বিদ্যুতের ভর্তুকি বছরে ৬২ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। তবে কাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে এর বড় অংশ ধনীরা ভোগ করছেন। বিপরীতে গরিবরা ছিটেফোঁটা পাচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মতে, বাংলাদেশে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে দেওয়া ভর্তুকির মাত্র ১২ শতাংশের সুবিধাভোগী সবচেয়ে গরিবরা। বিপরীতে ৩২ শতাংশের সমপরিমাণ (এক-তৃতীয়াংশ) পাচ্ছেন সবচেয়ে ধনী ২০ শতাংশ গ্রাহক, যার পরিমাণ প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা। বৈষম্যমূলক কাঠামোর কারণে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি করছে।

আইএমএফের কারিগরি সহায়তা-সংক্রান্ত খসড়া প্রতিবেদনে এমন চিত্র তুলে ধরে সংস্থাটি ভর্তুকি কমাতে কাঠামোগত সংস্কারের পাশাপাশি দাম বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছে। প্রয়োজনে সরাসরি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ভর্তুকি দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছে আইএমএফ। গত ৩০ জুন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ভর্তুকি সংস্কার শীর্ষক এ প্রতিবেদন বিদ্যুৎ বিভাগে জমা দিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড.

জাহিদ হোসেন বলেন, ভর্তুকির সুফল মূলত ধনীরা পান। কারণ, তারাই বিদ্যুৎ-জ্বালানি বেশি ভোগ করেন। এ জন্য দাতাগোষ্ঠী ভর্তুকি থেকে বের হতে চাপ দেয়। কিন্তু সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তা– সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাঁর পরামর্শ, একদিকে ভর্তুকি কমাতে হবে, অন্যদিকে সামাজিক সুরক্ষা খাতের আওতা বাড়াতে হবে। তাহলে ভর্তুকিশূন্য হলেও প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষতিগ্রস্তরা ভিন্ন নামে ক্ষতিপূরণ পাবেন।

বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি
২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। গত ১৬ বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৩০ হাজার ৭৮০। অথচ দেশের সর্বোচ্চ চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট। চাহিদা না থাকলেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার দলীয় ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে একের পর এক অপ্রয়োজনীয় কেন্দ্র বানিয়েছিল। ফলে উৎপাদন না করেও কেন্দ্র মালিকরা প্রতিবছর শত শত কোটি টাকা সরকার থেকে পেয়েছে, যার প্রভাবে বেড়েছে বিদ্যুতের খরচ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে পিডিবির বিদ্যুৎ প্রতি ইউনিট কিনতে লেগেছে ১১ টাকা ৭৪ পয়সা, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৬ টাকা ১৮ পয়সা। মাত্র পাঁচ  বছরে খরচ দ্বিগুণ হয়েছে। এ চাপ সামলাতে তৎকালীন সরকার বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে।

২০০৯ সালে বিদ্যুতের খুচরা দাম ছিল প্রতি ইউনিট ৩ টাকা ৭৩ পয়সা। এখন হয়েছে ৮ টাকা ২৫ পয়সা। এর পরও উৎপাদন খরচের সঙ্গে খুচরা দামের সমতা হয়নি। লোকসান কমাতে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে পিডিবির ভর্তুকি ছিল ৭ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। এর পর থেকে বেড়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১১ হাজার ৭৭৮ কোটি, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১২ হাজার ৮০০, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৯ হাজার ৫১১, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৯ হাজার ৪০০ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভর্তুকি ৬২ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।
আইএমএফ বলেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিদ্যুৎ-গ্যাস মিলে ভর্তুকি ছিল জিডিপির ১.৩২ শতাংশ। তবে ২০২৩-২৪-এ তা কিছুটা কমে ১.১০ শতাংশ হলেও বাজেটের ওপর চাপ অব্যাহত রয়েছে।
আইএমএফ তিন ধাপে ভর্তুকি সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছে। স্বল্প মেয়াদে প্রাথমিক (লাইফলাইন) গ্রাহকদের দাম অপরিবর্তিত রেখে ধনীদের জন্য ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। এতে ২.১ শতাংশ খরচ সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি শহরে ১০ এবং গ্রামের জন্য ৫ শতাংশ দাম বাড়াতে হবে। এতে ৬.১ শতাংশ ভর্তুকি হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
মধ্য মেয়াদে সরাসরি ভর্তুকি তুলে দিয়ে সর্বনিম্ন ৬০ শতাংশ পরিবারকে মাসে ৪৮৮ টাকা করে সহায়তা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। এতে ৬৪ শতাংশ ভর্তুকি কমানো সম্ভব। আর দীর্ঘ মেয়াদে বিদ্যুৎ মূল্যকে সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধাভোগীদের তালিকার সঙ্গে যুক্ত করে প্রকৃত দরিদ্রদের ভর্তুকি দেওয়ার পরামর্শ এসেছে। এতে ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি সাশ্রয় সম্ভব।
পাশাপাশি আইএমএফ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) ক্ষমতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ তথ্য ব্যবস্থাপনা একীভূত, অকার্যকর বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে। সংস্থাটি আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সরকারকে সংস্কারের রোডম্যাপ প্রস্তুত করতে বলেছে।

দাম বাড়ার চাপে সরকারের নারাজি
আইএমএফের সঙ্গে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তির শর্ত হিসেবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কয়েক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ায় আওয়ামী লীগ সরকার। পাশাপাশি প্রতিবছর চারবার করে দাম বাড়িয়ে ২০২৬ সালের মধ্যে ভর্তুকি ধাপে ধাপে শূন্যে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম বাড়েনি।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, অনেক চাপ সত্ত্বেও তারা দাম বাড়াননি। এ মুহূর্তে এমন উদ্যোগ নেই, নিকট ভবিষ্যতেও দাম বাড়বে না। তবে সরকার অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা ও খাতভিত্তিক সংস্কারের মাধ্যমে ভর্তুকি কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ভর ত ক র পর ম ব যবস সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

শেষে এসে ‘বিপদে’ ওয়াসা

একের পর এক জটিলতায় পড়ছে চট্টগ্রাম ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পটি। অর্থ বরাদ্দের সংকট, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বকেয়া নিয়ে বিরোধ, কাজের ধীরগতি—সব মিলিয়ে প্রকল্পের নির্মাণকাজ বর্ধিত সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

প্রায় ৫ হাজার ২০৪ কোটি টাকার এই প্রকল্পে ২২টি ওয়ার্ডের ২০ লাখ মানুষের জন্য আধুনিক পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা রয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৭০ শতাংশ। এই সময়ে এসে নানা জটিলতায় ‘বিপদে’ পড়েছে ওয়াসা।

‘চট্টগ্রাম মহানগরের পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায়। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এরপর প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় বেড়েছে। মেয়াদ বেড়েছে তিন দফা। ২০২৩ সালের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি।

বর্তমানে অর্থ বরাদ্দের সংকট নিয়ে বিপাকে আছে ওয়াসা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সংস্থাটি চেয়েছিল ১ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা, সরকারের কাছ থেকে পেয়েছে ৭৪৪ কোটি। চলতি অর্থবছরে (২০২৫-২৬) দরকার ১ হাজার ৪০ কোটি টাকা, কিন্তু এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে ৬৭৬ কোটি টাকা। প্রকল্পে খরচ হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিল পরিশোধ করা হয়েছিল। এরপর ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত করা কাজের টাকা আমরা পাইনি। আগেও একই কারণে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল, পরে আশ্বাস পেয়ে শুরু করেছিলাম। এবারও সেই পরিস্থিতি।প্রকল্প পরিচালক, এসএ ইঞ্জিনিয়ারিং

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এই নির্বাচনী মৌসুমে প্রকল্প বরাদ্দে আরও অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। অর্থ না এলে প্রকল্পের কাজ স্থবির হয়ে পড়বে। ২০২৭ সালের শুরুতে এ প্রকল্পের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কাজ শেষ না হলে এই পরিকল্পনা পিছিয়ে যাবে।

জানতে চাইলে ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, গত বছরই অর্থ বরাদ্দের অভাবে অনেক কাজ আটকে ছিল। এ বছরও চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ না পেলে সময়সীমা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে অর্থ বরাদ্দ নিয়ে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে।

চলতি অর্থবছরে বরাদ্দের বিষয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

বর্তমানে অর্থ বরাদ্দের সংকট নিয়ে বিপাকে আছে ওয়াসা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সংস্থাটি চেয়েছিল ১ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা, সরকারের কাছ থেকে পেয়েছে ৭৪৪ কোটি। চলতি অর্থবছরে (২০২৫-২৬) দরকার ১ হাজার ৪০ কোটি টাকা, কিন্তু এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে ৬৭৬ কোটি টাকা।

প্রকল্পের নথিতে বলা হয়, দৈনিক ১০ কোটি লিটার পরিশোধনের ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পয়োশোধনাগার, দৈনিক ৩০০ ঘনমিটার পরিশোধনের ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সেপটিক ট্যাংকের বর্জ্য শোধনাগার, ২০০ কিলোমিটার পয়োনালা নির্মাণ করা হবে। এতে চট্টগ্রাম নগরের ২২টি ওয়ার্ডের ৩৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা প্রকল্পের আওতায় আসবে। আর উন্নত পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার সুফল পাবেন ২০ লাখ মানুষ।

এখনো কাজ বন্ধ, অর্থের টানাপোড়েন

প্রকল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ পাইপলাইন স্থাপনের কাজ ১৫ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড উপঠিকাদারদের অর্থ পরিশোধ না করায় সাতটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ রেখেছে।

হালিশহর এলাকায় পাইপ বসানোর কাজ করছে মেসার্স নূর এন্টারপ্রাইজ, এসএ ইঞ্জিনিয়ারিং, জাহান এন্টারপ্রাইজ, দেশ কন্ট্রাক্টরস অ্যান্ড ডেভেলপার লিমিটেড, ইনাস এন্টারপ্রাইজ, পোর্ট হারবার ইন্টারন্যাশনাল ও পাওয়ার বাংলা করপোরেশন। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, তাদের প্রায় ৪৬ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে আছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার তাইয়ং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় উপঠিকাদাররা দুটি শর্তে কাজ শুরুতে রাজি হয়েছেন—আগামী সোমবারের মধ্যে ৫০ শতাংশ বকেয়া পরিশোধ এবং ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি অর্থ নিষ্পত্তি।

জানতে চাইলে এসএ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রকল্প পরিচালক আহাদুজ্জামান বাতেন বলেন, ‘চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিল পরিশোধ করা হয়েছিল। এরপর ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত করা কাজের টাকা আমরা পাইনি। আগেও একই কারণে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল, পরে আশ্বাস পেয়ে শুরু করেছিলাম। এবারও সেই পরিস্থিতি।’

আহাদুজ্জামান জানান, ‘মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনায় আমরা দুটি শর্ত দিয়েছি—সোমবারের মধ্যে ৫০ শতাংশ বিল পরিশোধ এবং ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি অর্থ নিষ্পত্তি। এ দুই শর্তে কাজ আবার শুরু করছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টানা দুই মাস আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে
  • তিন মাসে গৃহকর আদায় কমেছে ৩০ কোটি টাকা
  • জুলাই–সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া, কোনো অর্থ দেয়নি চীন
  • সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি 
  • ২৯ দিনে প্রবাসী আয় ২৪৩ কোটি ডলার
  • সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী
  • শেষে এসে ‘বিপদে’ ওয়াসা
  • খেলাপি ঋণ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে আইএমএফ