বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ এর শুভেচ্ছা
Published: 31st, August 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ।
তিনি বলেন, ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশমাতৃকার মুক্তি, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং একটি আত্মনির্ভরশীল, সমৃদ্ধ ও কল্যাণমুখী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এই দল প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণমানুষের দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং বারবার দেশের সংকটকালে জনগণের অধিকার রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
বিএনপি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি হলো দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও মানুষের মুক্তির সংগ্রামের প্রতীক। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘোষণা—“বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ” আজ কোটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন হয়ে আছে।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার সেই আদর্শ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ত্যাগ ও সংগ্রাম, এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব আমাদের আগামী দিনের আশার বাতিঘর।
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি—ঐক্য, সাহস, সত্য ও গণতন্ত্রের পথে অটল থেকে বিএনপি আবারও গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।
আসুন, আমরা সকলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হই, এবং একটি গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জিন্দাবাদ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ রহম ন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় ইইউ
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি। আগামী বছর নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। আর নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মাইকেল মিলার এ কথা বলেন। বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ফরমার অ্যাম্বাসেডরস (এওএফএ) বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর সম্পর্ক নিয়ে ওই মতবিনিময়ের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এওএফএর সভাপতি আবদুল্লাহ আল হাসান।
ইইউ রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরেছি। সেখানে তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশা এবং আকাঙ্ক্ষা লক্ষ করেছি। বাংলাদেশের সামনে এখন তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণের সময় এসেছে। তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, উন্নয়ন সহযোগীসহ সব পক্ষের এক সঙ্গে কাজ করা উচিত।’
আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক উত্তরণের দিকে এগোচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বদ্ধপরিকর। গণতন্ত্রে উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন হওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই রাজনৈতিক ঐকমত্য দরকার।
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের স্বার্থে স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। যেকোনো বিনিয়োগকারী তার বিনিয়োগের সুরক্ষার পাশাপাশি একটি স্থিতিশীল পরিবেশ চায়।
বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের বিষয়ে মাইকেল মিলার বলেন, ‘আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মূল ভিত্তি মানবাধিকার, উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও বাক্স্বাধীনতা। ভবিষ্যতেও আমরা এই বিষয়গুলোতে আরও জোরালোভাবে কাজ করে যাব।’
ইইউ সব সময় বাংলাদেশ থেকে বৈধ অভিবাসন প্রত্যাশা করে উল্লেখ করে মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। বিশেষ করে কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইইউ বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছে। বাংলাদেশ ও ইইউর মধ্যে সামরিক ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতা প্রয়োজন।’
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ইইউ তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে উল্লেখ করে মাইকেল মিলার বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসন। তবে এই প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায় এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে।