Prothomalo:
2025-05-01@03:32:30 GMT

শবে কদর অনুসন্ধান করুন

Published: 27th, March 2025 GMT

রমজান বিষয়ক রাসুলের (সা.) আদর্শ ও যাপন পদ্ধতি গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে এ বিষয়টি ফুটে উঠে যে, তিনি অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে শবে কদরের অনুসন্ধান করতেন, সারা রাত জেগে কাটাতেন। অন্য যে-কোনো রাতের তুলনায় অধিক ফজিলতের হওয়ার কারণে রাসুল (সা.) শবে কদরকে এতটা গুরুত্ব দিয়েছেন।

তিনি কদর অনুসন্ধান করার জন্য সাহাবিদের উৎসাহ দিতেন। যেমন তিনি বলেছেন, ‘রমজানের শেষ দশ দিনে তোমরা শবে কদর অনুসন্ধান কোরো।’ (বুখারি, হাদিস: ২,০২০)

আবার বলেছেন, ‘রমজানের শেষ দশ দিনের বেজোড় সংখ্যক রাতে তোমরা শবে করের খোঁজ করো।’ (বুখারি, হাদিস: ২,০১৭)

আরও পড়ুনজীবনজুড়ে রমজান২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

তবে যারা দুর্বল ও অসুস্থ, রাসুল (সা.

) তাদের ক্ষেত্রে কেবল শেষ সাত রাত্রিতে অনুসন্ধানের আদেশ দিয়ে বলেছেন, ‘যদি তোমাদের কেউ দুর্বল হয়, কিংবা অক্ষম হয়ে পড়ে, তবে শেষ সাতে যেন পরাভূত হয়ে না পড়ে।’ (মুসলিম, হাদিস: ২,৮২২)

সাহাবিদের জীবনাচার পুঙ্খানুপুঙ্খ দৃষ্টিতে বিচার করলে দেখা যাবে, রাসুল (সা.) তাদেরকে যার মাধ্যমে শবে কদরের ব্যাপারে সর্বাধিক উৎসাহিত ও উদ্দীপিত করেছেন, তা হলো: কর্মের মাধ্যমে মূর্ত আদর্শ সকলের সামনে তুলে ধরা। রাসুল (সা.) যে রাতকে ভাবতেন শবে কদর হিসেবে, সে রাতের ইবাদতে তিনি কঠিন পরিশ্রম করতেন। সাহাবিগণ সরাসরি রাসুলের (সা.) সংস্পর্শে সে রাত যাপন করতে উৎসাহিত হতেন। সুতরাং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার কর্তব্য কদরের রাত্রি অনুসন্ধান করা এবং রাত জেগে এবাদত-বন্দেগি করা।

আরও পড়ুন শুক্রবারের আমল২৪ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

নায়িকা হতে আসিনি, তবে...

গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।

এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।

‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।

ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।

আইমন শিমলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ