জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করা নিয়ে সিমন্সের ভিন্ন ভাবনা
Published: 18th, April 2025 GMT
প্রতিপক্ষ যখন জিম্বাবুয়ে, তখন বাংলাদেশের চাওয়া থাকবে শুধু জয়। এটাই অনুমিত। আসন্ন দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও এর বিকল্প নেই। এ নিয়ে কী ভাবছেন বাংলাদেশের ক্যারিবিয়ান কোচ ফিল সিমন্স?
সিলেটে সিরিজ শুরুর দুই দিন আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন বাংলাদেশের কোচ। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে বলে সিরিজের আগেই ধবলধোলাই করা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। তবে, এখানে ভিন্ন ভাবনাই প্রকাশ করেছেন সিমন্স।
তিনি বলেছেন, “আমি হোয়াইটওয়াশের ব্যাপারে জানি না। একবারে একটি পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে আমি। এখানে প্রথম টেস্ট হবে। এটি জিতলে আমরা পরের ম্যাচ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করব, সিরিজ জেতার কথা আলোচনা করব।”
“প্রথম টেস্ট জেতার জন্য আমাদের প্রথম দিন জিততে হবে। আমি এভাবেই ভাবতে পছন্দ করি। এখনই চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবতে পারব না। আপাতত সিলেট টেস্টে মনোযোগ দিতে হবে,” এভাবেই বলেছেন সিমন্স।
২০ এপ্রিল সিলেটে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট হবে ২৮ এপ্রিল থেকে, চট্টগ্রামে।
সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশে টেস্ট খেলেছিল ২০২০ সালে। মিরপুর শের-ই-বাংলায় সেবার ইনিংস ও ১০৬ রানের বড় ব্যধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট খেলে প্রায় চার মাস আগে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
সপ্তাহখানেক ধরে সিলেটে লাল বলের প্রস্তুতি নিচ্ছে লাল সবুজের দল। তাতে খুশি সিমন্স।
“প্রস্তুতি বেশ ভালো হয়েছে। এখানকার ফ্যাসিলিটিজ আমার মনে হয় স্বপ্নের মতো। আপনি যা চান, তাই করতে পারবেন। হোটেলটা খুব দূরে নয়। আমরা অনেক কাজ করতে পেরেছি এই অল্প সময়েই।”
বাংলাদেশ কোচ বার্তা দিয়েছেন স্পোর্টিং উইকেটের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কোনো বিশেষ উইকেট বানিয়ে জিততে চান না তিনি।
“আমাদের পরিকল্পনা আছে প্রোপার উইকেট প্রস্তুত করার। আমরা টেস্ট দলটাকে যেদিকে নিয়ে যেতে চাই, ওরকম খেলতে চাই। আমরা একটা নির্দিষ্ট ওয়েতে খেলি, এজন্য আমাদের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্পিন উইকেট তৈরির দরকার নাই।”
“প্রোপার উইকেট বানিয়ে টেস্ট ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব। স্পিন উইকেট বা পেস উইকেট তৈরির দরকার নেই। আমরা ওখানে গিয়েছি আজ। উইকেট শক্ত, ভালো মনে হচ্ছে। আমাদের দেখতে হবে কাল সকালে কেমন হয়”, বলেছেন ফিল সিমন্স।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স মন স আম দ র প রথম উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’
ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।
আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।
রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।
রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।
কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?
কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।
রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।
রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।
এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।
রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।