ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের মতো স্প্যানিশ লা লিগা থেকেও চ্যাম্পিয়নস লিগের আগামী মৌসুমে অংশ নেবে পাঁচ দল। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ক্লাবগুলোর পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে ওঠার জন্য অতিরিক্ত যে ফাঁকা জায়গা, সেখানে লা লিগা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করার পর এটা নিশ্চিত হয়।

চ্যাম্পিয়নস লিগের কাঠামো সংস্কার করে ৩৬ দলের আসরে উন্নীত করতে গত বছর ইউরোপিয়ান পারফরম্যান্স স্পট (ইপিএস) চালু করে উয়েফা। প্রিমিয়ার লিগের পর লা লিগাও এই ইপিএস পেয়ে যাওয়ায় পাঁচ দলের খেলা নিশ্চিত হলো। চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগে দলগুলোর পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দুটি লিগকে ইপিএস দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনযাঁরা মেসিকে ‘মেসি’ বানিয়েছেন—কেমন সেই দুই কোচ১০ ঘণ্টা আগে

গত ৮ এপ্রিল চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে আর্সেনালের ৩–০ গোলে জয়ে উয়েফা কোএফিশিয়েন্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে ইংল্যান্ডের শীর্ষ দুইয়ে থাকা নিশ্চিত হয়। ৩৬টি দলের পরিবর্ধিত কাঠামোর চ্যাম্পিয়নস লিগে র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা দুটি দেশের পাঁচটি করে ক্লাব পরবর্তী মৌসুমে খেলার সুযোগ পায়। গত বৃহস্পতিবার রাতে ইউরোপা লিগ থেকে লাৎসিওর বিদায় ও অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের জয়ের পর এই র‌্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত হয় স্পেনের।

চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি মৌসুমে এই সুযোগ পেয়েছে ইতালি ও জার্মানি। ইতালি থেকে বোলোনিয়া সিরি ‘আ’তে পঞ্চম হয়েও খেলার সুযোগ পেয়েছে এবং জার্মানি থেকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড বুন্দেসলিগায় পঞ্চম হয়েও সুযোগ পেয়েছে খেলার।

পরশু অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের জয়ে স্পেন থেকে নিশ্চিত হয়ে পাঁচ দলের অংশগ্রহন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ ন শ চ ত হয় ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

ধোনি কেন আইপিএল ছাড়তে পারছেন না: পেছনে হাজার কোটি টাকার খেলা

বয়স ৪৪, শরীরও আর আগের মতো চলছে না। তবু মহেন্দ্র সিং ধোনি আইপিএল ছাড়েননি। সর্বশেষ মৌসুমে খেলেছেন, শোনা যাচ্ছে, পরের মৌসুমেও খেলবেন। অথচ তাঁর মাঠের পারফরম্যান্স বলছে, সময় ফুরিয়েছে। তবু তিনি খেলে যাচ্ছেন কেন? ক্রিকেট ছাড়তে পারছেন না তাই? নাকি খ্যাতির মোহ? সত্যিটা এসবের চেয়েও বড়—ধোনি এখন শুধুই একজন ক্রিকেটার নন, তিনি একটি বিশাল অর্থনৈতিক ইকোসিস্টেমের মূল স্তম্ভ, যাঁর বিদায় মানে অনেক কিছুর ধস।

চলুন দেখা যাক, কীভাবে ধোনির একটুখানি মাঠে থাকা বদলে দেয় বিশাল অঙ্কের হিসাব।২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ব্র্যান্ড ভ্যালু

২০২৫ আইপিএল ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ইতিহাসেই সবচেয়ে বাজে মৌসুম। পয়েন্ট তালিকায় একেবারে তলানিতে থেকে মৌসুম শেষ করেছে তারা। কিন্তু অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার, এর কোনো প্রভাবই পড়েনি সিএসকের ব্র্যান্ড ভ্যালুতে; বরং সামান্য বেড়েছে!
হুলিহ্যান লোকির ‘আইপিএল ব্র্যান্ড ভ্যালুয়েশন স্টাডি ২০২৫’ প্রতিবেদন বলছে, ২০২৫ সালে সিএসকের ব্র্যান্ড ভ্যালু বেড়ে হয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা ২০২৪ সালে ছিল ২৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। যদিও আইপিএলের সবচেয়ে দামি ফ্র্যাঞ্চাইজির র‍্যাঙ্কিংয়ে চেন্নাই ১ নম্বর থেকে তিনে নেমে গেছে, কিন্তু সেটা পুরোপুরি মাঠের পারফরম্যান্সের কারণে নয়।
তুলনা করে দেখা যাক—রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) প্রথমবার আইপিএল জেতায় তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারে, উঠে এসেছে ১ নম্বরে। অথচ সিএসকে কিছু না করেই সেরা তিনে আছে শুধু একজনের জন্য—ঠিক ধরেছেন, এম এস ধোনি!

আরও পড়ুনফিক্সিং, বিদ্রোহ এবং ষড়যন্ত্রে ভরা ড্রেসিংরুম: পাকিস্তান ক্রিকেটের অস্থির অধ্যায়২৭ জুলাই ২০২৫দর্শকসংখ্যায় ‘ধোনি ইফেক্ট’

২০২৩ আইপিএলের একটি মুহূর্তই বলে দেয়, ধোনির উপস্থিতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে মাত্র ৩ বল খেলেছিলেন ধোনি, করেছিলেন ১২ রান। তাতেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ভিউয়ারশিপ পৌঁছায় ১ কোটি ৭০ লাখে, যা ছিল সে মৌসুমের সর্বোচ্চ। এমনকি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচের ১ কোটি ৬০ লাখ ভিউয়ারকেও ছাপিয়ে গিয়েছিল ধোনির সেই ৩ বল স্থায়ী ইনিংসটা!
টিএএম মিডিয়া রিসার্চ বলছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরও ধোনি দিনে গড়ে বিভিন্ন প্লাটফর্মে ১৪ ঘণ্টা স্ক্রিন টাইম ধরে রেখেছেন। ২০২৪ সালে তিনি ৪২টি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন করেছেন, যা অমিতাভ বচ্চন (৪১) ও শাহরুখ খানের (৩৪) চেয়েও বেশি।

মহেন্দ্র সিং ধোনি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বপ্নের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে জুয়েল, অর্থাভাবে অনিশ্চিত ভুটান যাত্রা
  • রোনালদোর অদম্য ক্ষুধা, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জেতালেন আল-নাসরকে
  • ৪৭ দিন ক্যাম্পে থেকে ১০–১২ দিন অনুশীলন, হতাশ ক্রিকেটাররা
  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 
  • ধোনি কেন আইপিএল ছাড়তে পারছেন না: পেছনে হাজার কোটি টাকার খেলা