গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সড়কে প্রতিবন্ধকতার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধ আইনে ৭৭ জনের নাম দিয়ে এবং অজ্ঞাত ৪০০ জনকে আসামি করে আরো একটি মামলা দায়ের হয়েছে। 

এ নিয়ে প্রাণঘাতী ওই সংঘাতের ঘটনায় মোট মামলা দায়ের হলো ১৫টি।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান নতুন মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, গত ১৬ জুলাই এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠি এলাকায় গোপালগঞ্জ-বরিশাল আঞ্চলিক সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করা হয়। এ ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো.

শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধ আইনে নামে ও বেনামে ৪৭৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্যা, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়াল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহ নেওয়াজ, সাবেক কাউন্সিলর মোল্যা রনি হোসেন কালু আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

১৬ জুলাইয়ের সহিংস ঘটনার পর থেকে সদর, কোটালীপাড়া, কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়া থানায় পাঁচটি হত্যা মামলাসহ মোট ১৫টি মামলা হলো। দায়ের করা মোট ১৫টি মামলায় ১৬ হাজার ২০৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সহিংসতায় পাঁচজন নিহত হন। সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যসহ আহত হন শতাধিক।

ঢাকা/বাদল/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ