চার দিন পর টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌযান চলাচল শুরু
Published: 28th, July 2025 GMT
টানা চার দিন বন্ধ থাকার পর আবারও নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌযান (সার্ভিস ট্রলার) নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ও ৭৭ জন যাত্রী নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর আগে বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে নৌপথটিতে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
নৌ চলাচল শুরু হওয়ার বিষয়টি টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন নিশ্চিত করেন। টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, নিম্নচাপ ও অমাবস্যার কারণে সাগর উত্তাল ছিল। তাই বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত কোনো নৌযান টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে চলাচল করেনি। তবে আজ দুটি নৌযান টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাট থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাট সার্ভিস ট্রলারের টিকিট বিক্রি করেন মোহাম্মদ ওমর ফারুক। আজ দুপুরে তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এসবি রাফিয়া ও এসবি আশিক নামে দুটি নৌযান সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। দুটি নৌযানে ৭৭ জন যাত্রী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী রয়েছে। যাত্রীরা সবাই সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে তাঁরা টেকনাফে আটকে পড়েছিলেন।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, চার দিন ধরে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছিল। নৌযান চলাচল শুরু হওয়ায় সেই সংকট কেটে যাবে। তিনি বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায়ই সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দাদের বিপাকে পড়তে হয়। জরুরি ভিত্তিতে এই নৌপথে সি-ট্রাক ও সি-অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার
ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।
বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।
অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।
আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।