পরিসংখ্যান ব্যুরোতে বড় নিয়োগ, পদ ২৬৬
Published: 13th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর রাজস্ব খাতভুক্ত একাধিক শূন্য পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে ৬ ক্যাটাগরির পদে ১৭ ও ২০তম গ্রেডে মোট ২৬৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
১. পদের নাম: সহকারী স্টোরকিপারপদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস।
বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)
২.পদের নাম: মেশিনম্যান
পদসংখ্যা: ৩
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কোনো স্বীকৃত প্রিন্টিং প্রেসে মেশিনম্যান সহকারী হিসেবে অন্যূন দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)
৩. পদের নাম: মেশিনম্যান কাম ক্লিনারপদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কোনো স্বীকৃত প্রিন্টিং প্রেসে মেশিনম্যান সহকারী হিসেবে অন্যূন দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)
আরও পড়ুনশিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, সংশোধিত পদ ১৮৭২ ঘণ্টা আগে৪. পদের নাম: প্যাকারপদসংখ্যা: ৩
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। প্যাকিং কাজে অন্যূন দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)
৫. পদের নাম: চেইনম্যানপদসংখ্যা: ১৭৯
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। সংশ্লিষ্ট কাজে বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
৬. পদের নাম: অফিস সহায়কপদসংখ্যা: ৭৭
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
বয়স
১ মার্চ ২০২৫ তারিখে আবেদনকারীর সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বয়স হবে ১৮ থেকে ৩২ বছর। বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে কোনো অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না।
আরও পড়ুনখাদ্য অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, ১৩ থেকে ১৯তম গ্রেডে পদ ১৭৯১১১ মার্চ ২০২৫আবেদন যেভাবেআগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য একই ওয়েবসাইট বা বিবিএসের ওয়েবসাইটে জানা যাবে। অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ নম্বরে অথবা যেকোনো অপারেটর থেকে ০১৫০০-১২১১২১ নম্বরে কল করা যাবে। এ ছাড়া [email protected] ঠিকানায় ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে। মেইলের সাবজেক্টে প্রতিষ্ঠান ও পদের নাম এবং ইউজার আইডি ও যোগাযোগের নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
আবেদন ফিঅনলাইনে আবেদন করার অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা ফি বাবদ ১ থেকে ৬ নম্বর পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ৫৬ টাকা এবং সব গ্রেডের জন্য (অনগ্রসর নাগরিক: ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ) আবেদন ফি বাবদ ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মুঠোফোন নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
আবেদনের সময়সীমা: ১৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল ২০২৫, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুননৌবাহিনীতে বেসামরিক পদে চাকরি, ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে পদ ২৫২১১ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমম ন প স গ র ড ১৭ পদ র ন ম পদস খ য য গ যত
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানে আহত সামিউলের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা রাখা বাগেরহাটের ছাত্র সামিউল ইসলাম এখন চরম অসহায়ত্ব ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছেন। হামলায় গুরুতর আহত হওয়ায় তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। এমনকি, ঠিকভাবে বসতেও পারেন না সামিউল।
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বাগেরহাট কোর্ট চত্বরে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলার শিকার হন সামিউল ইসলাম। এতে তার হাতের পেশি কেটে যায় এবং মাথা ও পিঠে গুরুতর আঘাত লাগে। নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরও পুরোপুরি সুস্থ হননি তিনি।
এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা সামিউল ইসলামের। ২৬ জুন শুরু হতে যাওয়া পরীক্ষায় অংশ নেওয়া নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। তার পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা দাবি জানিয়েছেন, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন পরীক্ষায় বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়, সেরকম ব্যবস্থা করা হোক সামিউলের জন্যও।
সামিউলের প্রতিবেশী শামসুদ্দোহা বলেছেন, “সামিউল হামলায় আহত হওয়ার পর থেকেই নানা সমস্যায় ভুগছে। সরকারিভাবে যেভাবে অসুস্থদের সহায়তা দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়, সেভাবে তাকেও সুযোগ দেওয়া হোক।”
সামিউলের বাবা আইয়ুব আলী শেখ বলেছেন, “আমার একমাত্র ছেলে এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি। এখনো তার পিঠ ও হাতে ব্যথা আছে। অনেক খরচ করে চিকিৎসা করালেও উন্নতি হয়নি। সরকার যেন উন্নত চিকিৎসা ও পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়।”
সামিউলের মা রুবিয়া বেগম বলেছেন, “ছাত্রলীগের হামলায় ওর যা অবস্থা হয়েছে, তা বলার মতো না। আমরা ওকে ভয়ে কোথাও নিতে পারিনি। এখন সে কিছুই করতে পারে না। পরীক্ষা দিতে পারলে হয়ত ভবিষ্যতের একটা রাস্তায় পৌঁছাতে পারত।”
সামিউল ইসলাম বলেছেন, “আমি এখনো স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারি না। খেতেও কষ্ট হয়। লেখালেখি করতে পারি না। এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার স্বপ্ন ছিল, কিন্তু এখনো সুস্থ না হওয়ায় সব অনিশ্চিত হয়ে গেছে। আমি চাই, সরকার যেন আমাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেয় এবং উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।”
আন্দোলনের সহযোদ্ধা মো. রেজুয়ান শেখ বলেন, “ছাত্রলীগ রামদা ও হকিস্টিক দিয়ে সামিউলের ওপর হামলা চালায়। সে এখন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে কি না, তা নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাগেরহাট জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক নাঈম শেখ বলেছেন, “সামিউলের চিকিৎসা এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সে আমাদের আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী। তার বর্তমান অবস্থা আমাদের ব্যথিত করে।”
রাংদিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন বলেছেন, “সামিউল মেধাবী শিক্ষার্থী। সরকার যদি তাকে বিশেষ সুবিধা দেয়, তাহলে সে ভালো ফল করতে পারবে।”
ঢাকা/শহিদুল/রফিক