২০২৩ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের অভিনেতা আরিফিন শুভ ও পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী সোহিনী সরকারকে নিয়ে ‘লহু’ ওয়েব সিরিজের ঘোষণা আসে। পরিচালনার দায়িত্ব পান পশ্চিমবঙ্গের নির্মাতা রাহুল মুখোপাধ্যায়। কিন্তু হঠাৎ থেমে যায় সিরিজটির শুটিং। তবে সমস্ত ঝামেলা কাটিয়ে ফের শুরু হচ্ছে ‘লহু’ সিরিজের শুটিং।

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ওয়েল-এর খবরে বলা হয়েছে, ডিরেক্টরস ফেডারেশনের নিয়ম না মেনে পরিচালক সিরিজটির শুটিং শুরু করেন। আর এর ফলে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সাসপেন্ড করা হয় পরিচালককে। এরপর এই ঘটনা রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দেয় সমগ্র টালিউডে। অবশেষে সেসব জটিলতার অবসান ঘটেছে; মনোমালিন্য পেরিয়ে ফের পুরোনো ছন্দে ফিরছে ‘লহু’।

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির ভারতীয় কর্মকর্তা অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিচালক রাহুল জানিয়েছেন, ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের মধ্যস্থতায় সমস্যার মীমাংসা হয়েছে।

রাহুল বলেন, ‘স্বরূপদা না থাকলে এটা সম্ভব হতো না। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি সহযোগিতা করেছেন বলেই আমরা আবার কাজ শুরু করতে পারছি।’

অনিন্দ্য বলেন, ‘আমাদের দিক থেকেও কিছু ভুল ছিল, যা স্বরূপদা বুঝিয়ে দিয়েছেন। এখন ফের শুরু করছি ‘লহু’, পাশাপাশি চরকির আরও কিছু প্রজেক্টও পরিকল্পনায় রয়েছে।’

২০২৩ সালে শেষ দিকে ভারতে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি। এরপর ‘লহু’ ওয়েব সিরিজ নির্মাণের ঘোষণা প্ল্যাটফর্মটি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের নির্মাতাদের ফেডারেশনের কিছু নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে থমকে যায় প্রজেক্টটি। সেসব ঝামেলা কাটিয়ে ফের শুটিং গড়াচ্ছে সিনেমাটি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর ফ ন শ ভ স হ ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’

‘আমি থানার ওসি বলছি। আপনার মোবাইল ফোন হ্যাকড হয়েছে। আমাদের সাইবার টিম এটা নিয়ে কাজ করছে। হ্যাকারের পরিচয় শনাক্ত করতে আপনার হোয়াটসঅ্যাপে একটি লিংক পাঠানো হয়েছে, সেখানে ক্লিক করুন।’ এমন ফোন পেয়ে ঘাবড়ে গিয়ে কথামতো লিংকে ঢোকেন মুঠোফোনের মালিক। এরপর ফোনের মালিক জানতে পারেন, তাঁর নম্বর থেকে পরিচিত বন্ধু, সহকর্মী ও স্বজনদের কাছ থেকে তাঁর নাম করে টাকা চাওয়া হচ্ছে। যখন বুঝতে পারেন তিনি হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন, ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে।  

মুঠোফোনে এমন প্রতারণা শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন। আজ বুধবার দুপুরে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ আইডি হ্যাক করা হয়। হ্যাকড হওয়ার পর থেকেই তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে বিভিন্নজনের কাছে টাকা চাওয়া হচ্ছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সহ-উপাচার্য নিজেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ঘটনায় হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন অধ্যাপক কামাল উদ্দিন।

আজ দুপুরে ফেসবুকে সহ–উপাচার্য লেখেন, ‘আসসালামু আইলাইকুম, কিছুক্ষণ পূর্বে আমার হোয়াটসঅ্যাপ ও বিকাশ নাম্বার প্রতারক হ্যাক করেছে। দয়া করে প্রতারিত হবেন না।’

জানতে চাইলে অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুরে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিচয়ে একজন তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল দেন। পরে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটা লিংক পাঠানো হয়। তিনি এই লিংকে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর হ্যাকড হয়। এরপর এ নম্বর থেকে বিভিন্নজনের কাছে টাকা চাওয়া হয়। তখনই তিনি হ্যাকড হওয়ার বিষয়টি টের পান।

প্রতারণার শিকার হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কালচে হয়ে যাচ্ছে মোগল আমলের লালকেল্লা
  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • জিল হোসেন মারা গেছেন, আদালতে তাঁর লড়াই শেষ হবে কবে
  • গবাদিপশু থেকে মানুষের শরীরে ‘তড়কা’ রোগ, প্রতিরোধে যা করবেন
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর
  • কীভাবে নেট রান রেট হিসাব করা হয়, সুপার ফোর উঠতে বাংলাদেশের হিসাব কী
  • সোনালী ও রূপালী মুনাফায়, অগ্রণী ও জনতা লোকসানে