মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ২০ বাংলাদেশি
Published: 13th, April 2025 GMT
মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়া ২০ বাংলাদেশি দেশে ফিরছেন।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, অসাধু দালালরা ২০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরদের মালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টা করেছিল। পথিমধ্যে মিয়ানমারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তারা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক হয়।
মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এবং তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পর, বাংলাদেশ দূতাবাস আজকের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা নেয়। গত কয়েক মাস ধরে তারা মিয়ানমারে আটক অবস্থায় ছিল।
বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর জাহাজে মিয়ানমারের সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে উদ্ধার তৎপরতা ও চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আগত ৫৫ সদস্যের দলটিও ১০ দিনব্যাপী কার্যক্রম শেষ করে বাংলাদেশে ফিরছে। মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড.
রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন ২০ জন বাংলাদেশি তরুণের হস্তান্তর কার্যক্রম চলাকালে বন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, যারা অবৈধভাবে মিয়ানমারে প্রবেশ করেছেন, তাদের যাচাই-বাছাই করে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য দূতাবাস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি সম্প্রতি মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টার থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত আনার উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি বৈদেশিক কর্মসংস্থানের উদ্দেশে বিদেশ গমনেচ্ছু সবাইকে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানান এবং সন্দেহজনক বা প্রতারণামূলক চাকরির প্রলোভনে না পড়ার পরামর্শ দেন।
গত দুই বছরে বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুন মিয়ানমার থেকে ৩৫২ জন বাংলাদেশিকে সফলভাবে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়। সর্বশেষ প্রত্যাবাসন কার্যক্রমটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২৮ সেপ্টেম্বরে, তখন ৮৫ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসেন। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা বন্দরে উপস্থিত থেকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়, নাগরিকত্ব যাচাই এবং প্রত্যাবাসনকারীদের জন্য ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করেন।
বিএনএস সমুদ্র অভিযান মিয়ানমারের ভূমিকম্প দুর্গত জনগণের জন্য ১২০ মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ১১ এপ্রিল ইয়াংগুন আসে। জাহাজটি আগামী ১৫ এপ্রিল বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।
ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫