খেলাপি ঋণ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে আইএমএফ
Published: 31st, October 2025 GMT
ব্যাংকিং খাতে বাড়তে থাকা খেলাপি ঋণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে, প্রকৃত খেলাপির চিত্র প্রকাশ করায় তা ইতিবাচক ভাবে দেখছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যংকে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইএমএফের প্রতিনিধি দল খেলাপি ঋণসহ নানা বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
আরো পড়ুন:
১১ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১৮৮০ অফিসার নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
বিদ্যুৎ আমদানির অর্থ পরিশোধে নিয়ম সহজ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রো ইকোনমিকস বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড.                
      
				
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, আইএমএফের পঞ্চম রিভিউ মিশন নিয়মিত সফরের অংশ হিসেবে তথ্য নিচ্ছে। তারা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গৃহীত পদক্ষেপ, সুদের হার নির্ধারণ, রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা এবং খেলাপি ঋণ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপের অগ্রগতি সম্পর্কে আগ্রহ দেখিয়েছে।
বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধি দল রিজার্ভ থেকে ইডিএফ গঠনসহ ব্যবহারের ধরন, বিভিন্ন পুনঃঅর্থায়ন ও প্রাক–অর্থায়ন সুবিধা এবং এসব তহবিলের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সম্পর্কে আইএমএফ প্রতিনিধি দলকে বিস্তারিত জানায়।
বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধি দল মুদ্রানীতির কাঠামো, মূল্যস্ফীতি, সুদের হার, তারল্য সহায়তা, রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা এবং খেলাপি ঋণ কমাতে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেয়। তারা মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এছাড়া, ব্যাংকগুলোর প্রভিশন ঘাটতি ও তা কমানোর পদক্ষেপসহ জলবায়ু ও টেকসই বিনিয়োগ এবং সবুজ অর্থায়ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।
আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির শর্ত অনুযায়ী, সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার কথা। তবে, গত বছরের আগস্টে সরকারের পরিবর্তনের পর গোপন করে রাখা বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণের তথ্য প্রকাশ পেতে শুরু করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে দেখা যায়, মাত্র এক বছরে প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা বেড়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকায়।
ঢাকা/নাজমুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইএমএফ র পদক ষ প
এছাড়াও পড়ুন:
ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ ছাড় নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা শুরু
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আর্টিকেল ফোর মিশন ঢাকা এসেছে। পাশাপাশি আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ ছাড় নিয়ে পঞ্চম পর্যালোচনা করতে সংস্থাটির আরেকটি দলও এখন ঢাকায় আছে। উভয় দলই এসেছে দুই সপ্তাহের সফরে। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে।
আজ বুধবার আইএমএফ মিশনের বৈঠক ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে। বাংলাদেশের দিক থেকে অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নর আলাদা তিনটি বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।
আইএমএফের গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রো ইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধিদলটি আজ অর্থসচিবের সঙ্গে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী বৈঠকে এবারের মিশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে। আগেরবারের মিশনের নেতৃত্বও দিয়েছিলেন এই ক্রিস পাপাজর্জিও।
জানা গেছে, আইএমএফের ‘পরিমাণগত কর্মক্ষমতা মানদণ্ড’ (কোয়ান্টিটেটিভ পারফরম্যান্স ক্রাইটেরিয়া বা কিউপিসি) কতটা পূরণ করেছে, তা নিয়ে সংস্থাটি এবার বেশি আলোচনা করবে। কিউপিসি হচ্ছে আইএমএফের বাধ্যতামূলক শর্ত।
আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত আইএমএফকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো জানতে চাইবে আইএমএফের আর্টিকেল ফোর মিশন। বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া কমানো, প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) বিপরীতে প্রণোদনা দেওয়া কমিয়ে আনা ইত্যাদি।
অর্থ বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া কমিয়ে ২৮ হাজার কোটি টাকার নিচে আনতে বলেছিল আইএমএফ। এটা পূরণ হয়েছে বেশ আগেই। তবে এটা যেহেতু চলমান প্রক্রিয়া, তাই নতুন বকেয়াও জমছে।
আইএমএফের সঙ্গে চলমান ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি থেকে ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ বাংলাদেশের পাওয়ার কথা চলতি বছরের ডিসেম্বরের দিকে। কিন্তু ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর আসবে নির্বাচিত সরকার। সে কারণে এবার পঞ্চম পর্যালোচনা হলেও সংস্থাটি ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সরকারের সময়ই নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, একটা কথা শোনা যাচ্ছে যে পরের কিস্তি পাওয়া যাবে নির্বাচিত সরকারের সময়। কর্মসূচির আকার বাড়ল গত জুনে। তখনো তো ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে এ তথ্য সবার জানা। তাহলে নির্বাচিত সরকারের সময় ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়টি আসছে কেন, তা বোধগম্য নয়।
 ভাইকিং গোষ্ঠীপতির মৃতদেহ সৎকারের নৃশংস প্রথা
ভাইকিং গোষ্ঠীপতির মৃতদেহ সৎকারের নৃশংস প্রথা