রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীতে যানবাহনসহ মার্কেট কেন্দ্রিক জনসাধারণের চলাচল বৃদ্ধি পাবে। এতে রমজান মাসে বিভিন্ন সংস্থা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ইউটিলিটি সংক্রান্ত কাজে সড়ক কেটে রাখায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এবার রমজান মাসে সড়কে নতুন করে খোঁড়াখুঁড়ি না করার অনুরোধ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)।

আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, অধিকাংশ মানুষ সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টার পরিবর্তে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যার পূর্বেই কাজকর্ম শেষ করে বাসায় ফেরেন। ফলে রমজান মাসে সড়কে যানবাহনের চাপ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরও রমজান মাসে বিভিন্ন সংস্থা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিভিন্ন ইউটিলিটি সংক্রান্ত কাজে সড়ক কেটে রাখায় যানজটের সৃষ্টি হয়।

এতে বলা হয়, আগামী ২ মার্চ (সম্ভাব্য) থেকে পবিত্র মাহে রমজান মাস শুরু হবে। এ সময় রাস্তায় যানজটের কারণে অনেকেই সঠিক সময়ে কর্মস্থল, হাসপাতাল ও মার্কেটে পৌঁছুতে পারেন না। এই জনভোগান্তি হ্রাস করার জন্য রমজান মাসে ঢাকা মহানগরীর সড়ক সমূহে ইউটিলিটি সংক্রান্ত কাজ নতুন করে আরম্ভ করা সমীচীন হবে না। পবিত্র রমজান মাসে ঢাকা মহানগরীতে বিভিন্ন সংস্থা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ইউটিলিটি সংক্রান্ত কাজ নতুন করে আরম্ভ না করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এমপ রমজ ন রমজ ন ম স ইউট ল ট

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ