ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে আইন সমিতির মানববন্ধন ও পথযাত্রা কর্মসূচি
Published: 15th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় নিরীহ মানুষের ওপর বোমা ও গুলিবর্ষণ, হত্যাকাণ্ড, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও পথযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ আইন সমিতি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে প্রথমে মানববন্ধন ও পরে পথযাত্রা হয়।
‘ইসরায়েল কর্তৃক গাজায় নিরীহ মানুষের ওপর বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধ ও ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও পথযাত্রা’; আয়োজনে বাংলাদেশ আইন সমিতি—এমন ব্যানারে বেলা একটার দিকে মানববন্ধন শুরু হয়। মানববন্ধন শেষে সেখান থেকে পথযাত্রা শুরু করে মাজার গেট দিয়ে বের হয়ে শিক্ষা ভবন হয়ে আবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে এসে তা শেষ হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আইন সমিতির আহ্বায়ক আইনজীবী মনির হোসেন। মানববন্ধনে তিনি বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে ক্রমাগত বোমা ও গুলিবর্ষণের মাধ্যমে প্রায় ৬২ হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। গাজায় বেশির ভাগ ভবন, বাড়িঘর ভেঙে নিশ্চিহ্ন করেছে। এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নেতানিয়াহুর আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার দাবি করছি এবং মানুষ ও জানমালের ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি মুসলমানদের গাজাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি দুদিন পর দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে দুই দিন দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকার পর আবারও খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এটি দর্শনার্থীদের প্রবেশের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এর পর থেকে আগের মতো দর্শনার্থীরা রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি ঘুরে দেখতে পারছেন।
রবীন্দ্র কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে ১১ জুন থেকে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দর্শনার্থীরা ফিরে গিয়েছেন। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক ও সুধীসমাজের সঙ্গে কথা বলে এটিকে চালু করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আজ সকাল ১০টার দিকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) শেখ কামাল হোসেন এবং সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম উপস্থিত থেকে কাছারি বাড়ি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ব্যাপারে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। আজ শুক্রবার বিকেলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে সে অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে ৮ জুন মোটরসাইকেল পার্কিংকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে এক দর্শনার্থীকে আটকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দর্শনার্থী মো. শাহনেওয়াজ কাস্টোডিয়ানসহ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাহজাদপুর থানায় ওই দিন রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
এদিকে এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে ‘শাহজাদপুরের সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল শাহজাদপুরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন হামলা চালিয়ে কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ানের কার্যালয়সহ মিলনায়তনের দরজা-জানালা ও আসবাব ভাঙচুর করেন। এ সময় বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুশফিকুর রহমান ও থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এমন অবস্থায় বুধবার সকাল থেকে কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছিল।
হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর বুধবার দুপুরের দিকে কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ১২ জনের নামে থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এ মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।