বৃষ্টিস্নাত দিনে ‘কুল-বিএসজেএ’ মিডিয়া কাপে ফুটবল আনন্দ
Published: 29th, May 2025 GMT
সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের কারণে থেমে থেমে নামছিল বৃষ্টি—কখনো ঝুমে, কখনো গুছিয়ে। প্রকৃতির এমন মনখারাপের দিনে শৈশবে ফিরে গেলেন একঝাঁক গণমাধ্যমকর্মী। মাথায় বৃষ্টি, পায়ে কাদা—এসব উপেক্ষা করে ফুটবলের আনন্দে মেতে উঠলেন তারা পল্টন মাঠে।
বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসজেএ) -এর ব্যবস্থাপনায় ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ -এর পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে ‘কুল-বিএসজেএ মিডিয়া কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’। আজ (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত আটটি খেলার মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালের লাইনআপ।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ৩২টি মিডিয়া হাউসের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের বৃষ্টিস্নাত দিনে জয় পেয়েছে— এটিএন বাংলা, দেশ টিভি, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, দৈনিক প্রথম আলো, চ্যানেল আই, এখন টিভি, ঢাকা ট্রিবিউন ও দৈনিক যুগান্তর।
আরো পড়ুন:
কনফারেন্স লিগ জিতে ইউরোপীয় ফুটবলে চেলসির অন্যরকম পূর্ণতা
মেসি-সুয়ারেজ জোড়ায় উড়ল ইন্টার মায়ামি
দিনের প্রথম ম্যাচে বৈশাখী টিভিকে ৩-১ গোলে হারায় এটিএন বাংলা। ম্যাচে দুটি গোল করে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন দলের আদদ্বীন সজীব।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে দেশ টিভি ও বিটিভির ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়। পরে টাইব্রেকারে ১-০ ব্যবধানে জয় পায় দেশ টিভি। ম্যাচসেরা হন দেশ টিভির গোলরক্ষক শাওন।
বৃষ্টিভেজা মাঠে গোলশূন্য ড্র হয় দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও দৈনিক কালের কণ্ঠের ম্যাচ। টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে জয় পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কাটে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। ম্যাচসেরা হন দলের পরিবর্তিত গোলরক্ষক আরিফ চৌধুরী পাভেল।
দৈনিক প্রথম আলো ও চ্যানেল ২৪-এর মধ্যকার ম্যাচেও গোল হয়নি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জয়ী হয় প্রথম আলো। ম্যাচসেরা হন গোলরক্ষক তানভীর আহমেদ।
দৈনিক সমকালকে ১-০ গোলে হারায় চ্যানেল আই। জয়সূচক গোল করে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন আব্দুল্লাহ আল নওফেল।
এখন টিভি ও নিউজ ২৪-এর ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়। টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে জিতে এখন টিভি। ম্যাচসেরা হন গোলরক্ষক প্রধাংশু বর্মন।
সমানে সমান লড়াই শেষে দ্য ডেইলি স্টার ও ঢাকা ট্রিবিউনের ম্যাচও ১-১ গোলে ড্র হয়। টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে জয়ী হয় ঢাকা ট্রিবিউন। গোল করা ও পরিবর্তিত গোলরক্ষক হিসেবে অসাধারণ পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হন ফজলে রাব্বি মুন।
দিনের শেষ ম্যাচে আরটিভিকে ৩-০ গোলে হারায় দৈনিক যুগান্তর। জোড়া গোল করে ম্যাচসেরা হন অতিথি খেলোয়াড় মাঝহারুল ইসলাম মিঠুন।
বৃষ্টির মাঝেও উৎসবমুখর পরিবেশে ম্যাচগুলো সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএসজেএ সভাপতি আরিফুর রহমান বাবু, টুর্নামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক ও বিএসজেএ সহ-সভাপতি রায়হান আল মুঘনি এবং টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ইয়াসিন হাসান রাব্বি।
কোয়ার্টার ফাইনাল সূচি (শনিবার):
কোয়ার্টার ফাইনাল ১: গ্রুপ ‘এ’ (এটিএন বাংলা) বনাম গ্রুপ ডি (এখন টিভি)।
কোয়ার্টার ফাইনাল ২: গ্রুপ ‘বি’ (প্রথম আলো) বনাম গ্রুপ সি (দৈনিক যুগান্তর)।
কোয়ার্টার ফাইনাল ৩: গ্রুপ ‘ই’ (ঢাকা ট্রিবিউন) বনাম গ্রুপ এইচ (চ্যানেল আই)।
কোয়ার্টার ফাইনাল ৪: গ্রুপ ‘এফ’ (দেশ টিভি) বনাম গ্রুপ জি (দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড)।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল দ য ব জন স স ট য ন ড র ড ক য় র ট র ফ ইন ল বন ম গ র প প রথম আল ট র ব উন এখন ট ভ ব যবধ ন ব এসজ এ ড র হয় গ ল কর ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
রাঙামাটিতে টানা বর্ষণে বেড়েছে পাহাড়ধসের ঝুঁকি, ফাঁকা আশ্রয়কেন্দ্র
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বেড়েছে পাহাড় ধসের ঝুঁকি। এরই মধ্যে শুক্রবার (৩০ মে) সকালে রাঙামাটি শহরের যুব উন্নয়ন এলাকার একটি ঘরের ওপর ধসে পড়েছে পাহাড়ের মাটি। অধিকতর ধস এড়াতে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে স্থানটি।
শুধু যুব উন্নয়ন এলাকাই নয়; ছোট ছোট ধস হয়েছে লোকনাথ মন্দির সংলগ্ন ও মোনাদাম এলাকায়। মাটি রক্ষার জন্য দেওয়া বস্তা ধসে ঢুকে গেছে ঘরের ভেতর।
রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে উপজেলা পরিষদের সামনে আর্মি ক্যাম্পের সৌন্দর্য বর্ধনকারী কৃষ্ণচূড়া গাছটি উপড়ে পড়েছে। এতে যান চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরো পড়ুন:
আর কতদিন থাকবে বৃষ্টি?
রাতে শুরু হওয়া বৃষ্টি বিকেলেও অব্যাহত, জলাবদ্ধতা নেই চট্টগ্রামে
এদিকে, ধস প্রবণ এলাকা থেকে সরেননি বাসিন্দারা। ফলে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পড়ে আছে ফাঁকা। শুধুমাত্র লোকনাথ মন্দির আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ১৪ পরিবারের ৬২ জন। রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে আসলেও দুপুর পর্যন্ত খাবার না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তারা।
লোকনাথ মন্দির আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা মনোয়ারা বেগম বলেন, “রাতে বাসা থেকে খেয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসি। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলো এখানো খাবার দেয়নি। বাচ্চাদের নিয়ে আছি। সারা রাত অনেক বৃষ্টি হয়েছে। আমাদের বাড়ির আশপাশের কিছু মাটি সরে গেছে। বাসায় যেতে ভয় পাচ্ছি।”
একই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা আইয়ুব খানও খাবার না পাওয়ার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “রাতে এখানে আসি। বিভিন্ন লোকজন খোঁজ নিচ্ছে, তবে কেউ খাবার দেয়নি। জেলা প্রশাসন থেকে সব ব্যবস্থা করবে বলা হলেও কিছুই পাচ্ছি না।”
রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আসমা বলেন, “রাঙামাটি সদরে ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলেও শুধু লোকনাথ মন্দির আশ্রয় কেন্দ্রে ১৪ পরিবারের ৬২ জন মানুষ অবস্থান করছেন। তালিকা অনুযায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের দুপুর ও রাতের খাবারের পাশাপাশি শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত) রাঙামাটি জেলায় ১৪০ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
ঢাকা/শংকর/মাসুদ