আসতে গিয়ে শুনি ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে...
Published: 7th, June 2025 GMT
সেরা অভিনেত্রী (সীমিত দৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র)
তাসনিয়া ফারিণ, ‘পরস্পর’
‘পরস্পর’–এ তাসনিয়া ফারিণ চুপচাপ, শান্ত স্বভাবের একটা মেয়ে। একটা সময় বিয়ে হয়। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে নানান জটিলতার মধ্যে পড়ে। ফারিণের মতে, ‘নিপীড়িত নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছি, একটা সময় যে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে।’ চরিত্রটির জন্য ফারিণকে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। সেই প্রস্তুতির গল্পটা বললেন, ‘আশপাশে এ রকম চরিত্র আছে, কিন্তু তা সেভাবে দেখার সুযোগ নেই। আমাকে তাই বিভিন্ন রেফারেন্স ভিডিওর সাহায্য নিতে হয়েছে। একদম শেষের দিকে দেখা যায়, আমি স্বামীকে মার্শাল আর্ট দিয়ে কুপোকাত করি, তাই মার্শাল আর্টের ভিডিও দেখতে হয়েছে।’ ঢাকার বাইরে শুটিং হয়েছে। শুটিংয়ের সময় খায়রুল বাসারকে আঘাত করতে গিয়ে তাঁর চুল ছেড়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানালেন ফারিণ। ‘যত দূর মনে পড়ে, আমার মারামারিতে তিনি হাতে–মুখে ব্যথা পেয়েছিলেন,’ জানালেন ফারিণ।
সেরা অভিনেতা (সীমিত দৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র)
খায়রুল বাসার, ‘রোদ বৃষ্টির গল্প’
খায়রুল বাসার জানালেন, ‘নাটকে আমার চরিত্রটা একজন সংগ্রামী নৃত্যশিল্পী। নাচকে যে অনেক বড় একটা শিল্প হিসেবে চিন্তা করে। নাচ করতে করতে ছেলেটার মধ্যে আচার আচরণ ও শারীরিক অঙ্গভঙ্গিতে একটা বদল আসে। তার চারপাশে বন্ধু বলে কেউ থাকে না। একটা মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, সেটাও ভেঙে যায়। তাতেও ছেলেটা দমে যায় না, নাচ নিয়ে পড়াশোনা করে। শিক্ষক হয়।’ বরিশালে নাটকটির শুটিং করেছেন। বাসার বললেন, ‘চরিত্রটা আমার চেনা ছিল। আমি নিজে বন্ধুসভা করেছি। সাঈদ ভাই নামে আমাদের একজন ভাই ছিলেন, তিনি নাচ করতেন। তাঁর কথা ও হাঁটাচলার মধ্যে একটা অন্য রকম ভাব চলে এসেছিল। সে হিসেবে চরিত্রটা আমার চেনা। এই চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর ওই সব চরিত্র মনে করেছি। সবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কাজটা করেছি।’
সেরা অভিনেতা (পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র/চলচ্চিত্র)
ইমন, ‘মায়া’
ওয়েব ফিল্ম ‘মায়া’য় ইমন একজন মাদকাসক্ত যুবক। এমন চরিত্রে তাঁকে আগে দেখা যায়নি। তাই ইমনের প্রস্তুতিরও শেষ ছিল না। ইমন বললেন, ‘শুটিংয়ের আগে পরিচালকের সঙ্গে দুই মাসের মতো যোগাযোগে থেকেছি। ফোনে কথা বলেছি। আবার কখনো একসঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরিচালকের অফিসে সময় দিয়েছি।’ মাসকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রেও ছুটে গেছেন ইমন। মাদকাসক্ত মানুষের হাঁটাচলা, শারীরিক অঙ্গভঙ্গি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। ইমন বললেন, ‘আমার পরিচিতদের মধ্যে কয়েকজন ছিলেন, যাঁরা একটা সময় মাদকাসক্ত ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। সময় কাটিয়েছি। সত্যি বলতে—এতটা শ্রম আমি কবে, কোন চরিত্রের জন্য দিয়েছি, মনে নেই।’ ইমন আরও বলেন, ‘এই চরিত্রের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, এ রকম ইমনকে আগে কেউ দেখেনি। আমাকে বলেছিল, অভিনয়ে বদল আনতে হবে। সেটা আমি এনেছি। ওটিটিতে প্রথম কাজ, সেই চ্যালেঞ্জও নিয়েছি।’
সেরা অভিনেতা (প্রেক্ষাগৃহের চলচ্চিত্র, ডিজিটাল মাধ্যমের চলচ্চিত্র)
শাকিব খান, ‘তুফান’
উপমহাদেশের মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমায় তারকাদের যেভাবে পর্দায় ‘সুপারস্টার’ হিসেবে হাজির করা হয়, ‘লার্জার দেন লাইফ’ভাবে দেখানো হয়, ‘তুফান’ ছবিতে শাকিব খানকেও সে রকম দেখা গেছে। পর্দায় যেন অন্য এক শাকিব। ছবিতে শাকিব খান দুই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, একটি শান্ত স্বভাব, অন্যটিতে গ্যাংস্টার। ভারতে বিভিন্ন লোকেশনে ছবিটির শুটিং হয়েছে। ছবিটি মুক্তির পর দেশ–বিদেশে সাড়া ফেলে।
সেরা অভিনেত্রী (টিভি নাটক, সীমিত দৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র ডিজিটাল মাধ্যম, টিভি সিরিজ, ওয়েব সিরিজ)
তানজিম সাইয়ারা তটিনী, ‘লাভ সাব’
‘লাভ সাব’ ঘরানার গল্প নিয়ে অনেক নাটক হলেও উপস্থাপনে ছিল নতুনত্ব। নায়িকার চরিত্রটি গতানুগতিক হলেও তটিনীর অভিনয় ছিল উপভোগ্য। ঢাকার পাশে একটি লোকেশনে তিন থেকে চার দিন শুটিংয়ের পর পুরো ইউনিট শ্রীমঙ্গল যায়। ট্রেনে যেতে যেতে শুটিং হয়। কমলাপুর থেকে সবার ট্রেনে ওঠার কথা। তটিনীর বাসা উত্তরায়, তাঁকেও বলা হয়েছিল যেন কমলাপুর থেকে ওঠে। কী ঘটেছিল শোনা যাক, ‘কমলাপুর থেকে সবাইকে ওঠতে বলা হয়, কারণ মেকআপ নেওয়ার বিষয় আছে। আমি এগিয়ে আসতে গিয়ে শুনি ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। বিমানবন্দরে যেখানে এক থেকে দুই মিনিট ট্রেন থামে, সেখানে পাঁচ মিনিট অনুরোধ করে ট্রেন থামানো হয়। এরপর গিয়ে ট্রেন ধরতে পারি।’
সেরা অভিনেতা (টিভি নাটক, সীমিত দৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র ডিজিটাল মাধ্যম, টিভি সিরিজ, ওয়েব সিরিজ)
তৌসিফ মাহবুব, ‘লাভ সাব’
নিখাদ প্রেমের গল্পের একটি নাটক। তৌসিফ জানালেন, ‘পরিচালক প্রবীর রায় চৌধুরী যখন গল্পটা শোনালেন, তখন মনে হলো, নাটকে আমি যে চরিত্রে অভিনয় করেছি, বাস্তব জীবনের আমাকেই যেন খুঁজে পেয়েছি। নাটকটা যাঁরা দেখেছেন, সবাই উপভোগ করেছেন। চরিত্রটায় অনেক প্রাণ আছে। তটিনীর যে চরিত্রটা, সেটাকে প্রাণ দেয় এই ছেলেটা।’ বাস্তব জীবনের সঙ্গে পর্দার চরিত্রের মিল থাকায় খুব বেশি একটা পরিশ্রম করতে হয়নি। প্রস্তুতি ছিল নিজের সঙ্গে নিজেরই।
..০৬ জুন ২০২৫
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ত ত র চর ত র কর ছ ন বলল ন
এছাড়াও পড়ুন:
করোনায় ঢাকায় একজনের মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে তিনজনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মৃত ব্যক্তি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১টি নমুনা পরীক্ষা করে তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ২২৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৩৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ জনের। ২০২৪ সালে এই রোগে কেউ মারা যাননি। ২০২৩ সালে ৩৭ জন, ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৬৮ জন রোগী মারা যান।