দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর নতুন করে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ১ আগস্ট থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে।

এর মাধ্যমে আবারও কড়া বাণিজ্য নীতির পথে হাঁটলেন ট্রাম্প। এর আগে গত এপ্রিল মাসে বিভিন্ন দেশের আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তখনই দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ এবং জাপানের ওপর ২৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল।

শুল্ক সংক্রান্ত বিস্তারিত পরিকল্পনা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের কাছে চিঠির মাধ্যমে জানাচ্ছেন ট্রাম্প। সোমবার প্রকাশিত এমনই কিছু চিঠিতে দেখা গেছে, মিয়ানমার ও লাওসের পণ্যের ওপর ৪০ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ৩০ শতাংশ এবং মালয়েশিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া তিউনিসিয়ার ওপর ২৫, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ৩২ শতাংশ, বসনিয়ার ওপর ৩০ শতাংশ, সার্বিয়ার ওপর ৩৫ শতাংশ এবং কম্বোডিয়ার ওপর ৩৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, সোমবার আরও অন্তত কিছু দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এসব চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শেয়ার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা ও কর্মসংস্থানকে সুরক্ষা দেবে। একই সঙ্গে মার্কিন পণ্যের উৎপাদন বাড়াবে।

তবে নতুন এই শুল্ক ঘোষণার পর সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে মন্দাভাব দেখা গেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসব শুল্ক বাণিজ্য আলোচনাকে জটিল করে তুলছে। বিশেষ করে গাড়ির ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘আসছে কয়েক দিন খুব ব্যস্ত যাবে। অনেক দেশ আলোচনার জন্য নতুন প্রস্তাব পাঠাচ্ছে।’

এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য, ভিয়েতনাম ও চীনের সঙ্গে আংশিক বাণিজ্য চুক্তি করেছে। তবে এসব চুক্তির পরেও আগের তুলনায় শুল্কের হার বেড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা চললেও ইস্পাত ও গাড়ির যন্ত্রাংশের ওপর ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক এখনো বড় বাধা হয়ে আছে।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, বুধবারের মধ্যে চুক্তিতে না এলে জাপানের পণ্যের ওপর ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে।

বিশ্বব্যাপী চাপ সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা এই কঠোর শুল্কনীতি থেকে সরে আসার কোনো পরিকল্পনা করছে না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র শ শ ল ক আর প স মব র

এছাড়াও পড়ুন:

নেহাল ফেরায় কাবিলার জন্য ভালো নাকি মন্দ হলো, কী বলছেন পলাশ

আসল নামটাই যেন তাঁর বদলে গেছে। ভক্তদের কাছে তিনি সাত বছর ধরে ‘কাবিলা’ নামে পরিচিত। যেখানেই যান, সবাই কাবিলা বলেই সম্বোধন করে। অনেক সময় এই অভিনেতার জিয়াউল হক পলাশ নামটিই আড়ালে পড়ে যায়। তবে পর্দার নামটিও তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। এটাকে দর্শকদের উপহার হিসেবে নেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্টের’ এই কাবিলা খ্যাত অভিনেতা।

হাবু, পাশা, রোকেয়া, বোরহান চরিত্রের মধ্যে আলাদা করে সাড়া জাগিয়েছেন কাবিলা। এই ধারাবাহিক পলাশকে জনপ্রিয়তা দেওয়ার অন্যতম কারণ তাঁর ভাষা নোয়াখালী অঞ্চলের। একই সঙ্গে গল্পে ব্যাচেলরদের জীবনের নানান চিত্র তুলে ধরার কারণে, এটি দর্শক পছন্দ করেন। সিরিজগুলোতে আলাদা করে আসে পলাশের চরিত্রের পরিসর, যা দর্শক বেশির ভাগ সময়ই গ্রহণ করেন। তারপরও এই অভিনেতাকে তেমন কোনো ধারাবাহিকে দেখা যায় না। এর কারণ কী?

অভিনেতা পলাশ। ছবি: ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ