কেন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন সোহেল আরমান
Published: 27th, April 2025 GMT
প্রায় তিন দশক ধরে শোবিজে কাজ করছেন সোহেল আরমান। একাধারে তিনি একজন নাট্যকার, অভিনেতা, গীতিকার ও পরিচালক। বাকি কাজগুলো পর্দার পেছনে হলেও অভিনয়ের মাধ্যমে ক্যামেরার সামনে এসে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।
২০২৩ সালের মাঝামাঝি তাঁর ভাই গোলাম সোহরাব দোদুলের পরিচালনায় ‘বোকা প্রেম’ নামে একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন। এরপর আর তাঁকে অভিনয়ে দেখা যায়নি। প্রায় দুই বছর পর অভিনয়ে ফিরছেন তিনি।
নিজের রচনা ও পরিচালনায় ‘জল জোছনা’ নাটক দিয়ে আবারও ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন এই অভিনেতা ও নির্মাতা। ৫১ পর্বের ‘জল জোছনা’ ধারাবাহিকটির দৃশ্যধারণ শুরু হবে আগামী মাসে। নাটকে অভিনয় করবেন আবু হুরায়রা তানভীর, মাহাসহ অনেকেই।
সোহেল আরমান বলেন, “বড় ভাইয়ের পরিচালনায় দুই বছর আগে কমেডি ঘরানার ‘বোকা প্রেম’ নাটকে অভিনয় করেছিলাম। আবারও অভিনয়ে ফিরছি ‘জল জোছনা’ দিয়ে। পরিচালনার চাপের কারণে অভিনয় ছেড়েছিলাম। রাস্তাঘাটে মানুষ আমাকে দেখলে জিজ্ঞেস করত, কেন অভিনয় করি না! তখন মন খারাপ লাগত। কিন্তু আমি পরিচালনা এবং অভিনয় দুটো একসঙ্গে করতে চাইনি। নির্মাণে মনোযোগী ছিলাম বলেই অভিনয় থেকে দূরে ছিলাম। হাতে কিছু নির্দেশনা জমে আছে। সেগুলো শেষ করতে এই বছর লেগে যাবে। এরপর পরিচালনার পাশাপাশি পুরোদমে অভিনয়ে ফেরার ইচ্ছে আছে।”
শুধু নাটক নয়, সিনেমাও বানিয়েছেন সোহেল আরমান। শাকিব খান ও বিন্দুকে নিয়ে তিনি ‘এই তো প্রেম’ সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল ছবিটি। ২০১৫ সালে এটি মুক্তি পায়। সিনেমাটি সে সময় যেমন আলোচনার তুঙ্গে ছিল, তেমনি সবক’টি গান পেয়েছিল তুমুল জনপ্রিয়তা।
পরে ‘ভ্রমর’ নামে আরেকটি ছবি নির্মাণ শুরু করেন সোহেল আরমান। সিনেমাটির অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। এরপর তৃতীয় সিনেমা ‘সংবাদ’-এর কাজও শুরু করেছেন বলে জানান তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ ল আরম ন ন স হ ল আরম ন
এছাড়াও পড়ুন:
চার দিনের জ্বরে ভুগে মারা গেল কিশোর
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের ফকিরহাট এলাকায় আশরাফুর রহমান (১৪) নামের এক কিশোর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। গত শুক্রবার সে জ্বরে আক্রান্ত হয়। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
আশরাফুর রহমান ওই এলাকার মিজানুর রহমানের একমাত্র ছেলে। সে সীতাকুণ্ড আলিয়া মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সীতাকুণ্ডে এই প্রথম একজন মারা গেল।
আশরাফুর রহমানের দাদা এম এ আলীম আলী প্রথম আলোকে বলেন, গত শুক্রবার তাঁর নাতির জ্বর আসে। সামান্য ব্যথাও ছিল। জ্বর কমছে না দেখে রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর আশরাফুরকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গতকাল সোমবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। আজ ভোর পাঁচটার দিকে সে মারা যায়। দুপুরে মডেল মসজিদ এলাকায় জানাজার নামাজ শেষে ফকিরহাট নলুয়া দিঘি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় আশরাফকে।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি হাসপাতালের দায়িত্বগত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই কিশোর ভালো ছিল। আজ ভোর চারটার দিকে তার পাতলা পায়খানা ও খিঁচুনি হয়। এরপর তারা দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে নেওয়ার পথে কিশোরটি মারা যায়।
সীতাকুণ্ডে আজ এক দিনেই ৬ জনের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত হয় বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন।