ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দুর্ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন নরেন্দ্র মোদি। 

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ১৭ মিনিটে ভারতের আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি। বিমানটিতে দুই শতাধিক যাত্রী ছিল। যুক্তরাজ্যের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি। খবর বিবিসির

সামাজিকমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লিখেছেন, ‘আহমেদাবাদের এ দুর্ঘটনা আমাদের স্তম্ভিত করে দিয়েছে, দুঃখিত করেছে। এটা কতটা হৃদয়বিদারক, তা কথায় বোঝানো যাবে না। তিনি আরও বলেন, ‘যতজন মানুষ এ ঘটনায় প্রভাবিত, তাদর প্রত্যেকের কথাই আমার ভাবনাজুড়ে আছে এই দুঃসময়ে। যেসব মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা বিপদে পড়া মানুষদের সহায়তা করছেন, তাদের সঙ্গে আমি যোগাযোগ রাখছি।

অন্যদিকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় আমি মর্মাহত। দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিক উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আহত যাত্রীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আহত যাত্রীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করা এবং হাসপাতালে চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিশ্চিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আহম দ ব দ দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।

উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।

পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
  • পুলিশের তৎপরতায় দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪
  • ফতুল্লার ৫ ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি গঠনে তৎপরতা