ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটকাল। কেউ মনে করে সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই বাংলাদেশের সংকট দূর হবে। কেউ মনে করে পরিবর্তন।

এখন পেক্ষাপট হল ভালো একটা নির্বাচন চাই। একটা ভালো নির্বাচন, গ্রহনযোগ্য নির্বাচন মানেই আমাদের সমস্ত সমস্যা সমাধান হওয়া। আসলে এই দর্শনটা আদো ঠিক না, এটা ভুল দর্শন।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগষ্ট) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোড গ্রীন গার্ডেন চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে নারায়ণগঞ্জ জেলা ইসলামী যুব আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত রাজনৈতিক দর্শন শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, এ দেশে কি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। ৭০ তো নির্বাচন হয়েছিল। সে নির্বাচন তো সুষ্ঠু হয়েছিল। পাকিস্তান সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার পরেও সে নির্বাচন নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন তুলে নাই। এদেশে ৮১ তে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।

যে নির্বাচনে কেউ প্রশ্ন তুলেনি। ৯১ সনের নির্বাচন নিয়েও কেউ প্রশ্ন তুলেনি। ৯৬ সালেও নির্বাচন হয়েছে। সে নির্বাচনও সুষ্ঠু হয়েছে। ২০০১ এ ভালো নির্বাচন হয়েছে। এমন তো কেউ প্রশ্ন তুলেনি যে দিনের ভোট রাতে হয়েছে।

কিন্তু ৭৩’র নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ছিল যেখানে ২৯৩ টি সিট পেয়েছিল আওয়ামীলীগ। এরপরে বিএনপির আমলে ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারীর নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। আন্দোলনের মুখে তাদেরকে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।

তেমনি ২০০১ সালেও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিজয়ী হলেও বিএনপিকে আন্দোলনের মুখে শেষমেষ ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে। নির্বাচন এদেশের মানুষের মুক্তি এবং কল্যাণের পথ নয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ইসলামী যুব আন্দোলনের মুহাম্মদ মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী মানসুর আহমাদ সাকী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাও.

মুহাম্মদ দ্বীন ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা উপদেষ্টা হাফেজ মাও. মজিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ যুবায়ের হোসাইন।

এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ প্রার্থী মুফতী ইমদাদুল্লাহ হাশেমী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের প্রার্থী মুফতী হাবিবুল্লাহ হাবিব, ৩ আসনের প্রার্থী ফারুক আহমাদ মুন্সি, ৪ আসনের প্রার্থী মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও ৫ আসনের প্রার্থী মুফতী মাসুম বিল্লাহ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল আসন র প র র থ ম হ ম মদ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত

নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বন্দর প্রেসক্লাবের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল আলম জাহিদের সঞ্চালনায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন। প্রধান আলোচক ছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) হারুন অর  রশিদ,  নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আনিসুর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন মিয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী প্রমুখ।

উদ্বোধকের বক্তব্যে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত কমিটির সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায়। আজকে তিন বিষয়ে আজকে গুরুত্ব বহন করে। এক. পেশাগত নিয়ে তাদের সম্মান নিয়ে কথাটা, দুই. সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিণের ব্যাপারটা, তিন. হলো আমাদের বিষয় নিয়ে।

সেটা হলো, বেগম খালেদা জিয়া সরকার মেয়াদকালে একটি সমানজ্জল্য পালন করতে পেরেছিলাম। আমাদের তখন স্বার্থক ছিলো বন্দর প্রেসক্লাবকে একটি জমি দিতে সক্ষম হয়েছিলাম। আজকের বন্দর প্রেসক্লাব সেটা স্বীকার করে নিলো সেটা কৃর্তত্ব আমার নয়, এটার কৃর্তত্ব বেগম খালেদা জিয়া। তিনি দিয়েছিলেন বলে আমাদের স্বার্থকতা পেলাম।

তিনি আরো বলেন, একটা কথা বিরাজমান, হলুদ সাংবাদিকতা। এই শব্দটা এখন ডেঙ্গু’র মত অবস্থা। এটা আমার কাছে দুঃখজনক অবস্থা যারা সৎ সাংবাদিকতা হিসেবে পেশাকে গ্রহণ করেছেন, করেন তাদের জন্য কষ্টকর বিষয়। আশা করবো, আপনাদের ঘর আপনাদের ঠিক রাখতে হবে। সংবাদ প্রকাশ করার আগে অবশ্যই যাচাই বাছাই করা উচিত।

সংবাদে বিশেষ বিশ্লেষণ করে প্রকাশ করা ভালো। একটি দুসময় আমরা পাড় হয়ে এসেছি। চার সংবাদপত্র ছাড়া বাকি বিলুপ্ত করা হয়েছিলো। এখন সাংবাদিক পেশা মহান হিসেবে ধরে রাখতে হবে। রাজনীতিবিদ সাথে সাংবাদিক সম্পর্ক পারিবারিকভাবে হয়ে যায়। আমাদের কর্মদক্ষতা সাংবাদিকরা লিখনী মাধ্যমে প্রকাশ করেন।

সাংবাদিকদের দক্ষতা কারণে আমাদের কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। এই পেশা কারথে আমাদের উৎসাহ করে কাজ করার। বন্দর প্রেসক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের এখানে সাধারণ সম্পাদক আছেন, দুই প্রেসক্লাবই আমার নির্বাচনী এলাকার ভিতরে। আমার ব্যক্তিভাবে কোন প্রয়োজন হয়, তাহলে সকল কিছুতে প্রস্তুত।

প্রধান অতিথি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও পিআইডি সদস্য আবু সালেহ আকন বলেছেন, মফস্বল সাংবাদিক আর কেন্দ্রীয় সাংবাদিক বলে কিছু নেই। আমরা সবাই গণমাধ্যম কর্মী সবাই সাংবাদিক। তবে স্থানীয়ভাবে যারা পত্রিকাগুলোতে কাজ করেন তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করেন।

কিন্তু ঠিকমতো তারা বেতন ভাতা পান না। ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী তাদের বেতন ভাতা পরিশোধ করা হয় না। স্থানীয় সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন ভাতা পরিশোধ করা উচিত। যে সমস্ত পত্রিকা ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের ব্যর্থ  সেগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রুপগঞ্জে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে এসি আই সল্টকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
  • “শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ইন্ধন থাকতে পারে তৃতীয় পক্ষের”
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০ (ভিডিও)
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০
  • ফতুল্লায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
  • সোনারগাঁয়ের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির চিঠি
  • নারায়ণগঞ্জে বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ গ্রেপ্তার ৩
  • সড়ক দুর্ঘটনায় যুবদল নেতা রিয়াদের দুই মেয়ে গুরুতর আহত : দোয়া প্রার্থনা 
  • আড়াইহাজারের সেপটি ট্যাংকির ঝুঁকি ও করণীয় নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
  • বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত