মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় মাগুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে এই জবানবন্দি দেন। 

বাদীপক্ষের প্যানেল আইনজীবি অ্যাডভোকেট শাহেদ হাসান টগর জানান, মামলার প্রধান আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। জবানবন্দি প্রদানকালে হিটু শেখ জানান, নির্জন ঘরে একা পেয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গুম সনদে সই করলেও রয়ে গেছে অনেক চ্যালেঞ্জ: জাতিসংঘের গুম কমিটি

বাংলাদেশ জাতিসংঘের গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে সই করলেও এখনো রয়ে গেছে অনেক চ‍্যালেঞ্জ। এই সংকট উত্তরণের সহজ উপায় হচ্ছে গুমের শিকার হওয়া পরিবারগুলোর কথা শোনা।

আজ সোমবার সকালে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল সিদ্দিকীর সঙ্গে আলোচনার পর জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের ভাইস চেয়ারম‍্যান গ্রাজিনা বারানোস্কা এ মন্তব্য করেছেন।

গ্রাজিনা বারানোস্কা বলেন, ‘বাংলাদেশ গুমবিষয়ক সনদ সইয়ের পর আমরা এসেছি। সফরটি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কাছে মনে হয়, ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা করাই আসল বিষয়। সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমের ওপর পর্যবেক্ষণ বাড়াতে হবে। এখনো অনেক চ‍্যালেঞ্জ আছে।’ তিনি গুমের অভিযোগগুলোর বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের ওপর জোর দেন।

ওয়ার্কিং গ্রুপের অন‍্য সদস‍্য আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ বলেন, ভুক্তভোগীদের সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতেই এই সফর। যাঁরা গুম হয়েছেন, তাঁদের ন্যায়বিচার পাওয়ার বিষযয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ডব্লিউজিইআইডি প্রতিনিধিদল বলপূর্বক গুম–সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন, বিশেষ করে বলপূর্বক গুম থেকে সব ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সনদে (আইসিপিপিইডি) বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিকে স্বাগত জানান। তাঁরা বলপূর্বক গুম–সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন (সিওআই) কর্তৃক প্রদর্শিত কাজ এবং প্রতিশ্রুতিরও প্রশংসা করেন।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব মানবাধিকার সমুন্নত, সুরক্ষা ও প্রচার এবং ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের অটল সংকল্পের ওপর জোর দেন। তিনি এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের সমর্থন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তাকে স্বাগত জানান।

গতকাল রোববার জাতিসংঘের গুম কমিটির দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল চার দিনের সফরে ঢাকায় আসে। ১৮ জুন তাদের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

এক যুগ ধরে গুম নিয়ে তদন্ত করতে বাংলাদেশে সফর করতে চাইছিল ডব্লিউজিইআইডি। তারা প্রথম ২০১৩ সালের ১২ মার্চ সফরের জন্য সরকারকে চিঠি দেয়। এরপর একাধিকবার বাংলাদেশ সফরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করলেও তখনকার সরকার তাতে কোনো সাড়া দেয়নি। ডব্লিউজিইআইডি বাংলাদেশ সফরে বিগত সরকারের কাছে সর্বশেষ অনুরোধ করেছিল ২০২০ সালের ২৪ এপ্রিল। তবে এবার অন্তর্বর্তী সরকার তাদের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে।

আরও পড়ুনগুম বিষয়ে আইন হচ্ছে, আইনের আওতায় কমিশন গঠনের পরিকল্পনা: আইন উপদেষ্টা৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ