মেট্রোরেলের যাত্রীদের মাস্ক পরার পরামর্শ কর্তৃপক্ষের
Published: 9th, June 2025 GMT
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করার অনুরোধ করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৯ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
এর আগে ঈদুল আজহার ছুটির পর রাজধানীমুখী যাত্রীদের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ও মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানিয়েছিল।
আরো পড়ুন:
মেট্রোরেলে রান্না ও কাঁচা মাংস বহনে নিষেধাজ্ঞা
রবিবার থেকে ফের চলবে মেট্রোরেল
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশে করোনা সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও অসুস্থদের এসব জায়গা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাই রেলপথ মন্ত্রণালয় যাত্রীদের ফিরতি যাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মাস্ক পরার অনুরোধ করছে।
এরপর সোমবার ডিএমটিসিএলের উপমহাব্যবস্থাপক মো.
এর আগে, দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার হার বাড়তে থাকায় নতুন নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সবাইকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, দীর্ঘদিন পর ফের করোনা আতঙ্ক ফিরে এসেছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের মতো বাংলাদেশেও হঠাৎ করোনা বাড়তে শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন মারা যান।
সোমবার (৯ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সারা দেশে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৫ জন। এ সময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন করে ৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৮ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম স ক পর র স ক রমণ
এছাড়াও পড়ুন:
১০ শতাংশ সিমেন্ট আর ৯০ শতাংশ হতাশা, ভাস্কর্যে এ কোন ওয়াসিম আকরাম
একজন ব্যক্তির ভাস্কর্য বানানো হয় সাধারণত তাঁর অবদান, খ্যাতি বা স্মৃতিকে সম্মান জানানোর জন্য। এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব যেমন থাকে, তেমনি শিল্পগত অবদানও কম নয়। কিন্তু ঠিকঠাক ফুটিয়ে তুলতে না পারলে এই ভাস্কর্যই হয়ে ওঠে ওই ব্যক্তির জন্য মানহানিকর।
এবার তেমনই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। এই কিংবদন্তি পেসারের একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে পাকিস্তানের হায়দরাবাদের নিয়াজ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ভাস্কর্যটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
ভাস্কর্যটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পাকিস্তানের ১৯৯৯ বিশ্বকাপ জার্সির আকরামকে। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওই বিশ্বকাপে আকরামই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তবে ‘ওয়াসিম আকরাম’ যতটা না অধিনায়ক, তার চেয়ে অনেক বেশি পরিচিত বাঁহাতি পেসার হিসেবে। ভাস্কর্যটিতে আকরামের বোলিং অ্যাকশন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
দীর্ঘদেহী আকরামের শারীরিক কাঠামো উঠে এসেছে ভালোভাবেই। তবে মুখভঙ্গি ঠিক আকরামসুলভ নয়। চুলও অপেক্ষাকৃত বেশি বয়সের। ভাস্কর্যটি গত এপ্রিলে উন্মুক্ত হলেও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘মিম’ হিসেবে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে (ভাইরাল)।
‘সুলতান অব সুইং’ খ্যাত এই পেসারের ভাস্কর্যটি নিয়ে একজন লিখেছেন, ‘১০ শতাংশ সিমেন্ট আর ৯০ শতাংশ হতাশা’। ১৯৮৪ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করা এই ক্রিকেটারকে সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়নি উল্লেখ করে একজন লিখেছেন, ‘একজন ক্রিকেট কিংবদন্তিকে দেওয়া অবিবেচনাপ্রসূত ট্রিবিউট’।
কেউ কেউ আবার ওয়াসিম আকরামের বিভিন্ন সময়ের বিরক্তি ও হতবাক হওয়ার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ভাস্কর্য দেখার পর আকরামের প্রতিক্রিয়া এমনই। এ ছাড়া ‘টাকা কম থাকলে যেমন ভাস্কর্য হয়’, ‘ভাস্কর যখন ওয়াসিম আকরামকে চেনেন না’ এমন নানা ধরনের ক্যাপশনে ভাস্কর্যটির ছবি পোস্ট করেছেন অনেকে।
পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো বলছে, শিগগিরই নিয়াজ স্টেডিয়ামে সংস্কারকাজ শুরুর পরিকল্পনা আছে পিসিবির। সেই সংস্কারে প্রথম কাজই হতে পারে ওয়াসিম আকরামের ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলা।