রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত
Published: 3rd, June 2025 GMT
জাতীয় গ্রিডের সঞ্চালন লাইনের সাথে সংযুক্ত হয়েছে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে বিদ্যুৎ সরবরাহের এই সঞ্চালন লাইন সংযুক্তের কাজ সম্পন্ন হয়। আগামী ১৫ জুন এনার্জাইস (পরীক্ষা) করে বিদ্যুৎ সরবরাহ ত্রুটিমুক্ত কিনা নিশ্চিত হবে বলে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে।
পিজিসিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী এনায়েত করিম জানান, রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন সফলভাবে সংযুক্তির মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্র্রিড সঞ্চালন সমতার মাইলফলক স্পর্শ করেছে। এই কাজ শেষ হয়েছে গত ২৯ মে।
তিনি জানান, এর মাধ্যমে পারমাণবিক কেন্দ্রের বিদ্যুৎ বাংলাদেশের গ্রিডে সঞ্চালনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলো।
রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি লাইনের দৈর্ঘ্য ১৫৮ কিলোমিটার (প্রায়) ও টাওয়ার সংখ্যা ৪১৪টি।
জানা গেছে, রূপপুর পারমাণবিকের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালনের জন্য ৪০০ কেভির চারটি এবং ২৩০ কেভির চারটি মোট ৮টি লাইনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।
৪০০ কেভির সঞ্চালন লাইনগুলো হলো: রূপপুর-বগুড়া, রূপপুর-গোপালগঞ্জ এবং ডাবল সার্কিটের রূপপুর-আমিনবাজার-কালিয়াকৈর।
২৩০ কেভির লাইনগুলো হলো: রূপপুর-বাঘাবাড়ি ডাবল কেভি এবং রূপপুর-ধামরাই ডাবল কেভির সঞ্চালন লাইন।
ফিজিক্যাল স্টার্টআপ এর আগে আরও দুটি হাইভোল্টেজ লাইন প্রস্তুত করা হয়। ২০২২ সালের ৩০ জুন ‘রূপপুর-বাঘাবাড়ি ২৩০ কেভির ডাবল সঞ্চালন লাইন’ এবং ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল ‘রূপপুর-বগুড়া ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ চালু হয়। রূপপুর-গোপালগঞ্জ লাইন চালুর মধ্য দিয়ে মোট চারটি লাইন প্রস্ততের কাজ হলো। প্রতিটির সঞ্চালন সক্ষমতা ২ হাজার মেগাওয়াট।
৪০০ কেভির ডাবল সার্কিটের রূপপুর-আমিনবাজার-কালিয়াকৈর সঞ্চালন লাইন এবং ২৩০ কেভির ডাবল ডাবল সার্কিটের রূপপুর-ধামরাই সঞ্চালন লাইনের কাজ আগামী বছরে সম্পন্ন হবে বলে প্রকৌশলী এনায়েত করিম জানান।
এ ব্যাপারে নিউক্লিয়ার পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড.
প্রকল্পের নবনিযুক্ত প্রকল্প পরিচালক ড. কবীর হোসেনের সাথে এ বিষয়ে জানার জন্য ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গত ৩ মে জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনকালে পিজিসিবি এবং গ্রিডলাইনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৩০ মে এর মধ্যে গ্রিড সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ঢাকা/শাহীন/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ২৩০ ক ভ র র র পপ র র পপ র ব ৪০০ ক ভ প রকল প ড বল স
এছাড়াও পড়ুন:
পায়রা বন্দরসহ দুই প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
পায়রা বন্দরের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রস্তাব দুটিতে ব্যয় হবে ৪৫০ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার ২৫৪ টাকা।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং স্থাপন কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) এইচপি এবং (২) এনজে, চায়না প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৫৬৮ টাকা।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর দুইয়ের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স এবং (২) এসএস রহমান ইন্টারন্যানাল লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ২৮৮ কোটি ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৬ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত//