বর্তমানে সব বয়সের মানুষের মধ্যেই স্বাস্থ্যসচেতনতার প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষ করে খাবার ও কোমল পানীয়র (সফট ড্রিংকস) বিষয়ে অনেকেই এখন আরও বেশি সচেতন। অতিরিক্ত চিনি এড়িয়ে চলার কারণে অনেকেই সফট ড্রিংকস থেকে দূরে থাকেন।

এই পরিবর্তিত অভ্যাস ও চাহিদার কথা মাথায় রেখেই দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লিয়ার ড্রিংকস ব্র্যান্ড ক্লেমন বাজারে এনেছে নতুন ভেরিয়েন্ট ‘ক্লেমন জিরো’।

ক্লেমন জিরো একটি সুগার ফ্রি, জিরো ক্যালরির ক্লিয়ার ড্রিংক, যা বিশেষভাবে স্বাস্থ্যসচেতন, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যক্তিদের পাশাপাশি ডায়াবেটিক রোগীদের সফট ড্রিংকসের চাহিদার উপযোগী সমাধান।

যাঁরা নিয়মিত জিম, ইয়োগা বা অন্যান্য ফিটনেস রুটিন অনুসরণ করেন, তাঁদের জন্যও ক্লেমন জিরো হতে পারে মানানসই ড্রিংকস।

নতুন এই ভেরিয়েন্ট বাজারজাতকরণের অংশ হিসেবে ক্লেমন জিরো যাত্রা শুরু করেছে একটি পূর্ণাঙ্গ ৩৬০ ডিগ্রি মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ল মন জ র

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।

মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।

ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।

তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।

এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ