টেলিভিশনের পর্দা পরিষ্কারের সময় যেসব জিনিস ব্যবহার করা যাবে না
Published: 4th, July 2025 GMT
টেলিভিশনের পর্দায় প্রতিদিন অনেক ধুলা জমা হয়। দীর্ঘদিন ধুলা জমলে পর্দার বিভিন্ন স্থানে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। ফলে ভালোভাবে ছবি দেখা যায় না। আধুনিক স্মার্ট টেলিভিশনের পর্দায় বিশেষ আবরণ থাকায় বেশ কিছু জিনিস ব্যবহারের কারণে পর্দায় থাকা অ্যান্টি-গ্লেয়ার ও অ্যান্টি-রিফ্লেকটিভ প্রলেপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর তাই টেলিভিশনের পর্দা পরিষ্কারের জন্য সব সময় শুকনা মাইক্রোফাইবার বা পরিষ্কার নরম শুকনা সুতির কাপড় ব্যবহার করতে হয়। টেলিভিশনের পর্দা পরিষ্কারের সময় যেসব জিনিস ব্যবহার করা যাবে না, সেগুলো দেখে নেওয়া যাক—
টিস্যু বা পেপার টাওয়েল
অনেকে টিস্যু বা পেপার টাওয়েল দিয়ে টেলিভিশনের পর্দা মোছেন, যা একদমই নিরাপদ নয়। এগুলোর খসখসে গঠন পর্দার গায়ে সূক্ষ্ম আঁচড় ফেলতে পারে। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পর্দা ঝাপসা হয়ে যায়। পাশাপাশি লিন্ট বা তুলার মতো অংশ পর্দায় থেকে যেতে পারে।
গ্লাস ক্লিনার
টেলিভিশনের পর্দা সাধারণ কাচের মতো হলেও গ্লাস ক্লিনার ব্যবহারে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। গ্লাস ক্লিনারে থাকা অ্যামোনিয়া বা অ্যালকোহল–জাতীয় রাসায়নিক উপাদান পর্দার সুরক্ষাস্তর নষ্ট করে দিতে পারে। ফলে পর্দা বিবর্ণ হওয়ার পাশাপাশি স্থায়ী দাগ পড়তে পারে।
কাপড় বা স্পঞ্জ
রান্নাঘরের পুরোনো কাপড়, মোটা তোয়ালে বা সাধারণ স্পঞ্জ দিয়ে টেলিভিশনের পর্দা মোছা থেকে বিরত থাকতে হবে। কাপড় বা স্পঞ্জের কারণে টেলিভিশনের পর্দায় আঁচড় পড়তে পারে।
তরল স্প্রে
অনেকে ক্লিনার বা পানি সরাসরি ছিটিয়ে পর্দা পরিষ্কার করেন। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তরল পদার্থ পর্দার কিনারা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে সার্কিট বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক অংশে পৌঁছে গেলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। এতে স্ক্রিনে ডেড পিক্সেল দেখা যাওয়ার পাশাপাশি টেলিভিশন পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
অ্যাসিটোন বা নেইল পলিশ রিমুভার
নেইল পলিশ রিমুভার বা অ্যাসিটোনভিত্তিক দ্রব্যে থাকে তীব্র রাসায়নিক, যা টেলিভিশনের পর্দার প্রতিরক্ষামূলক স্তর গলিয়ে দিতে পারে। ফলে পর্দায় স্থায়ী দাগ পড়ার পাশাপাশি দৃশ্যের রং পরিবর্তন বা চেহারায় বিকৃতি দেখা দিতে পারে।
বেবি ওয়াইপস বা মেকআপ রিমুভার ওয়াইপস
অনেকে মনে করেন, নরম বেবি ওয়াইপস বা মেকআপ রিমুভার ওয়াইপস নিরাপদ। কিন্তু বাস্তবে এসব ওয়াইপসে থাকে তেল, সুগন্ধি বা রাসায়নিক উপাদান। ফলে এগুলো ব্যবহার করলে টেলিভিশনের পর্দায় দাগ পড়তে পারে।
ডিটারজেন্ট
বেকিং সোডা, ডিটারজেন্ট বা ক্লিনিং পাউডার টেলিভিশনের পর্দার জন্য একেবারেই অনুপযুক্ত। এগুলোর দানাদার গঠন সরাসরি স্ক্রিনে আঁচড় ফেলতে পারে এবং পর্দা পুরো নষ্ট করতে পারে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর পর ষ ক র পর দ র
এছাড়াও পড়ুন:
নুরাল পাগলার দরবার থেকে চুরি হওয়া জেনারেটর উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার দরবার থেকে চুরি হওয়া একটি জেনারেটর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মো. মিজানুর রহমান (২৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ। মিজানুরের বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার লক্ষ্মীকোল সোনাকান্দর গ্রামে।
আরও পড়ুননিহতের বাবার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ২, দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির দাবি১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫এ নিয়ে দুই মামলায় মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ৫ সেপ্টেম্বর গোয়ালন্দের নুরাল পাগলার দরবারে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় মিজানুর রহমান জেনারেটর চুরি করে নিয়ে যাচ্ছেন—এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মিজানুরকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। মিজানুরকে দরবারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, লাশ পোড়ানো ও হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে রাজবাড়ীর আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুননুরাল পাগলার দরবারে হামলায় হত্যা মামলা, মসজিদের ইমামসহ চারজন গ্রেপ্তার০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ওই দিন পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে প্রায় তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে ৬ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। এই মামলায় মোট ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে দরবারে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, হত্যা ও কবর থেকে লাশ তুলে মহাসড়কে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় নিহত ভক্ত রাসেল মোল্লার বাবা আজাদ মোল্লা বাদী হয়ে ৮ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। ওই মামলায় সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত মিজানুরসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।