পাহাড়ি ঢলে মহালছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
Published: 9th, September 2025 GMT
উজানে থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ঢলের পানিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে কালোপাহাড় এলাকায় পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত জোবায়ের (৫) স্থানীয় হাফেজ শহীদুল্লার ছেলে। সে বাড়ির উঠানে খেলতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
উজানের পানিতে খাগড়াছড়ির নিচু এলাকা প্লাবিত
যশোরের ভবদহের জলাবদ্ধতায় বন্ধের মুখে শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
স্থানীয়রা জানান, চেঙ্গী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার পাকুজ্যাছড়ি, মসজিদ কলোনী, চট্টগ্রাম পাড়া, ব্রিজ পাড়া, সিলেটি পাড়া ও গরু বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। এতে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় স্থানীয়রা বিপাকে পড়েছে।
লেমুছড়ি এলাকার বাসিন্দা জ্ঞানেন্দু চাকমা ও পাকুজ্যাড়ি গ্রামের রুহুল আমিন বলেন, ‘‘বৃষ্টি ছাড়া হঠাৎ উজানের পানি আসায় মহালছড়ির বিভিন্ন নিচু এলাকার মানুষ বিপাকে পড়েছেন। সিঙ্গিনালা-মহালছড়ি সড়ক ডুবে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।’’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান জানান, বাড়িঘর ডুবে যাওয়া লোকদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইসলামিয়া মাদ্রাসায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ১০-১২টি পরিবারের ৫০ জন সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের জন্য খাবার, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌছে দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, কালো পাহাড় এলাকায় যে শিশু মারা গেছে, সে পরিবারে অসাবধানতাবশত ঘরের উঠানের পানিতে ডুবে গিয়ে মারা যায়।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, যারা পানিবন্দি আছে বা যারা আশ্রয় কেন্দ্রে গেছে, তাদের জন্য খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত খাবার রয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মহালছড়ি ইউএনও-কে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ন বন দ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট