাদের লম্বা ইনিংস খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। যখন ওপরের শুরুটা ভালো করতে পারব, তখনই বড় রান করা সম্ভব। অবশ্যই কাল উইকেট কন্ডিশন মেলানোর পর ওইভাবে আমরা ব্যাটিংটা করার চেষ্টা করব।’ এক দিনের ক্রিকেটে এ দুই দলের শেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। সেদিক থেকে আশার আকাশে রুপালি চাঁদ উঁকি দিতেই পারে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
  • কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
  • কারও কোনো অপরাধ নাই
  • বিশ্বকর্মা পূজা: গাঙ্গেয় শিল্পের উৎসব
  • আজ থেকে বুসান উৎসব, নানাভাবে রয়েছে বাংলাদেশ
  • ‎সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব : ডিসি
  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • ঘুম থেকে অনন্ত ঘুমে অস্কারজয়ী রবার্ট রেডফোর্ড
  • ২০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ভোলার বৈষা দধি
  • শেষ হলো সপ্তম যোসেফাইট ম্যাথ ম্যানিয়া ২০২৫