হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জাবিতে মশাল মিছিল
Published: 12th, July 2025 GMT
মিটফোর্ডে চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যা, খুলনায় গুলি করে ও রগ কেটে যুবদলের সাবেক নেতা মোল্লা মাহবুবুর রহমানকে হত্যা এবং চাঁদপুরে মসজিদের ইমামের ওপর প্রাণঘাতী হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একদল শিক্ষার্থী।
আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে এই মশাল মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি নতুন প্রশাসনিক ভবন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিয়া মুনের সঞ্চালনায় বক্তারা অবিলম্বে মবোক্রেসি বন্ধ ও সারাদেশে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) জাবি শাখার সংগঠক সজীব আহমেদ জেনিচ বলেন, ৫ আগস্টের পরও বিচারবহির্ভূত হত্যার জন্য মিছিল করতে হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক৷ সোহাগকে হত্যার দায় যতটুকু বিএনপির, ততটুকু ইন্টেরিম সরকারের। কারণ, যখন হত্যাকাণ্ডের ম্যান্ডেট তৈরি তখন সোহাগের মতো মানুষ হত্যার শিকার হয়৷ অনতিবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে৷ একই সঙ্গে ইন্টেরিমকে অবিলম্বে এসব হামলার জবাব দিতে হবে।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আ র ক রাসেল বলেন, যেদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শামীম মোল্লাকে হত্যা করা হয়েছে; তার পরের দিনই আমরা মবোক্রেসির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি৷ অথচ বিচার না করে হত্যাকারীদের এখন ক্যাম্পাসে উন্মক্ত চলাফেরা সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাদের নামেমাত্র বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছিল। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি আজকের সোহাগ হত্যার জন্য দায়ী৷ ইন্টেরিমকে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, এই মবোক্রেসি থামান, সন্ত্রাসী হলেও তাদের বিচারের আওতায় আনেন।
এর আগে একই ঘটনার প্রতিবাদে বিকেল ৪টার দিকে বিক্ষোভ সমাবেশ করে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি শহীদ মিনার এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো.
সমাপনী বক্তব্যে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ছাত্র-জনতার আশা, আকাঙ্ক্ষা ছিলো যে একটি পরিবর্তনের রাজনীতি বাংলাদেশে শুরু হবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো হানাহানি, খুনোখুনি থাকবে না। আমরা চেয়েছিলাম একটি সাম্য এবং ন্যায়বিচারের রাষ্ট্র। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পরেও এসে দেখিছি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনকে দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে৷ এই সরকার যদি প্রথম দিন থেকে এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার, মব কালচারের বিচার এবং গ্রেপ্তার করতো তাহলে সন্ত্রাসীরা এসব মব কালচারের মাধ্যমে বারবার হত্যাকাণ্ডের সাহস পেত না।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হত য ক ণ ড র ছ ত রদল হত য র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
নেহাল ফেরায় কাবিলার জন্য ভালো নাকি মন্দ হলো, কী বলছেন পলাশ
আসল নামটাই যেন তাঁর বদলে গেছে। ভক্তদের কাছে তিনি সাত বছর ধরে ‘কাবিলা’ নামে পরিচিত। যেখানেই যান, সবাই কাবিলা বলেই সম্বোধন করে। অনেক সময় এই অভিনেতার জিয়াউল হক পলাশ নামটিই আড়ালে পড়ে যায়। তবে পর্দার নামটিও তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। এটাকে দর্শকদের উপহার হিসেবে নেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্টের’ এই কাবিলা খ্যাত অভিনেতা।
হাবু, পাশা, রোকেয়া, বোরহান চরিত্রের মধ্যে আলাদা করে সাড়া জাগিয়েছেন কাবিলা। এই ধারাবাহিক পলাশকে জনপ্রিয়তা দেওয়ার অন্যতম কারণ তাঁর ভাষা নোয়াখালী অঞ্চলের। একই সঙ্গে গল্পে ব্যাচেলরদের জীবনের নানান চিত্র তুলে ধরার কারণে, এটি দর্শক পছন্দ করেন। সিরিজগুলোতে আলাদা করে আসে পলাশের চরিত্রের পরিসর, যা দর্শক বেশির ভাগ সময়ই গ্রহণ করেন। তারপরও এই অভিনেতাকে তেমন কোনো ধারাবাহিকে দেখা যায় না। এর কারণ কী?
অভিনেতা পলাশ। ছবি: ফেসবুক থেকে