জাদিয়া জাহান প্রভা। দীর্ঘ দেড় যুগের বেশি সময় ধরে টেলিভিশন ও ছোট পর্দায় নিয়মিত অভিনয় করছেন। মাঝে ছিলেন বিরতিতে। বিরতির সময়টা কাটিয়েছেন দেশ-বিদেশে। কিছুদিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি।

সেই সঙ্গে মনোযোগী হচ্ছেন নিজের কাজে। জীবনে একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছেন। এরপর প্রেমজীবন নিয়ে অনেকটাই নিজের ছক কষা গন্ডিতেই থাকতে দেখা গেছে অভিনেত্রীকে। তবে এরপরও মিডিয়ায় বেশ কয়েকবারই গুঞ্জনে নাম ভেসেছে প্রভার।

যেমনটা সহকর্মী তারকা মনোজের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন। তবে মনোজের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি একদম স্পষ্ট করেই অস্বীকার করেন প্রভা।

 সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রভা বলেন, ‘মনোজের সঙ্গে আমার কখনোই প্রেম ছিল না। কিন্তু মিডিয়াতে এটা প্রচলিত ছিল, যে আমাদের প্রেম আছে এ কারণে মনোজের সঙ্গে আমার স্বাভাবিক সম্পর্কও নষ্ট হয়ে যায়।’

প্রভা বলেন, ‘আমাকে নিয়ে অনেক গুঞ্জনই ছিল। যেসবের কিছু সত্যি ছিল। কিছু মিথ্যা। তবে আমি যেসব জোর গলায় মিথ্যা বলেছি, বা অস্বীকার করেছি সেগুলো গুজবই ছিল।’

অভিনেত্রী জানান, তার জীবনে প্রেম কয়েকবার এসেছে। তবে সম্পর্কের একটা সময়ে মনে হয়েছে, হয়তো আজীবন একসঙ্গে কাটিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে না দুজনের। তখন হয়তো আর একসঙ্গে থাকা হয়নি। সাক্ষাৎকারে নিজের প্রথম প্রেম নিয়েও ক্ষোভ শোনা যায় প্রভার কণ্ঠে। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার জীবনের প্রথম প্রেমটাকে প্রাক্তন মনে করি না। আমি মনে করি, সে প্রাক্তন নয়, শত্রু। কারণ প্রাক্তন এতটা হিংস্র হতে পারে না! আমার কাছে যে অস্বস্তিকর, সে আমার প্রাক্তন হতে পারে না। এরপরও যাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক হয়েছে তাদের সঙ্গে আমার অনেক সুন্দর মুহূর্ত আছে। এতে গুণবান প্রাক্তনদের সঙ্গে আমি তাকে তুলনাই করতে চাই না।’

প্রভা আরও বলেন, “প্রাক্তন শব্দটা আমার কাছে ভীষণ প্রিয় একটা শব্দ। যে মানুষটার সঙ্গে খারাপ ঘটনা ঘটেছে বলেই তো সম্পর্কটা শেষ হয়েছে। তার সঙ্গে সুন্দর ঘটনাও কিন্তু আছে। ‘প্রাক্তন’ আমার কাছে সুন্দর একটা নাম। তার সঙ্গে সুন্দর মুহূর্ত ছিল। আমার জন্য রাতেরবেলায় দাঁড়িয়েছিল, এটা করেছে ওটা করেছে। অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি থাকে।”

বর্তমানে মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন প্রভা। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ‘দ্য মেকআপ একাডেমি’ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। এ প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। যারা পেশাদার মেকআপ আর্টিস্ট হতে চান, তাদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান এই দ্য মেকআপ একাডেমি। বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় মেকআপ ব্র্যান্ড ও ফ্যাশন শোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে এ প্রতিষ্ঠানের নাম। সেখানেই কাজ করতে দেখা গেছে প্রভাকে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম র ক স ন দর ম কআপ

এছাড়াও পড়ুন:

৭ উপাচার্যের অংশগ্রহণে গোবিপ্রবিতে শিক্ষা সমাপনী

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) নবম ব্যাচের (নবনীতক ৯) শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষা সমাপনী-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের বিদায় বেলায় এক মঞ্চে আসীন হন দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান সাত উপাচার্য।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টায় একাডেমিক ভবন প্রাঙ্গণে আনন্দঘন পরিবেশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর ছাড়াও অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী, খুলনা কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল আহসান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দিন তারেক।

আরো পড়ুন:

নতুনবাজারের সেই রনির বুলেটের যন্ত্রণা আজো থামেনি

শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 

এক মঞ্চে একইসঙ্গে এতজন উপাচার্যকে পেয়ে সমাপনী ব্যাচসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “এভাবে একসঙ্গে পুরো সেশনের শিক্ষা সমাপনী আয়োজনের আইডিয়াটি অত্যন্ত চমৎকার। এতে করে একটি ব্যাচের একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রবেশ ঘটে। যেখানে সবার একসঙ্গে পরীক্ষা হয়, রেজাল্ট প্রকাশ হয় এবং কোনো সেশন জট থাকে না। আমি এই আইডিয়াটি আমার নিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।”

খুলনা কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল আহসান বলেন, “আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ এখানে এসেছি সংহতি জানানোর জন্য। আমি নবম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জীবনে সফলতা কামনা করছি।”

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিসিএস দেওয়া, বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করা বা ব্যবসা করার লক্ষ্য থাকে। তবে জীবনে কোনো না কোনো কিছু করতেই হবে। এক্ষেত্রে অবসর বলে কোনো শব্দ থাকা উচিত নয়।”

পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, “আমি যখন দেশের বাইরে পড়াশোনা করতাম, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আমি কখনোই দেখিনি। আর বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চে কখনো একসঙ্গে সাতজন উপাচার্যকেও বসতে দেখিনি, এটা অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর করে দেখিয়েছেন।”

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, “আমরা যদি আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতে চিন্তা করি, আমাদের চাকরি খোঁজার পাশাপাশি এমন কিছু করার মানসিকতা রাখতে হবে, যা দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।”

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আতিয়ার রহমান বলেন, “শিক্ষা সমাপনী মানেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করা নয়। বিশ্বে এমন অনেক নজির আছে, যেখানে অ্যালামনাই থেকে উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে। তাই নিজেকে বিস্তৃত পরিসরে মেলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করার দায়িত্ব নিতে হবে।”

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “নিজেকে চেনাই সবচেয়ে বড় শিক্ষা। আর শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনই বলে দেবে, তারা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কতটা জ্ঞান অর্জন করেছে।”

প্রধান অতিথিরি বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর আগত উপাচার্যদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্যই আমাদের এই প্রয়াস। একইসঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি তুলে ধরাও আমাদের লক্ষ্য। আমরা জানিয়ে দিতে চাই, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায় এবং অচিরে দাঁড়াবেই।”

তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে ইউজিসির দুইটি হিট প্রকল্প পেয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরো পাব। আমরা আশা করছি, বি ক্যাটাগরি থেকে আগামী অর্থবছরের আগেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি এ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে।”

গোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসানের সভাপতিত্বে এতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, সব অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও প্রাধ্যক্ষগণ, দপ্তর প্রধানগণ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, জুলাই শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।

শিক্ষা সমাপনী উপলক্ষে বুধবার ছাত্রদের কালার ফেস্ট ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতের কাছে তেল বিক্রি করতে পারে পাকিস্তান, খোঁচা দিলেন ট্রাম্প
  • কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর ডিনার, গুঞ্জন
  • শিক্ষার্থী সাজিদ স্মরণে ইবিতে ব্যতিক্রমী আয়োজন
  • ৭ উপাচার্যের অংশগ্রহণে গোবিপ্রবিতে শিক্ষা সমাপনী
  • বাঘ বাঁচলে সুন্দরবন বাঁচবে