আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত ফিল সিমন্সকে নিয়োগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাকে এবার দুই বছরের জন্য আবারো নিয়োগ দিলো বিসিবি। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ থাকবেন বাংলাদেশ দলের সঙ্গে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর নিশ্চিত করেছে। চন্ডিকা হাথুরুসিংহকে ফারুক আহমেদের বোর্ড বরখাস্ত করার পর ফিল সিমন্সকে নিয়োগ দেওয়া হয়। গত বছরের আগস্টে তাকে দায়িত্ব দেয় বিসিবি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের তালিকায় সিমন্সকে না রাখলেও কাছাকাছি রাখতে হয়। খেলোয়াড়ি জীবনে বেশ সমৃদ্ধ ছিল তার ক্যারিয়ার। ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে খেলতেন সিমন্স। নব্বই দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সোনালী সময়ের খেলোয়াড়দের অন্যতম সিমন্স। আয়ারল‌্যান্ড, আফগানিস্তানের সাবেক কোচ সিমন্স। এখন কাজ করছেন পাকিস্তান সুপার লিগে। চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফির পরপরই বিসিবি জানিয়েছিল, সিমন্সকে নিয়ে তারা ইতিবাচক। পুনরায় কোচ হওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। দুই পক্ষের আলোচনা ও চুক্তি শেষে বিসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে কোচ হিসেবে সিমন্সের নাম ঘোষনা করেছে।

আরো পড়ুন:

হাসপাতালের পথেই তামিমের ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’, যা জানা গেল

বাংলাদেশের কোচ-অধিনায়ক চূড়ান্ত হবে সোমবার

পুনরায় বাংলাদেশে কাজ করার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত সিমন্স, ‘‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে দীর্ঘমেয়াদীভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। এই দলের মধ্যে প্রতিভা অফুরন্ত এবং আমি বিশ্বাস করি আমাদের একসাথে দুর্দান্ত কিছু অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। আমি সামনের যাত্রার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’’

‘‘ইতিমধ্যেই কিছু ব্যতিক্রমী খেলোয়াড়ের সাথে কাজ করার পর, আমি এই দলে প্রচুর সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। তাদের দক্ষতা এবং খেলার প্রতি আবেগ আমাকে প্রতিদিন অনুপ্রাণিত করে। একসাথে, আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারি এবং সত্যিই বিশেষ কিছু তৈরি করতে পারি।’’

‘‘গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশ দলের সাথে আমার সময় অবিশ্বাস্যভাবে ফলপ্রসূ হয়েছে। এই দলের মধ্যে শক্তি, প্রতিশ্রুতি এবং ক্ষমতা চিত্তাকর্ষক। আমি এই খেলোয়াড়দের তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে সাহায্য করতে পেরে উচ্ছ্বসিত।’’

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স মন স ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে

সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। এ ব্যয় বহন করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজেটে সরকারের সুদ পরিশোধ সংক্রান্ত পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে সুদ ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে।

পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ১৫ ভাগ অর্থই সুদ খাতে খরচ করতে হচ্ছে এখন। এ পরিস্থিতিতে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতেই ব্যয় করতে হবে চার লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে সুদ ব্যয় বাড়ছে ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে শতাংশের হিসাবে বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয় সবচেয়ে বেশি বাড়বে।

অর্থ বিভাগের করা ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি-২০২৫-২০২৬ থেকে ২০২৭-২০২৮’ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হয়েছিল এক লাখ  ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয় ছিল ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় গেছে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে (যা চলতি জুনের ৩০ তারিখে শেষ হয়ে যাবে) মূল বাজেটে সুদ খাতে ব্যয় বরাদ্দ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছর শেষে এই সীমায় সুদ ব্যয় ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ হিসাবের মধ্যে ছিল অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ব্যয় ৯৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণের ২২ হাজার কোটি টাকা।

একইভাবে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়েরও একটি প্রক্ষেপণ করেছে অর্থ বিভাগ। এই হিসেবে দেখা যায় আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হবে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা (অভ্যন্তরীণ এক লাখ কোটি টাকা , বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকা)। একইভাবে এর পরের অর্থবছর ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরে একলাখ ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা(অভ্যন্তরীণ এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের ২৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা) এবং ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়ের  প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। 

অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে,  মোট সুদ ব্যয়ের সিংহভাগই অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে  ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে এক লাখ ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা গিয়ে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মোট বাজেটের অনুপাতে অভ্যন্তরীণ সুদ পরিশোধের হার ২০২৩ -২০২৪ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ মোট সুদ ব্যয়ের তুলনায় কম, তবে এটি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে এটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ২৭ হাজার ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। মোট বাজেটের অনুপাতে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এ সময়কালে ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।

বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের কার্যকর ব্যবস্থাপনা শুধু আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই নয়, বরং এটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক ঋণমান বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতের উন্নয়ন সম্ভাবনা সুরক্ষিত রাখার জন্য অপরিহার্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ: এবার কাদের বিপক্ষে, কবে খেলবে বাংলাদেশ?
  • পাঁচ বছরে বাড়বে ৬৫ শতাংশ
  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা
  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়
  • সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে