রমজান জুড়ে ৫ জেলায় এস্পায়ার বাংলাদেশের সহায়তা
Published: 29th, March 2025 GMT
রমজানে মাস জুড়ে উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলার বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসায় ইফতার বিতরণ এবং নিম্নআয়ের পরিবারের জন্য ঈদ বাজার বিতরণ করেছে ইয়ুথ সংগঠন এস্পায়ার বাংলাদেশ। এসব জেলাগুলো হলো- রংপুর, টাঙ্গাইল, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও দিনাজপুর।
সংগঠনটির নিজস্ব অর্থায়নে ও পরিকল্পনায় এ উদ্যোগ গত ১২ মার্চ থেকে শুরু হয়। এ সংগঠনের সদস্যরা হাজী মোহম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
রমাদেনের কার্যক্রম সম্পর্কে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মো.
এস্পেয়ার বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যার টেকসই সমাধান প্রচারে নিবেদিত। ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত সংস্থাটির লক্ষ্য উদ্ভাবনী, পরিবেশ বান্ধব এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন করা।
এস্পেয়ার বাংলাদেশের মতে, টেকসই অনুশীলন দীর্ঘমেয়াদী পরিবেশগত এবং সামাজিক সুস্থতার গ্যারান্টি দেবে, স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করবে এবং সমাজে জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে। কমিউনিটি বেস প্রকল্প এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, বাংলাদেশের নাগরিক এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দীর্ঘস্থায়ী উপকারী পরিবর্তন আনতে কাজ করছে।
ঢাকা/সংগ্রাম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাণের গানে সালাহর উৎসব
শেষ বাঁশি বাজতেই নেচে-গেয়ে উৎসবে মাতেন সালাহ-অ্যালিসন-এলিস্টাররা। তবে পর্বটা খুব বেশি লম্বা হয়নি। অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক সবাইকে ডেকে মাঠের একটি গোলপোস্টের সামনে জড়ো করেন। আর্নে স্লটের নেতৃত্বে কোচিং স্টাফরাও যোগ দেন সেখানে। গ্যালারি সামনে রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চেইনের মতো করে সারিবদ্ধভাবে দেয়াল বানিয়ে দাঁড়ান সবাই। পুরো এনফিল্ড তখন সমবেত কণ্ঠে গাইতে শুরু করে– You’ll Never Walk Alone...। অলরেডদের হৃদয় থেকে উৎসারিত এ গানেই পূর্ণতা পায় উৎসব।
এ গানের সঙ্গে সঙ্গে অন্য রকম এক আবহ তৈরি হয় সেখানে। বিশ্বের কোনো স্টেডিয়াম ছুঁতে পারবে না এনফিল্ডের এই আবহ। এই আবহ তৈরি অলরেডদের বিশ্বাসে, বছরের পর বছর যারা কেউ কাউকে একা হাঁটতে দেয়নি। রোববার সকাল থেকেই এনফিল্ডের চারপাশে তৈরি হয়েছিল উৎসবের পরিবেশ। আতশবাজি ও লাল আবিরে রঙিন হয়ে উঠেছিল লিভারপুলের আকাশ-বাতাস। আগে থেকেই বন্দর শহরটির দেয়ালে দেয়ালে ঐতিহাসিক গানটির সঙ্গে ‘২০’ লেখা গ্রাফিতি আঁকা শুরু হয়ে গিয়েছিল।
ম্যাচ শুরুর দুই ঘণ্টা আগেই এনফিল্ড চত্বর রীতিমতো অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আর্নে স্লট, সালাহদের স্বাগত জানাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজার হাজার সমর্থক। লাল জার্সি পরা কাতারে কাতারে সমর্থকদের মাঝখান দিয়ে লাল বাসে করে লিভারপুলের ফুটবলাররা স্টেডিয়ামের আঙিনায় প্রবেশ করেন অন্যরকম এক পরিবেশে। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমের পর ৩০ বছর ট্রফি জেতেনি তারা। পাঁচ বছর আগে ট্রফি জিতলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে উদযাপন হয়েছিল দর্শকশূন্য গ্যালারিতে। তাই এমন অনেক সমর্থক আছেন, যারা প্রিয় ক্লাবকে লিগ জিততে দেখেননি। সেই তরুণ প্রজন্মের উচ্ছ্বাসটা ছিল বেশি।
২০তম শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব আর্নে স্লট দিয়েছেন সাবেক কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপকে। এমনকি তিনি সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে পুরো গ্যালারিকে নিয়ে ক্লপের নামে গানও গেয়েছেন। ২০১৫ সালে লিভারপুলে যোগ দেওয়ার পর ক্লপ তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন ক্লাবটিকে। এর মধ্যে দুবার অবিশ্বাস্য লড়াই করেও মাত্র ১ পয়েন্টের ব্যবধানে ম্যানসিটির কাছে শিরোপা হারাতে হয়েছিল তাদের। ২০২০ সালে জিতলেও সমর্থকদের নিয়ে উল্লাস করতে পারেননি।
ক্লপের লিগজয়ী দলের সদস্য ছিলেন মোহামেদ সালাহ। এবার ভিন্ন স্বাদ পেয়েছেন মিসরীয় এ তারকা। শিরোপা জয়ের পর স্কাই স্পোর্টসকে তিনি বলেন, ‘সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে শিরোপা জয়ের অনুভূতি অবিশ্বাস্য। গতবারের (২০২০) চেয়ে এবার শতভাগ ভালো ছিল। এটা অনেক বেশি আনন্দময়। এটা সত্যিই বিশেষ কিছু।’
প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগ জেতা আর্জেন্টাইন তারকা এলেক্সিস ম্যাক এলিস্টারের জন্যও এ শিরোপা বিশেষ কিছু, ‘বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, এখন জিতেছি প্রিমিয়ার লিগ। আমার জন্য সত্যই এটা বিশেষ কিছু। সতীর্থদের ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। আমাদের দলটি সত্যিই অসাধারণ।’