মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: নিহতদের স্মরণে সন্ধি’র দোয়া ও বৃক্ষরোপন
Published: 25th, July 2025 GMT
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে শহরের পশ্চিম দেওভোগ এলাকায় সন্ধি সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে এ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
দোয়াপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সংগঠনটির সভাপতি মো: নূরউদ্দিন সাগর বলেন, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আমরা যে সম্ভাবনাময় প্রাণগুলো হারিয়েছি, তা শুধু তাদের পরিবার নয়, পুরো জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
আল্লাহ্ যেন তাদের জান্নাতবাসী করেন এবং পরিবারের সদস্যদের এ শোক সইবার শক্তি দান করেন। পাশাপাশি সেই ঘটনায় যারা অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক এ কামনা করছি। সন্ধি সামাজিক সংগঠন সবসময় মানবিকতার পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে।
বক্তব্য শেষে নিহত শিক্ষার্থীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়। পাশাপাশি শোকাহত পরিবারদের শোক সহ্য করার দোয়াও করা হয়।
দোয়া শেষে নিহতদের স্মরণে দেওভোগের প্রাইমারী স্কুল মাঠসহ বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষরোপন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক পরিচালক মো: আবু তাহের শামীম, বাংলাদেশ হোসিয়ারী অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক পরিচালক মো: শামসুল করিম, সন্ধি সামাজিক সংগঠনের সহ সভাপতি মো: সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো: খালিদ হোসেন পলাশ, সহ সাধারণ সম্পাদক মো: আবু হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আতিকুর রহমান অভি, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিক দাস, ক্রীড়া সম্পাদক অভি চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক টুটুল চন্দ্র শীল, সমাজ কল্যান সম্পাদক মো: নয়ন, কোষাধ্যক্ষ শংকর দাস, কার্যকরী সদস্য মো: রাজ্জাক, মো: রনি, সদস্য কানাই মন্ডল, আকাশ দাস, মো: সুমন, মো: শাহিন, সীমান্ত, মো: রমজান প্রমূখ।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।