গল টেস্টে ১৪তম সর্বাধিক দলীয় রান করেছে বাংলাদেশ। গলে তাই রানের আশা মিটেছে বলাই যায়। কিন্তু নাজমুল শান্ত, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের দেখানো আশা পূরণ হয়নি। অধিনায়ক শান্ত ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি তো দূরে থাক দেড়শটাও মিস করেছেন। চতুর্থ ডাবলের স্বপ্ন ভেঙেছে মুশফিকের। সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পুড়েছেন লিটন দাস। নির্ভার ব্যাটিং করা বাংলাদেশ দল বৃষ্টির পরে ৬১ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়েছে। আলো স্বল্পতায় গল টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ হওয়ার আগে প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান তুলে কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে ফিল সিমন্সের দল।
টস জিতে ব্যাট করে গল টেস্টের প্রথমদিন পুরোপুরি নিজেদের করে নিয়েছিলেন নাজমুল শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। প্রথম সেশনে ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে ২৯২ রানে নিয়ে দিন শেষ করেন তারা। ২৪৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। নাজমুল শান্ত ১৩৬ রান তুলে এবং মুশফিক ১০৫ রান অপরাজিত থেকে ম্যাচের লাগাম হাতে রেখে দিন শেষ করেন।
দ্বিতীয় দিন সকালে সাজঘরে ফিরে যান যান অধিনায়ক শান্ত। মুশফিকের চাওয়া ডাবল সেঞ্চুরির আশা পূরণ করতে পারেননি। শান্ত ২৭৯ বল খেলে ১৪৮ রান করে আউট হন। ১৫টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন তিনি। এরপর ১৪৯ রানের দারুণ একটা জুটি গড়েন মুশফিক ও লিটন দাস। গলে বৃষ্টি নামার আগে মুশফিক দেড়শ’ রান করে ফেলেন। সেঞ্চুরির আশা দিচ্ছিলেন লিটন। কিন্তু বৃষ্টির পরে একে একে মুশফিক-লিটন তো বটেই আউট হন জাকের আলী, নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম।
মুশফিকের টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম দেড়শ’র ইনিংস ১৬৩ রানে থামে। তিনি ৩৫০ বল খেলে মাত্র ৯টি চারের শটে ওই ইনিংস সাজান। লিটন ফিরে যান ১২৩ বলে ৯০ রান করে। তার ব্যাটে ঝাজ ছিল। ১১টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন ডানহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটার। পরেই মিলান রত্নায়েকের শিকার হন জাকের আলী (৮) ও নাঈম হাসান (১১)। লঙ্কান পেসার তাইজুলকে ফেরান ৬ রানে। শূন্য রান নিয়ে হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা দিন শেষ করেছেন। তারা তৃতীয় দিনের সকালে ব্যাট করবেন নাকি শান্ত ঘোষণা করে লঙ্কানদের ব্যাটে পাঠানো হবে তা সকালেই জানা যাবে।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ৯ উইকেট তিন লঙ্কান বোলার সমানভাবে ভাগ করে নিয়েছেন। পেসার আসিথা ফার্নান্দো ৩ উইকেট নিয়েছেন। দুই হাতে বল করতে পারা স্পিনার থারিন্ডু রত্নায়েকে নেন ৩ উইকেট। শেষ বেলার তিন উইকেট নেন মিলান রত্নায়েকে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গল ট স ট ল টন দ স র ন কর প রথম উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার
ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।
বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।
অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।
আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।