উচ্চশিক্ষার সুযোগসহ আট দফা দাবিতে ঢাকার খামারবাড়িতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সব গেট বন্ধ করে পূর্ব ঘোষিত ‘অ্যাগ্রি ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা। ফলে অফিসে ঢুকতে পারছে না কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা। এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেখানে সেনা ও পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।  

সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে ‘কৃষি ডিপ্লোমা ছাত্র অধিকার আন্দোলন’-এর ব্যানারে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।

আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক আসাদুজ্জামান আবির বলেন, “আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। কারণ এছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।”

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.

ছাইফুল আলম রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু তারা আমাদের কোনো কথা শুনছে না। মূলত শিক্ষার্থীদের যে দাবি সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। আমরা সকাল থেকে অপেক্ষা করছি অফিসে প্রবেশ করার জন্য, কিন্তু শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।” 

একই দাবিতে রবিবারও ঢাকার জাতীয় শহীদ মিনারের সামনে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কৃষি ডিপ্লোমার শিক্ষার্থীরা। এতে সারা দেশের কয়েক শ ডিপ্লোমা শিক্ষার্থী অংশ নেন। পরে কর্মসূচি থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সোমবার ‘অ্যাগ্রি ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন। 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে গেজেট করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং প্রতিবছর নিয়োগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষকসংকট দূর করতে হবে।


এছাড়া, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষাকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অধীন থেকে বের করে সম্পূর্ণভাবে কৃষি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, সব কৃষি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদটি শুধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের জন্য সংরক্ষিত করা, ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ন্যূনতম দশম গ্রেডের পে-স্কেলে বেতন প্রদান, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের মাঠ সংযুক্তি ভাতা প্রদান এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের চাকরিতে প্রবেশের পর ছয় মাসের ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তারা।

ঢাকা/রায়হান/ইভা
 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত র জন য আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এলজিইডি অফিসে দুদকের অভিযান, নিয়ে গেছে বিভিন্ন নথি

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দলের সদস্যরা। এ সময় তাঁরা ওই কার্যালয় থেকে বর্তমানে বিভিন্ন চলমান প্রকল্প ও গত পাঁচ বছরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নথি নিয়ে গেছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত এই অভিযান চালায় দুদকের দলটি।

অভিযানে ছিলেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মশিউর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। অভিযান শেষে দুদকের উপসহকারী পরিচালক মশিউর রহমান প্রথম আলোকে জানান, তাঁরা প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বন্দর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ে অভিযান চালান। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছরের উন্নয়নকাজ ও বর্তমানে যেসব কাজ চলমান রয়েছে, সেসব কাজের আমরা তথ্য চেয়েছি। এখানে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা দেখতে এখানে এসেছি। এখানে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে, এখানে কাজের ভলিউম বেশি, তাই সেসব কাজের বিষয়ে তথ্য চেয়ে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনে আমরা এই অফিসে আবার আসব।’

বেলা তিনটার দিকে দুদকের দলটি এলজিইডির উপজেলা কার্যালয় ত্যাগ করে। দুদক দলের অভিযান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বন্দর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের প্রকৌশলী শামসুর নাহার প্রথম আলোকে বলেন, দুদকের একটি দল তাঁর কার্যালয়ে এসেছিল। তারা বর্তমান চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কী অবস্থা ও গত পাঁচ বছরের যেসব উন্নয়নকাজ হয়েছে, সেসবের বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজের তথ্য দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এলজিইডি অফিসে দুদকের অভিযান, নিয়ে গেছে বিভিন্ন নথি