সভাপতি-সম্পাদক পদে জামায়াত সমর্থকরা জয়ী
Published: 30th, May 2025 GMT
গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচটি পদে জয়ী হয়েছেন জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত প্রার্থীরা। বাকি ১১টি পদে জিতেছেন বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে এ দুটি প্যানেলের প্রার্থীরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনের ফল নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মো.
সভাপতি পদে বিজয়ী প্রার্থী মো. শামসুল হক ভূঁইয়া পেয়েছেন ৭৬৯ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ড. শহিদ উজ্জামান পেয়েছেন ৫৬৪ ভোট।
৬৯৩ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান কামাল। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম মোল্লাহ পেয়েছেন ৬৪৮ ভোট।
বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুলতান উদ্দিন ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি জানান, নির্বাচনে সমিতির ১ হাজার ৮৯০ ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৪২৫ জন ভোট দিয়েছেন।
প্রাপ্ত ফলাফলে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের মধ্যে সহসভাপতি পদে আব্দুল হামিদ, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. আবুল কালাম আজাদ, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে মো. কামরুল হাসান রাসেল, অডিটর পদে রবিউল আলম, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে সালাহ্ উদ্দিন খান অপু, মহিলা সম্পাদিকা পদে আজিজা আক্তার এবং সদস্য পদে আসিফ রায়হান কাউসার, আশিকুর রহমান, কামরুল হাসান, ফাতেমা খান ও শ্যামল সরকার নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী মুহাম্মদ ফখরুদ্দীন আকবরী ফখরু সহসাধারণ সম্পাদক পদে এবং সদস্য পদে আব্দুর রহিম ও মাহদী হাসান নির্বাচিত হয়েছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কম ট সমর থ ত প র র থ হয় ছ ন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
‘ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে সম্মানের সঙ্গে চলে যান’
প্রধান উপদেষ্টাকে ইঙ্গিত করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়ে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নেওয়ার কথা বলেছেন বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
তিনি বলেন, “১০ মাস লাগে না এ সংস্কার করতে, নির্বাচন দিতে। অথচ আপনারা ১০ মাস অতিক্রান্ত করেছেন। আমাদের নেতা বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন। এর মধ্যে নির্বাচন দেওয়া খুব একটা বড় সংস্কার বলে মনে করি না। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে সম্মানের সঙ্গে চলে যাবেন। আমরা সবাই সহযোগিতা করবো।”
শনিবার (৩১ মে) ঢাকা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আইনজীবীদের ছেলে-মেয়েদর মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন ও উপস্থিত বক্তব্যেরও আয়োজন করা হয়।
জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে জয়নুল আবেদীন বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকার চেয়েছিল জিয়াউর রহমানকে সকলের অন্তর থেকে মুছে ফেলতে। তারা চিন্তা করেছিল, জিয়ার নাম মুছে ফেলতে। কিন্তু মানুষের মন থেকে তাকে মুছে ফেলা যায় না।”
তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান মানুষের জীবনে, অন্তরে চিরদিন থাকবেন। তার পরিবার, পরিজনও সংগ্রাম, দুর্যোগ অতিক্রম করে বেঁচে আছেন। আল্লাহ সহায় থাকলে কেউ মেরে ফেলতে চাইলেও পারে না। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল, পারেনি। আগের চেয়ে এখন ভালো আছেন। তারেক রহমান বাপের স্মৃতি ধরে রেখেছেন। হাজার মাইল দূরে থেকে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছেন। গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছেন। আগেও করেছেন, সামনেও করবেন।”
ঢাকা আইনজীবী সমিতির (বার) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের, ট্রেজারার আব্দুর রশীদ মোল্লার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হেলাল উদ্দিন, বারের সাবেক সভাপতি মহসিন মিয়া, বারের সহ-সভাপতি শহীদুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নূরজাহান বেগম (বিউটি), লাইব্রেরি সম্পাদক নার্গিস পারভীন মুক্তি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক মো. ইলতুৎমিশ সওদাগর এ্যানি, ঢাকা বার ইউনিটের সদস্য সচিব নিহার হোসেন ফারুক, সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
ঢাকা/এম/ইভা