চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় বাংলাদেশের
Published: 27th, April 2025 GMT
অস্বস্তি পরিবেশে স্বস্তি ফেরাতে পারে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম টেস্ট জয়। দেশের ক্রিকেটে যা ঘটে যাচ্ছে তাতে অস্বস্তি চারিদিকে। মাঠে পারফরম্যান্স নেই। অথচ মাঠের বাইরে নানা বিতর্কে জর্জরিত ক্রিকেট। সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট হার।
এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তাওহীদ হৃদয়ের শাস্তি ঘিরে নানা বিতর্ক। এরপর বিসিবির ফান্ড ট্রান্সফার ঘিরে বিতর্ক। তাতে দমকা হাওয়াতে ক্রিকেটাঙ্গন থেকে ক্রিকেটাই হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম তৈরি হয়েছে।
এসব অস্বস্তি পরিবেশে ক্রিকেটারদের ২২ গজে মনোযোগ রাখার কাজটা কঠিন। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মান বাঁচানোর লড়াইয়ে সেই কঠিন কাজটাই তাদের করতে হবে চট্টগ্রামের ২২ গজে। যে জন্য কঠিন প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বললেন বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্স, ‘‘এই ব্যাপারটি (ঢাকার অস্থিরতা) কোচিং স্টাফ হিসেবে আমাদের নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে যে, ওরা যেন এসব থেকে দূরে থাকে, মনোযোগে যেন ব্যাঘাত না ঘটে, বাইরের এসব আলোচনার কথা আপনি বলছেন…। আমরা একটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি। আগামীকালের আগে আজকে সন্ধ্যায় আমাদের চূড়ান্ত মিটিং যখন হবে, তখন এই ব্যাপারটিতে গুরুত্ব দিতে হবে যেন ওদের মনোযোগে ব্যাঘাত না ঘটে। এটা আগামী পাঁচদিনের ব্যাপার, এই পাঁচদিনে শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেটই ভাবতে হবে, বাইরের কোনো কিছু নয়।”
আরো পড়ুন:
ফর্মে থাকা এনামুলে আত্মবিশ্বাসী গাজী আশরাফ
টেস্টে ম্যাচ প্রতি ৮ লাখ টাকা, তবুও শান্তদের ফর্মে খরা!
প্রায় ২১ বছর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ হার এড়াতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ইতিবাচক মানসিকতায় ম্যাচটি খেলার কথা বললেন কোচ, ‘‘আমরা জানি, প্রথম ম্যাচে দল হিসেবে ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি এবং নিজেদের সমস্যায় ফেলেছি। এখন আমাদের ভাবনা হলো, ইতিবাচক ব্র্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই। এমন না যে, সারা দিন ব্যাটিং করে ২০০ রান করব।”
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কমিটি নেই, সবাই নেতা
কয়রা উপজেলা বিএনপির কমিটি নেই একযুগ। দীর্ঘদিন ধরে চলেছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। সেটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে ৪ মাস আগে। কমিটি না থাকায় দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে। ভেঙে পড়ছে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাও। কেউ কারও কথা শুনছেন না। অবস্থা এমন, যেন সবাই নেতা– অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীর।
কমিটি না থাকলেও উপজেলার একশ মিটারের মধ্যে পৃথক দুটি কার্যালয় রয়েছে। একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) নুরুল আমিন বাবুল। আরেকটি কার্যালয় চলছে খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসানের নেতৃত্বে। নেতৃত্বের এ দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি নেই। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছাড়া অন্যান্য কর্মসূচিতে কার্যক্রমও সীমিত। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি দেওয়ার দাবি দলীয় নেতাকর্মীর।
পৃথক কার্যালয়ের বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান বলেন, উপজেলায় একটি দলীয় কার্যালয় ছিল। পরে স্থানীয় একজন নেতা তাঁর অনুসারীদের নিয়ে আরেকটি কার্যালয় খুলেছেন; যা সংগঠনবিরোধী কাজ। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই নেতাকে বহিষ্কার করা হলেও এখন পর্যন্ত তিনি কার্যালয়টি বন্ধ করেননি।
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মনজুর আলম বলেন, ৫ আগস্টের পর দুই নেতার বিরোধ স্পষ্ট হয়েছে। আগে দলে বিভক্তি থাকলেও আলাদা কার্যালয় ছিল না। এখন দুটি কার্যালয় থাকায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন কর্মী-সমর্থকরা।
২০১৩ সাল পর্যন্ত উপজেলায় বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছিল। এরপর দুই দফায় আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ মোমরেজুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও নুরুল আমিন বাবুলকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি। এরপর থেকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নুরুল আমিনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এ অবস্থায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু।
এদিকে কমিটি না থাকায় বেশির ভাগ নেতা স্বার্থের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধে হাট, ঘাট, খাল দখলের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি সুবিধায় হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ আছে। এতে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি গঠন করা জরুরি বলে মনে করেন বিএনপির সাবেক নেতা আব্দুস সামাদ।
সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে দলীয় কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছি না। আশা করছি খুব দ্রুতই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হবে। তখন গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের চেষ্টা করব।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে কয়রায় বিএনপির কোনো কমিটি নেই। কমিটি হলে দলীয় সব বিরোধ মিটে যাবে বলে আশা করছি।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, কয়রায় কমিটি গঠনের জন্য জেলা বিএনপি থেকে ৫ সদস্যের সার্চ কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি নেতাকর্মীর বিরোধও নিষ্পত্তি করবে। দ্রুতই ঐক্যবদ্ধ একটি কমিটি উপহার দেওয়া হবে।