সোনারগাঁয়ে হাতপাখার প্রার্থী ফারুক মুন্সিকে সংবর্ধনা
Published: 2nd, August 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রার্থী হিসেবে হাতপাখা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দলটির সোনারগাঁ থানা শাখার সেক্রেটারি ও জেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফারুক আহমদ মুন্সি। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত রবিবার তাঁর প্রার্থিতার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এই উপলক্ষে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ সোনারগাঁ থানা শাখার উদ্যোগে শনিবার (২ আগস্ট) বিকেল ৪টায় উদ্ববগঞ্জের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী যুব আন্দোলনের থানা সভাপতি মুহা.
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সোনারগাঁ থানা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুহা. মামুন রানা এবং যুব আন্দোলনের থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই সোনারগাঁ উপজেলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সভায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে তৃণমূল পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ফারুক আহমদ মুন্সি এবং সঞ্চালনা করেন নির্বাচন সমন্বয়কারী মুহা. ইয়াসিন প্রধান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে প্রার্থী ফারুক আহমদ মুন্সি বলেন, দল ও তৃণমূল কর্মীদের ভালোবাসায় আমি অভিভূত। ইসলামী আন্দোলনের লক্ষ্য ও আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য আমি জনগণের দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করি। আগামী নির্বাচনে ইনশাআল্লাহ হাতপাখা প্রতীককে বিজয়ের প্রতীক বানিয়ে ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের পথে এগিয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, আমার প্রার্থিতা ব্যক্তিগত উচ্চাভিলাষ নয়, বরং এটি একটি আমানত। জনগণের কল্যাণে কাজ করাই হবে আমার প্রধান অঙ্গীকার।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাঁকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন এবং নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ স ন রগ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
সিলেটের জকিগঞ্জে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রথমে দুই শিক্ষার্থীর ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে এ ঘটনায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী আজ বুধবার সকালে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।
মামলায় আসামি হিসেবে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নিদনপুর গ্রামের ইমরান আহমদ (২৩), খিলগ্রামের তানজিদ আহমদ (১৮), মাইজগ্রামের শাকের আহমদ (২৪), একই গ্রামের শাকিল আহমদ (২১) ও মনতৈল গ্রামের মুমিন আহমদ (২০)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ২৬ জুলাই সকালে বারহাল ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় এক সহপাঠীকে নিয়ে বেড়াতে যায়। সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ তরুণ গোপনে তাঁদের ছবি ধারণ করেন। পরে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত তরুণেরা দুই শিক্ষার্থীকে বিষয়টি কাউকে জানানো হলে তাঁদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখান।
এদিকে ঘটনার তিন দিন পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে এলাকার একটি পক্ষ বিষয়টি সালিস বৈঠকে মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাতে জকিগঞ্জ থানা-পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ দিতে বিলম্ব ও বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া জকিগঞ্জ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। আজ সকালে মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।