ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর স্ত্রী নৃত্যশিল্পী ডোনা গাঙ্গুলী পুলিশের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, তাঁর ওর তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে কুৎসা রটানো হচ্ছে। একজন নারী ইউটিউবার সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্ট দিয়েছেন।

কলকাতা পুলিশ বলেছে, ডোনার গাঙ্গুলীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

গত সপ্তাহে ডোনা যে অভিযোগ দায়ের করেন তাতে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে কলকাতার একজন স্ব-ঘোষিত ‘ইনফ্লুয়েন্সার’ গাঙ্গুলী পরিবারের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ করেছেন। ওই ইউটিউবার বলেছেন, গাঙ্গুলী পরিবার একজন অসুস্থ সবজি বিক্রেতার প্রতি অবহেলামূলক আচরণ করেছেন। এই প্রতিবেদনে ওই ইউটিউবার গাঙ্গুলী পরিবারের বাড়ি এবং গাড়ির ছবি দিয়েছেন।

পুলিশ বলেছে, ওই ইউটিউবার গাঙ্গুলী পরিবারের প্রতিবেশী। তিনি যে গাড়িটির ছবি প্রকাশ করেছেন তাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকার লাগানো আছে। ডোনা গাঙ্গুলী ওই গাড়িতে করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলেও তিনি দাবি করেছেন।

গাঙ্গুলী পরিবারের একজন মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা স্পষ্ট করতে চাই যে, এই ধরনের কোনও এসইউভি এলাকার কেউ ব্যবহার করে না।’

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ডোনা, সৌরভ ও তাদের মেয়েকে দেখা গিয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ডোনা মুখ্যমন্ত্রীকে টেমস নদীর ধারে তাদের বাড়ি দেখাচ্ছেন।

এ ঘটনায় হয়তো কলকাতায় রাজনীতির রং লেগেছে। মনে করা হচ্ছে, এই পোস্টগুলি ইচ্ছাকৃতভাবে গাঙ্গুলী পরিবারের সুনাম নষ্ট করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

অন্যদিকে, ওই ইউটিউবার অভিযোগ করেছেন, তিনি টেলিফোনে হুমকি পাচ্ছেন। তিনি তাঁর বিতর্কিত পোস্টগুলো সরিয়ে নিয়েছেন। তবে তিনি এখনো হুমকি পাওয়ার বিষয়ে পুলিশের কাছে কোন অভিযোগ করেননি।

কলকাতা পুলিশের সাইবার সেল এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত করেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র র কর ছ ন কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

একজন মার্করাম, একটি সেঞ্চুরি এবং ২৭ বছর পর একটি ট্রফি

কে বেশি ক্লান্ত—ক্রিকেট না দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেটের ক্লান্তি দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছু দিতে না পারার আর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্লান্তি ক্রিকেটের কাছ থেকে বৈশ্বিক কোনো শিরোপা নিতে না পারার! অবশেষে ক্লান্তির সেই কবিতার ক্লাস শেষ হলো। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছু দিল অথবা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট খেলাটিকে দায়মুক্ত করল তার কাছ থেকে একটি বিশ্বকাপ নিয়ে! ক্রিকেটকে দায়মুক্ত করা বা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যর্থতার একঘেয়ে ক্লান্তি ঘোচানোর নায়ক কে? লর্ডসে ২০২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচটি বিশ্লেষণ করলে প্রশ্নটিকে অতীব সহজ মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। উত্তরটাও সবার এখন জানা। একবাক্যে সবাই বলবেন, নায়কের নাম এইডেন মার্করাম।

টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি—ক্রিকেটের যে সংস্করণের কথাই বলুন, দক্ষিণ আফ্রিকা খেলাটির অন্যতম পরাশক্তি। কিন্তু ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে হওয়া আইসিসি নকআউট ট্রফি (মিনি বিশ্বকাপ) ছাড়া আজকের আগপর্যন্ত কোনো বৈশ্বিক ট্রফি প্রোটিয়াদের ছিল না।

অবশেষে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার মাথায় বিশ্বসেরার মুকুট উঠল, ক্রিকেট-তীর্থ নামে পরিচিত লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক মেইস বা গদা তুলে ধরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই দলটির অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ২৭ বছর পর বড় কোনো টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকা বলতে গেলে একা হাতে শিরোপা জিতিয়েছেন মার্করাম। আরও স্পষ্ট করে বললে আসলে প্রোটিয়াদের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা এনে দিয়েছে মার্করামের ইতিবাচকতা, আত্মবিশ্বাস ও দায়িত্ব নিয়ে খেলার দৃঢ়তা।  

ঠিক ১১ বছর আগে মার্করাম নিজেকে ঠিক এ রকম তিনটি শব্দেই বর্ণনা করেছিলেন। সালটা ২০১৪, সেবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ছিলেন মার্করাম। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আইসিসির এক অনুষ্ঠানে মার্করামকে প্রশ্ন করা হয়েছিল—নিজেকে তিনটি মাত্র শব্দে কীভাবে বোঝাবেন। উত্তর যেন মুখস্থ, এমনভাবেই ১৯ বছর বয়সী তরুণ মার্করামের উত্তর ছিল—ইতিবাচক, আত্মবিশ্বাসী ও দায়িত্ববান।

সেঞ্চুরির পর মার্করাম

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাতারাতি তারকা হলে দীর্ঘ সময় দর্শকের মনে থাকা কঠিন: রিচি
  • গুম করা হতো তিনটি ধাপে 
  • এক মৃত্যুপথযাত্রী পিতার থেকে ২০টি শিক্ষা
  • রেনু বেগমের ‘বুকভাসা চোখের পানি’ কেন
  • ইরান অনড়, ইসরায়েল কঠোর
  • ইরানে নিরাপদে আছেন ৬৬ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
  • নীরব ভালোবাসার আরেক নাম
  • নারীবাদের ছদ্মবেশে ভারত যখন যুদ্ধ চালায়
  • কুমিল্লায় করোনায় আক্রান্ত ৪
  • একজন মার্করাম, একটি সেঞ্চুরি এবং ২৭ বছর পর একটি ট্রফি