সুদানে সামরিক সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বী আরেকটি সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। আফ্রিকার দেশটিতে প্রায় দুই বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের ওই লড়াই সেখানে চরম মানবিক সংকট তৈরি করেছে।

প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার গঠনের ঘোষণার পর আরএসএফ প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো বলেছেন, কেবল তাঁরাই সুদানের জন্য একটি বাস্তবসম্মত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করতে পারবেন। মোহাম্মদ হামদান দাগালো সবার কাছে জেনারেল হেমেদতি নামে পরিচিত।

সুদানে গৃহযুদ্ধের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে লন্ডনে গতকাল মঙ্গলবার উচ্চপর্যায়ের একটি সম্মেলন হয়েছে। সেখানে সুদানে লড়াইরত সব পক্ষকে শান্তির পথে হাঁটার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। জেনারেল হেমেদতি বলেছেন, আরএসএফ এমন একটি দেশ নির্মাণ করছে, যেখানে কোনো ব্যক্তির শাসন নয়; বরং আইনের শাসন থাকবে।

আরও পড়ুনদুই বছর পর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের আবার নিয়ন্ত্রণ নিল সুদানের সেনাবাহিনী২২ মার্চ ২০২৫

টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে হেমেদতি আরও বলেন, ‘আমরা ঐক্য চাই, আধিপত্য নয়। সুদানি সত্তার ওপর কোনো জাতি, অঞ্চল বা ধর্মের একক আধিপত্যে আমরা বিশ্বাস করি না।’

হেমেদতি বলেন, তাঁর সরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো জরুরি পরিষেবা দেবে এবং সেটা শুধু তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকার মানুষের জন্য নয়; বরং পুরো দেশের মানুষের জন্য।

সুদানে দুই বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে সামরিক বাহিনী ও আরএসএফ উভয়ের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং ব্যাপকভাবে যৌন নিপীড়ন চালানোর মতো যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুনসুদানে জেনারেলদের এই যুদ্ধে কেউ কি জয়ী হবে?৩০ এপ্রিল ২০২৩

সুদানের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের সঙ্গে একসময়ে তাঁর সহকারী আরএসএফের প্রধান জেনারেল হেমেদতির ক্ষমতার দ্বন্দ্বে ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। দুই বছরে যুদ্ধে দেড় লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুহারা হয়েছেন ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ।

আরও পড়ুনদুই জেনারেলের ক্ষমতার দ্বন্দ্বে রক্তাক্ত সুদান২৪ এপ্রিল ২০২৩.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ বন দ ব দ ই বছর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা

অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৪ তরুণ। কিন্তু দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর পাঁচ মাস ধরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের দাবি, দালালের প্রলোভনে পড়ে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।

ইউরোপের কোনো দেশে গেলে সচ্ছলতা আসবে, এমন ধারণা নিয়ে প্রতিবছর মাদারীপুর থেকে শত শত তরুণ সেখানে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। তবে অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কেউবা দালালের খপ্পরে পড়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে কাটাচ্ছেন বন্দিজীবন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৫ জন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মারা গেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছেন অন্তত ৩৫০ তরুণ। নিখোঁজ আছেন তিন শতাধিক।

সবশেষ নিখোঁজ তরুণদের সবার বাড়ি রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন পাখুল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে সালমান ব্যাপারী, চৌরাশী গ্রামের মোসলেম শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার, একই গ্রামের মজিবর বয়াতীর ছেলে সাজ্জাদ বয়াতী, জাকির মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর, কানাই রায়ের ছেলে লিটন রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে বাঁধন বাড়ৈ, কিসমদ্দি বাজিতপুর গ্রামের আলম চৌকিদারের ছেলে ইমন চৌকিদার, অহিদুল মাতুব্বরের ছেলে নয়ন মাতুব্বর, আজিজ খালাসির ছেলে খলিল খালাসি, সোনা মিয়া চৌকিদারের ছেলে সোহেল চৌকিদার, নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ বাড়ৈর ছেলে গৌতম বাড়ৈ, একই গ্রামের সামচু সরদারের ছেলে ইমরান সরদার, শ্রীনাথদী বাজিতপুরের জলিল বয়াতীর ছেলে আল আমিন বয়াতি ও শ্রীনদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ঘরামির ছেলে আলী ঘরামি। তাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।

স্বজনদের অভিযোগ, মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বাজিতপুর এলাকার বাবুল হাওলাদার ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ১৬ লাখ টাকা করে নেন। পরে লিবিয়ায় বন্দী করে আদায় করেন আরও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এর পর থেকে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

মাদারীপুরের ১৪ তরুণ ইতালি যেতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দালালের হাত ধরে ঘর ছাড়েন। নিখোঁজ তরুণদের সন্ধানে তাদের ছবি হাতে স্বজনেরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কলকাতায় বাংলাদেশি অভিনেত্রী গ্রেপ্তার , দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের
  • কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী
  • ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত, একাদশে চার পরিবর্তন
  • কর্মস্থলে অনুপস্থিত, পাঁচ প্রকৌশলী ও এক স্থপতি বরখাস্ত
  • গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতি বরখাস্
  • মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
  • দলবদলের বাজারে চেলসিই রাজা, শীর্ষ দশে আর কারা
  • গাজায় হামলার নিন্দা জানালেও ইসরায়েলের সঙ্গে কেন বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এসব দেশ
  • গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়ালো
  • আলোচিত ষোড়শী আইনার পারিশ্রমিক কত?