শিরোনাম পড়ে ভড়কে যেতে পারেন। মনে হতে পারে মৃত মানুষ কিভাবে কানের লাল গালিচায় ফিরে এলেন। কিন্তু এলেন। মানুষের ভালোবাসায় যারা বাঁচেন, তাদের ইহলোক থেকে প্রস্থান হয় মাত্র। কিন্তু নানাভাবে তারা মানুষের মাঝে ফেরেন, ছায়ায় কিংবা মায়ায়। বিশ্ব সিনেমার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ উৎসব কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে তার প্রমাণ যেনো আবারও পাওয়া গেল। মৃত বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবী যেনো আবার ফিরলেন, মানুষ মনে করল তাকে। সেটা তার কন্যা জাহ্নবী কাপুরের মাধ্যমেই। 

এবার ৭৮ তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে জাহ্নবী কাপুর প্রথমবারের মতো পা রাখলেন।  নিজের অভিনীত সিনেমা ‘হোমবাউন্ড’-এর প্রিমিয়ারে রেড কার্পেটে হেঁটে তিনি যেন একেবারে গ্ল্যামার দেবীর আবির্ভাব ঘটালেন তিনি। 

জাহ্নবী সেই সন্ধ্যায় পরেছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনার তারুণ তাহিলিয়ানি-র ডিজাইন করা এক বিশেষভাবে তৈরি পাউডার পিং (হালকা গোলাপি) রঙের করসেট ও স্কার্টের গাউন। এই পোশাকে তিনি রীতিমতো সকলের দৃষ্টি কাড়েন।

তার এই চমকপ্রদ রূপসজ্জার নেপথ্যে ছিলেন তার কাজিন ফ্যাশন স্টাইলিস্ট রিয়া কাপুর। তার লুকটিতে ছিল এক ধরনের ভাসমান ভাসা সৌন্দর্য যা শ্রীদেবীর শৈল্পিক রুচির কথাই মনে করিয়ে দেয়। 

জাহ্নবীর সাজের সবচেয়ে মন ছুঁয়ে যাওয়া বিষয় ছিল মাথার উপরে পাতলা ড্রেপ জড়িয়ে নিজের পোশাকে ভারতীয় ঐতিহ্যের ছোঁয়া। সঙ্গে ছিল মুক্তার অলংকার, যা পুরো লুককে দিয়েছে এক রাজকীয় আভিজাত্য।

তার এই ছবিগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ভক্তদের ভালোবাসায় ভরে যায় কমেন্ট বক্স। একজন লিখেছেন, “শ্রীদেবীর ঝলক দেখা যায় জনভির মধ্যে”, আরেকজন বলেন, “জাহ্নবী যেন কানের মঞ্চে মা শ্রীদেবীকে শ্রদ্ধা জানালেন’।

লাল গালিচায়  জাহ্নবীর সঙ্গে ছিলেন ইশান খট্টর, কারণ জোহর, বিশাল জেঠওয়া এবং নীরজ ঘেওয়ান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ন চলচ চ ত র উৎসব

এছাড়াও পড়ুন:

দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দুদিনের সফরে বুধবার কলকাতায় পৌঁছেছেন। বিকেলে তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পরে নদীয়া জেলার কল্যাণীতে অবস্থিত অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এইমস) প্রথম সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেন। সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা জানান এইমসের পরিচালক রামজি সিং। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন।

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি যান দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে। সেখানে কালীমন্দিরে পূজা অর্চনা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কন্যা ইতিশ্রী মুর্মু।

দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রামকৃষ্ণদেবের বংশধর কৌশিক চক্রবর্তী রাষ্ট্রপতির হাতে মন্দিরে নিবেদিত পদ্মফুল ও প্রসাদ তুলে দেন। পরে রাষ্ট্রপতি রামকৃষ্ণদেবের বসতঘর পরিদর্শন করে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা হন।

বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ঝাড়খন্ড রাজ্যের দেওঘরে যাবেন। সেখানে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস), দেওঘরের প্রথম সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেবেন। এ প্রতিষ্ঠানেও এই প্রথমবার সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাইয়ের ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় উৎসব
  • ১৬ কোটি টাকায় সারা দেশে ফুটবলের তিন টুর্নামেন্ট
  • দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
  • ভৌতিক গল্প নিয়ে কানাডায় নুহাশ
  • তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
  • সিডনিতে ড্র অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কেউ না থাকায় হতাশ প্রবাসীরা
  • ‘মুক্তির উৎসব’ করতে সহযোগিতা চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাবেক সমন্বয়কের আবেদন
  • এবার পরিবার নিয়ে ঘরে বসেই ‘উৎসব’