২৫ বছর গরমকালে হজ পড়বে না, পঞ্জিকা প্রকাশ
Published: 9th, June 2025 GMT
আগামী ২৫ বছরের হজ পঞ্জিকা প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। সামনের বছর থেকে সহনীয় আবহাওয়ায় হজ পালন করতে পারবেন হাজীরা। ২০৫০ সাল পর্যন্ত গ্রীষ্মের তাপে হজ করতে হবে না তাদেরকে।
হুসেইন আল কাহতানি, দেশটির ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিটিওরলজির মুখপাত্র, জানিয়েছেন যে এ বছরই শেষ হচ্ছে গ্রীষ্মের হজ। খবর গালফ নিউজের
কাহতানি জানান, আগামী আট বছরের হজ পড়বে বসন্ত মৌসুমে, পরের আট বছর শীতকালে, এর পরের আট বছর শরতে। ২৫ বছর পর আবারও গ্রীষ্মকালে পড়বে হজ।
চন্দ্রবর্ষের হিসেবে এই পঞ্জিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, এ কারণে একেক মৌসুমে হজ করতে পারবেন হাজীরা, মুখপাত্র বলেন।
হিজরি পঞ্জিকা এবং বিশ্বব্যাপী প্রচলিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের মাঝে ১১দিনের তফাৎ রয়েছে। এ কারণে প্রতি বছর কিছু দিন এগিয়ে আসে হজের সময়সীমা।
পঞ্জিকা অনুযায়ী দেখে নিন আগামী ২৫ বছরের হজের সময়-
২০২৬-২০৩৩: বসন্তকাল (মে-মার্চ)
২০৩৪-২০৪১: শীতকাল (ফেব্রুয়ার-জানুয়ারি, ডিসেম্বরের শেষার্ধ)
২০৪২-২০৪৯: শরৎকাল (নভেম্বর-সেপ্টেম্বর)
২০৫০: আবারও গ্রীষ্মকালে ফিরবে হজ
মৌসুমের এ পরিবর্তনের ফলে হাজীদের জন্য হজ সহজ হয়ে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে যাদের বয়স অনেক বেশি বা কোনো শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য গ্রীষ্ম বাদে অন্য সময়ের হজ স্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়া ভীড়ভাট্টা সামলানো, রসদ সরবরাহ, এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও স্বস্তি আসবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স দ আরব হজ হজয ত র ২৫ বছর
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার
ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।
বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।
অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।
আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।