বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন সোনাতলা গ্রামে ২০ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে স্থানীয়দের সহায়তায় সোনাতলা কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ (সিপিজি) ও ভিটিআরটি টিমের সদস্যরা সাপটি উদ্ধারের পর বনে অবমুক্ত করে।
সিপিজি লিডার মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘গ্রামের মরিয়ম বেগম নামের এক নারী দুপুরে তার একটি ছাগল খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় মালেকের বাড়ির বাগানে বিশাল অজগরটিকে দেখতে পান। সাপটি ছাগলটিকে পেঁচিয়ে ধরেছিল। এ সময় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ছাগলটিকে ছেড়ে দিয়ে পাশের ঝোপে আশ্রয় নেয় সাপটি। পরে তল্লাশি চালিয়ে সেটিকে উদ্ধার করা হয়।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘উদ্ধার হওয়া অজগরটি প্রায় ২০ ফুট লম্বা এবং ওজনে প্রায় ৫৫ কেজি। হঠাৎ এ ধরনের বড় সাপ লোকালয়ে দেখা দেওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও গবাদি পশুর নিরাপত্তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।’’
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা মো.
ঢাকা/শহিদুল/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বহর নিয়ে সাবেক যুবদল নেতার সুন্দরবন ভ্রমণ
জীব ও প্রাণ-বৈচিত্র্য রক্ষার অংশ হিসেবে সুন্দরবনকে বিশ্রাম দিতে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা চলছে। ১ জুন থেকে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়ে বনজীবী থেকে শুরু করে পর্যটক, কেউই সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন না। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবন ঘুরেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন। তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা যুবদল ও মৎস্যজীবী দলের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী।
গত শুক্রবার তারা ভ্রমণে যান। সুন্দরবনের কলাগাছিয়া টহল ফাঁড়িতে অবস্থানকালে নিজেদের ছবি রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সুন্দরবনে প্রবেশ নিয়ে জানতে চাইলে যুবদলের সাবেক নেতা আমিনুর রহমান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক উপসচিব সুন্দরবনে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। এডিসি পদমর্যাদার একজনের মাধ্যমে বন বিভাগের কাছ থেকে ১০ জনের অনুমতি মেলে। ওই দলে তিনি যুক্ত হওয়ার পর স্থানীয় কিছু কর্মী-সমর্থক তাঁর সঙ্গে ট্রলারে উঠে পড়েন। এ সময় তাদের আর নামিয়ে দেওয়া যায়নি।
উপসচিব বা তাঁর জন্য নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সুন্দরবনে যাওয়া উচিত ছিল কিনা– জানতে চাইলে আমিনুর বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা চলার তথ্য আমাদের জানানো হয়নি।’ কথা বলার জন্য ওই উপসচিবের নাম ও যোগাযোগ নম্বর চাইলে তিনি দেননি।
এ বিষয়ে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের জিয়াউর রহমান বলেন, এক উপসচিবের একান্ত সচিব (পিএস) পরিচয়ে ১০ জনের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতি চাওয়া হয়। অনেকটা ‘অনুরোধে ঢেঁকি গেলা’র মতো করে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে একই সঙ্গে কয়েক রাজনৈতিক ব্যক্তির সুন্দরবনে যাওয়ার বিষয়টি তারা জানতে পারেন। ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের এমন আবদারে তারা অসহায় হয়ে পড়েন।