লালদীঘি মাঠে জব্বারের বলীখেলা ২৫ এপ্রিল
Published: 17th, April 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরীর লালদীঘি মাঠে ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলার ১১৬তম আসর বসবে আগামী ২৫ এপ্রিল বিকেল ৪টায়। প্রতি বছরের মতো এবারও আয়োজন করা হবে তিন দিনের বৈশাখী মেলার। বলীখেলা এবং বৈশাখী মেলা আয়োজন নিয়ে গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সঙ্গে মেলা কমিটির সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, জব্বারের বলীখেলা চট্টগ্রামের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ বছর ২৪, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল বৈশাখী মেলা বসবে। মেলার দ্বিতীয় দিন হবে জব্বারের বলীখেলা।
এদিকে মেলার সময় জনসাধারণ ও যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে নগরীর আন্দরকিল্লা থেকে কোর্ট বিল্ডিং পর্যন্ত প্রধান সড়কে মেলার স্টল না বসাতে সভায় পরামর্শ দেওয়া হয়। ঐতিহ্যবাহী এবং আলোচিত এ মেলাকে ঘিরে স্টল বিক্রি, দোকান বিক্রি, দখল ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, এডিসি মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান মামুন, এসি কোতোয়ালি মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল করিম, পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুল আলম খোরশেদ, মিজানুর রহমান চৌধুরী, রবিউল আলম, মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াত আবদুল জব্বার সওদাগরের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল, বলীখেলার প্রধান রেফারি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন বালি প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ
এছাড়াও পড়ুন:
শাহবাজ শরিফ–জয়শঙ্করকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন, কী বললেন
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। গতকাল বুধবার দুজনকে ফোন করেন তিনি। এ সময় হামলার ঘটনা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন রুবিও।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, শাহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনকলে পেহেলগামে হামলার ‘নিন্দা জানানোর প্রয়োজনীতা নিয়ে’ কথা বলেন রুবিও। একই সঙ্গে ‘অযৌক্তিক’ এই হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগীতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে করা আলাদা একটি ফোনকলে নয়াদিল্লির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি পেহেলগামে হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত আছে বলে ভারত যে অভিযোগ তুলেছে এবং প্রতিশোধের যে হুমকি দিচ্ছে—এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান তিনি।
ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় যে প্রাণহানি হয়েছে, তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (রুবিও)। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করার যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা–ও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।’