বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ মিনারবাড়ি-লাঙ্গলবন্দ সড়কের ৬টি পয়েন্টে সংস্কার
Published: 29th, July 2025 GMT
অতি বৃষ্টির কারণে বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নের মিনারবাড়ি থেকে লাঙ্গলবন্দ সড়কের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে খানা খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে এবং দুর্ঘটনা সহ যানবাহন বিকল হয়ে যাত্রী ও চালকরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন।
জনদুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে এসেছেন বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন। তিনি তার ব্যক্তি উদ্যোগে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মিনারবাড়ি থেকে লাঙ্গলবন্দ সড়কের মিনারবাড়ি, মুছাপুর স্ট্যান্ড, ঋষিবাড়ি, প্রেমতলা, ডিস্টিক বোর্ড ও লাঙ্গলবন্দ স্ট্যান্ডের সন্নিকটে ৬টি স্পটে ইট ও বালু ফেলে সড়কের সংস্কার কাজ করেছেন। এতে দুর্ভোগ কমেছে ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ ও গাড়ি চালকদের।
অটো চালক কবির হোসেন (২৭) বলেন, অনেক দিন ধরে এই রাস্তার অনেক জায়গায় গর্তের সৃস্টি হয়েছে। গাড়ি চালাতে সমস্যা হচ্ছিল। আবার যাত্রীরা ঝাকুনিতে কস্ট পায়। সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ সাহেব আজকে (মঙ্গলবার) গর্তগুলো মেরামত করে দিয়েছেন। এইটা একটা ভালো কাজ।
এলাকাবাসী জানায়, একের পর এক ব্যক্তিগত অর্থায়নে রাস্তা সংস্কার ও উন্নয়ণমূলক কাজ করে এলাকায় সুনাম কুড়াচ্ছেন বন্দর উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর ও বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ মাকসুদ হোসেন। যেখানেই সমস্যা ও জনদুর্ভোগ, সেখানেই ছুটে যাচ্ছেন তিনি ও তার তার সহধর্মিনী বিশিষ্ট সমাজসেবিকা নার্গিস মাকসুদ।
এলাকাবাসী আরও জানায়, জনদুর্ভোগ কমাতে অতি সম্প্রতি বন্দরের নবীগঞ্জ স্ট্যান্ড থেকে মিনারবাড়ি সড়ক ও ধামগড় ইউনিয়নের ইস্পাহানী বাজার থেকে চাঁন মার্কেট পর্যন্ত অতি গুরুত্বপূর্ণ পৃথক ২টি সড়কের সংস্কার করেন মাকসুদ হোসেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সড়ক ন র য়ণগঞ জ ল ঙ গলবন দ স ম ন রব ড় সড়ক র
এছাড়াও পড়ুন:
ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’
ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।
আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।
রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।
রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।
কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?
কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।
রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।
রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।
এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।
রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।