ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীতে একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে ধাক্কা দিয়েছে। এ সময় এক যাত্রী নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও সাতজন। গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার লালপুল এলাকার স্টার লাইন গ্যাস পাম্পের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। আহত সাতজন হলেন—ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের ধলিয়া গ্রামের মো.

শিপনের ছেলে মেহেদী হাসান (২০), একই এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ হাসান (২০), জেলার সোনাগাজী উপজেলার সোনাপুর গ্রামের রসুল আহম্মদের ছেলে মুজাহিদ হোসেন (৪০), লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার কলাকোবা গ্রামের মো. হাসেমের ছেলে মোহাম্মদ শাকিল (২৪), নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানার ললুয়া গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ ইবরাহিম (২৫), একই জেলার মাইজদী থানার পূর্ব শুল্লকিয়া গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ রাকিব (২৫) ও চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানার ফকিরা গ্রামের এসকান্দর নিয়ামত উল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ মাহফুজ (৩০)।

হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানা গেছে, হাইয়েস মাইক্রোবাসটি যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ফেনীর লালপুল এলাকায় এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে ধাক্কা দেয়। এ সময় মাইক্রোবাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। মাইক্রোবাসে থাকা চালকসহ আটজন আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইদুর রহমান বলেন, একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। বাকি সাতজনের মধ্যে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন উর রশিদ বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তাঁর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত মাইক্রোবাসটিও জব্দ করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইসরাফিল (৪০)। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে জাঙ্গালিয়া গ্রামে তিনটি মুঠোফোন ও নগদ ১ হাজার ৬০০ টাকা চুরি হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এলাকাবাসী ইসরাফিলকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

ইসরাফিলের পরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েক দিন আগে পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ইমরুল নামের এক ব্যক্তির মুঠোফোন চুরি হয়। সে সময় থেকেই ইসরাফিলকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। আজ এলাকায় আরও একটি চুরির ঘটনা ঘটলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পিটিয়ে হত্যা করেন।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান বলেন, একরামুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনটি মুঠোফোন ও টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় ইসরাফিলকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কয়েকটি চুরির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে কোনো মামলা নেই। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লক্ষ্মীপুরে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদ ভুক্তভোগী পরিবারের
  • মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা