ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার পেছনে রাজনৈতিক কারণ আছে বলে সন্দেহ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী আমলে পার্শ্ববর্তী দেশের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলায় আবরারকে হত্যা করা হয়। আজ কেউ জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা, ’৭১ এবং স্বাধীনতার পক্ষে কথা বললে তার জীবন চলে যায়। অর্থাৎ, দেশের পক্ষে, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, দেশের স্বাধীনতার পক্ষে, জাতীয় সংগীতের পক্ষে যারা, তাদের জীবন চলে যায়। আমি এ জন্যই বলেছি, নিশ্চয়ই এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ আছে। 

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ অভিযোগ করেন। রিজভী বলেন, ‘৫ আগস্টের পর এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা সবাই একটু স্বস্তিতে থাকতে চেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শিক্ষক-ছাত্ররা নির্বিঘ্নে ক্লাসে যাবে, ক্লাস থেকে বের হবে। এখন কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অরাজক পরিস্থিতি? এখন তো আর আওয়ামী লীগের দোসররা নেই। এখন যারা ক্ষমতায় আছেন সব বিরোধী দল, যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, তারা সমর্থন করেছেন। তাহলে এখন কেন লাশ পড়বে?’ 

পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভবঘুরেদের গ্রেপ্তার করেছেন, মানুষ এসব বিষয় সহজভাবে নেয় না। মানুষ সহজভাবে নিত যদি সব সময় সত্য এবং ন্যায় অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতেন। যেমন আবরার হত্যাকাণ্ডে নেননি, তেমনি আরও ঘটনায়ও নেননি।’  

ঢাবি উপাচার্যকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, বুধবার সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে ছাত্রদল নেতারা গিয়েছিলেন। আপনি বিরক্ত, ক্ষুব্ধ হয়েছেন, তুইতোকারি করেছেন ছাত্রনেতাদের। আপনি শুনতে চান না। কারণ, সাম্য ছাত্রদল করে। আপনার রাজনৈতিক চিন্তা দর্শন কী, সেটা আমরা ইতোমধ্যে জেনে ফেলেছি। যারা জাতীয়তাবাদের পক্ষে রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে ছাত্র সংগঠন করে, সেটা আপনি পছন্দ করেন না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ছ ত রদল ন ত হত য র জন ত ক ছ ত রদল কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে আলোচিত পাঁচ বই

প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে বহু জীবনী, উপন্যাস ও স্মৃতিগ্রন্থ লেখা হয়েছে। তাঁর চরিত্রটি তো শুধু ব্যক্তিগত নয়; বরং সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এমনকি অস্তিত্বগত প্রশ্নেরও জন্ম দিয়েছে। তাঁর জীবন এবং চারপাশে তৈরি হওয়া গল্পগুলো যেন একেকটি ‘মিথ’। তার দুখী দুখী চোখ, মানবিক ও সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে উঠেছে প্রজন্মের পর প্রজন্মের কল্পনার অংশ। ডায়ানার জীবন ও চরিত্র এতটাই জটিল আর বহুমাত্রিক যে বিভিন্ন লেখক একেক দৃষ্টিতে সেসব তাঁদের লেখায় হাজির করেছেন। কেউ তাঁকে ট্র্যাজিক চরিত্র, কেউ আত্মবিপর্যস্ত নারী, কেউবা মিডিয়া আইকন ও ভুক্তভোগী, কেউ আবার অন্তরঙ্গ সেবকের দৃষ্টিতে কিংবা পালিয়ে যাওয়া নারীর প্রতীকরূপে ডায়ানাকে তুলে এনেছেন তাদের লেখায়।

অ্যান্ড্রু মরটনের ডায়ানা: হার ট্রু স্টোরি—ইন হার ওন ওয়ার্ডস

ডায়ানাকে নিয়ে লেখা সবচেয়ে আলোচিত বই। প্রথম সংস্করণে জাঁকজমকপূর্ণ রাজকীয় জীবনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রাজকন্যা ডায়ানার নিঃসঙ্গতা এবং ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্দরমহলের নানা গোপনীয়তা, তাঁর সাংসারিক জীবনের নিগূঢ় বাস্তবতা উঠে আসে। রাজপরিবারের এসব দুর্ভেদ্য তথ্য উঠে আসায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

অ্যান্ড্রু মরটন

সম্পর্কিত নিবন্ধ