ক্রিকেট মাঠে গরু কী করে? কাউ কর্নার বলছে পুরো গল্প
Published: 7th, June 2025 GMT
ক্রিকেট খেলার মজার দিকগুলোর একটি হচ্ছে ফিল্ডিং পজিশনের বিচিত্র সব নাম। যেমন স্লিপ, গালি, পয়েন্ট—এ সব নাম শোনার পর প্রথমে বোঝা কঠিন, এগুলো আদৌ মাঠের কোনো জায়গা না ক্রিকেট-দুনিয়ার বাইরের কিছু। তবে ক্রিকেট খেলাটা মোটামুটি বোঝেন, এমন বেশির ভাগই এই জায়গাগুলোর নাম শুনেছেন।
কিন্তু আপনি কি জানেন, ক্রিকেট মাঠে ‘কাউ কর্নার’, সোজা বাংলায় বললে ‘গরুর কোণ’ নামেও একটা জায়গা আছে? ‘গরুর কোণ’ শুনে কেউ হয়তো ভ্রু কুঁচকাতে পারেন। ক্রিকেটের মতো ব্যাট,বল আর স্টাম্পময় একটা খেলায় গরু ঢুকল কীভাবে? ক্রিকেটে গরু কী করে?
কাউ কর্নার আসলে কোথায়?ক্রিকেট মাঠে ‘কাউ কর্নারের’ অবস্থান ব্যাটসম্যানের লেগ সাইডে। ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে ডিপ মিড উইকেট ও লং অনের মাঝামাঝি যে জায়গাটা, ওটাই কাউ কর্নার নামে পরিচিত। সাধারণত, একজন ব্যাটসম্যানের জন্য বাউন্ডারি সবচেয়ে বেশি দূরে হয়ে থাকে মাঠের এ জায়গাটি দিয়েই।
‘গরুর কর্নার’নামটা কীভাবে এল?২০২০ সালে বিবিসি স্পোর্ট পাঠকদের কাছে ‘ক্রিকেট নিয়ে যে প্রশ্নটা সব সময় মাথায় ঘোরে’ আহ্বান করেছিল। সে বার যে সব বিষয়ে অনেক বেশি মানুষ জানতে চেয়েছিলেন, তার একটি হচ্ছে ক্রিকেট মাঠে ‘কাউ কর্নার’ কথাটা কীভাবে এল?
উত্তরের অংশে বলা হয়, নামটা এসেছে মাঠের এমন এক কোণ থেকে, যেখানে গরুদের নিরাপদে চরে বেড়ানোর অনুমতি দেওয়া হতো। কারণ খুব কম ব্যাটসম্যানই সেখানে বল মারতেন। অনেকের বিশ্বাস, এই শব্দটি ক্রিকেটের পরিভাষায় প্রথম ঢোকে ডালউইচ কলেজের মাঠের ওই জায়গাতেই গরুগুলো চরে বেড়াত বলে।
আরও পড়ুনঈদের দিনে ছয় তারকা, এক পতাকার নিচে১ ঘণ্টা আগেএখানে দুটি বিষয় পরিষ্কার করা দরকার। ইংল্যান্ডে ক্রিকেটের বেড়ে ওঠায় যে সব মাঠের উল্লেখযোগ্য অবদান, তার একটি ডালউইচ কলেজের মাঠ। প্রায় দেড় শ বছর আগে থেকে ক্রিকেট খেলার প্রচলন এই কলেজের মাঠে। আর কাউ কর্নারে ব্যাটসম্যানদের শট কম যাওয়ার কারণ এর অবস্থান।
একজন ব্যাটসম্যান যদি ক্রিকেটের ব্যাকরণ মেনে শট খেলেন, তাহলে কাউ কর্নার নামক জায়গাটায় বল খুবই কম যায়। যদিও টি-টোয়েন্টির যুগে সেই ধারাটা বদলেছে। এখন ইয়র্কার বলেও যেহেতু ব্যাটসম্যানকে রানের জন্য শট খেলতে হয়, কাউ কর্নারের দিকে বলও নিয়মিতই যায়। আবার ডিপ মিড উইকেট ও লং অনের ফিল্ডাররাও দৌড়ে এসে এ জায়গায় ফিল্ডিং করে থাকেন। বাউন্ডারি সীমানায় যে সব দুর্দান্ত ক্যাচের দেখা মেলে, তার বেশ কটি কিন্তু এই অঞ্চলেরই।
সুতরাং, পরের বার যখন কাউ কর্নারে মার খেয়ে যাওয়া বোলারের মুখ দেখবেন বা কোনো ফিল্ডারের সেখানে পাখির মতো লাফিয়ে ক্যাচ ধরা দেখবেন—মনে রাখবেন, এটাই সেই জায়গা, যেখানে একসময় গরু চরে বেড়াত!
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব য টসম য ন ক উ কর ন র
এছাড়াও পড়ুন:
সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন
রাস্টফ ব্যান্ডের ভোকাল আহরার মাসুদ মারা গেছেন। সেমাবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ভক্তদের কাছে দীপ নামে পরিচিত ছিলেন আহরার মাসুদ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ শিল্পীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
আরো পড়ুন:
৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে
সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা
রাস্টফ ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে দীপের মৃত্যুর খবর জানিয়ে লেখা হয়, “এমন এক বেদনাদায়ক মুহূর্তে সঠিক শব্দ খুঁজে পাওয়া বা কোনো শব্দ খুঁজে পাওয়া—প্রায় অসম্ভব। প্রিয় ভোকালিস্ট, বন্ধু ও সহযাত্রী আহারার ‘দীপ’ মাসুদের মৃত্যুসংবাদ আমাদের স্তম্ভিত করেছে। আমরা শোকে ভেঙে পড়েছি, এখনো অবিশ্বাসের ভেতর ডুবে আছি। গত রাতেই তিনি আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন।”
দীপের শূন্যতা ব্যাখ্যা করে লেখা হয়, “তার পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের অন্তরের সমবেদনা ও প্রার্থনা। আপনাদের মতো আমরাও এই অপূরণীয় ক্ষতি বোঝার চেষ্টা করছি, চেষ্টা করছি দীপের অসাধারণ প্রতিভাকে সম্মান জানাতে এবং তার চেয়েও বড় কথা—মানুষ হিসেবে তিনি আমাদের কাছে যে অমূল্য ছিলেন, তাকে স্মরণ করতে। এই কঠিন সময়ে সবার কাছে অনুরোধ, দয়া করে পরিবার ও কাছের মানুষদের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন এবং তার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন। শান্তিতে ঘুমাও, দীপ। তোমার শূন্যতা চিরকাল বেদনাময় হয়ে থাকবে।”
তরুণদের কাছে জনপ্রিয় আরেকটি ব্যান্ড পাওয়ারসার্চও দীপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, “স্মরণ করছি আহরার মাসুদ দীপকে। কিছুক্ষণ আগে আমরা হারিয়েছি আমাদের প্রিয় ভাই, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং এক সত্যিকারের শিল্পীকে। এক্লিপস, কার্ল, ক্যালিপসো ও সবশেষ রাস্টফ ব্যান্ডের অবিস্মরণীয় কণ্ঠ আহরার মাসুদ দীপ আমাদের মাঝে আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।”
পাওয়ারসার্চ আরো লেখেন, “আহরার মাসুদ দীপ শুধু একজন ভোকালিস্টই ছিলেন না, তিনি ছিলেন শক্তি, সৃজনশীলতা আর আবেগের প্রতীক, যিনি তার চারপাশের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছেন; একই সাথে তার অত্যন্ত নমনীয় ব্যবহার, যা সবাইকে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীই করে ফেলত! শান্তিতে থাকো ভাই, তুমি সব সময় আমাদের গল্পের অংশ হয়ে থাকবে।”
ঢাকা/শান্ত