ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধোলাইপার-জুরাইন এলাকায় অবস্থিত জমজ দুই সিনেমা হল ‘গীত’ ও ‘সংগীত’ আবারো বন্ধ হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক ক্ষতি ও দর্শক সংকটে ভুগতে থাকা এই দুই হল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সাময়িকভাবে হলেও অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (২ আগস্ট) আদর আজাদ-পূজা চেরি অভিনীত ‘টগর’ সিনেমা প্রদর্শনের পরই হল দুটি বন্ধের সিদ্ধান্ত আসে। নতুন ও মানসম্পন্ন দেশি সিনেমার অভাব, পাশাপাশি দর্শক অনুপস্থিতিই এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ বলে জানিয়েছেন হল কর্তৃপক্ষ।
তাদের ভাষ্য, “পরিস্থিতি উন্নত হলে, বিশেষ করে আগামী ঈদে যদি ভালো সিনেমা মুক্তি পায়, তাহলে আবারো চালু করা হতে পারে।”
আরো পড়ুন:
বাবা হলেন শ্যামল মাওলা
সংসার ভাঙার কারণ জানালেন শোলাঙ্কি
এই বন্ধের ঘোষণা নতুন নয়। এর আগেও, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে একই কারণে ‘গীত’ ও ‘সংগীত’ হল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরে ঈদুল ফিতরের আগে ফের চালু করা হয়, কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি। কয়েক মাসের ব্যবধানে আবারো নিভে গেল পর্দার আলো।
বাংলাদেশে একসময় সাড়ে ১২০০টির বেশি সিনেমা হল ছিল। এখন তা নেমে এসেছে ১৪১টিতে। এর মধ্যেও বছরজুড়ে চালু থাকে মাত্র ৬০টির মতো হল। ঈদ ছাড়া বাকি সময়গুলোতে দর্শকশূন্যতায় ভোগে এসব হল। ফলে একের পর এক হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
হল মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “ঈদের সময় ছাড়া তেমন দর্শক পাওয়া যায় না। আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি অনেক হলেই নেই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। আবার সঠিক ব্যবস্থাপনাও নেই।”
দেশি সিনেমার দুরবস্থা, মানহীনতা ও পরিকল্পনার অভাব–সব মিলে এক হতাশাজনক বাস্তবতা তৈরি করেছে। আর সেই বাস্তবতার ভুক্তভোগী হয়ে উঠছে গীত-সংগীতের মতো প্রাচীন হলগুলোও।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
আলো আর আসবে না, আপনারা অন্ধকারে নিমজ্জিত: উজ্জ্বল
‘আরো দিব রক্ত, করব ফ্যাসিবাদ দোসর মুক্ত/ রক্তের ঋণে স্বাধীনতা, জাগ্রত হোক মানবতা’- এমন প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হলো চলচ্চিত্রের কালো দিবস।
রবিবার (৩ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের মূল ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের কর্মীরা।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি ও গণহত্যার সমর্থনে গত বছরের ২ আগস্ট বিটিভি প্রাঙ্গণে এবং ৩ আগস্ট বিএফডিসিতে তৎকালীন হাসিনা সরকারের ইন্ধনদাতা শিল্পী-কলাকুশলীদের বিচার এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে বর্জন করার দাবিতে জুলাই আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মানববন্ধন ও চলচ্চিত্রের কালো দিবস পালন করেন তারা।
অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল বলেন, “আজ বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। কিন্তু দোসরমুক্ত হয়নি। আজ আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি এখানে গত বছরের এই দিনে কিছু সুবিধাবাদী, স্বৈরাচারের দোসররা অবস্থান নিয়েছিল ছাত্র-জনতার বিপক্ষে। তারা ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সদস্য। তাদের বলতে চাই- আলো আর আসবে না। আলো বন্ধ হয়ে গেছে, তেল শেষ হয়ে গেছে। আপনারা অন্ধকারে নিমজ্জিত। আর আপনাদের চেহারা দেখা যাবে না।”
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা বদিউল আলম খোকন, চিত্রনায়ক আবির চৌধুরী, অভিনেতা মারুফ আকিব, জেবাসহ অনেকেই।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জুলাই আন্দোলনে ফ্যাসিস্টদের পক্ষ নেওয়া শিল্পী ও কলাকুশলীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ক্ষমা চাইতে বলেন। অন্যথায় এসব শিল্পী-কলাকুশলী ও ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানানো হয়। একইসঙ্গে আন্দোলনের বিপক্ষে থাকা শিল্পী-কলাকুশলীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে বর্জন করার দাবি জানান।
ঢাকা/রাহাত